ছাত্রলীগের সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন করল সরকার
ছাত্রলীগের সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন করল
সরকার। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কোথাও জনসভা করতে দেয়া হবে না বলে
ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়। গাজীপুরে খালেদা জিয়ার আজকের জনসভাকে
কেন্দ্র করে শুক্রবার ১৪৪ ধারা জারি করাকে তাদের সেই ঘোষণার বহিঃপ্রকাশ
বলেই মনে করছে বিএনপি নেতারা। তাদের মতে, এটা সরকারের পূর্বপরিকল্পিত।
বর্তমান সরকার বিএনপিকে রাজপথে নামতে দিতে চায় না। যেকোনো মূল্যে তারা
ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন
ঘটাচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি লন্ডনে এক বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার বলে মন্তব্য করেন। তার এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। তারেক রহমান তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত দেশের কোথাও খালেদা জিয়াকে জনসভা করতে দেয়া হবে না বলেও ঘোষণা করে ছাত্রলীগ। এরই অংশ হিসেবে গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে খালেদা জিয়ার আজকের জনসভা যেকোনো মূল্যে করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা ছাত্রলীগ। এ লক্ষ্যে তারা একই দিন একই সময়ে ওই কলেজ মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। পাশাপাশি গত কয়েক দিন ধরে তারা সমাবেশ স্থলে অবস্থান নেয়। জনসভা স্থল ও আশপাশের বিএনপির লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন ভাংচুর করে তাতে আগুন দেয়া হয়। মাঠ দখলে নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা বৃহস্পতিবার থেকেই সেখানে দফায় দফায় মিছিল করতে থাকে। মাঠের ভেতরে সামিয়ানা টাঙিয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ-সমাবেশের ব্যানার ঝুলিয়ে রাখে। তাদের এসব কর্মকাণ্ডে গাজীপুর প্রশাসন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে বলে অভিযোগ ওঠে। সবশেষ খালেদা জিয়া যাতে জনসভা করতে না পারেন সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
১৪৪ ধারা জারির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার জনসভার দিন গাজীপুরে ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত পূর্বপরিকল্পিত। গাজীপুরে ২০ দলীয় জোটের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে খালেদা জিয়ার ভাষণ দেয়ার কথা। এই জনসভা বানচাল করতেই সরকার ১৪৪ ধারা জারি করেছে। ছাত্রলীগকে সামনে রেখে সরকার এসব করিয়েছে- বিষয়টি সেরকম নয়। ছাত্রলীগের মাধ্যমে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ইচ্ছারই বাস্তবায়ন করিয়েছে।
তিনি দাবি করেন, তারা জনসভার জন্য আগেই অনুমতি নিয়েছিলেন। সব নিয়ম মেনেই তা করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার বিরোধী দলকে জনসভা করতে দেবে না। সেজন্য গত কয়েক দিন ধরে গাজীপুরে স্থানীয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ যা কিছু করছে, তা সাজানো নাটকের বিভিন্ন পর্ব ছিল। সরকার শুধু ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ মাঠে নয়, গোটা গাজীপুরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু যুগান্তরকে বলেন, ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। যিনি ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করেন। গাজীপুরে ১৪৪ ধারা জারি করে সেই ক্ষমতার দাপট দেখালেন। এর মধ্য দিয়ে ডিসেম্বর মাসে ৭১-এর বিজয়ের সঙ্গে উপহাস করা হল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান যুগান্তরকে বলেন, কার ইন্ধনে এসব করা হচ্ছে তা দেশবাসীর বুঝতে আর অসুবিধা হচ্ছে না। দেশের শিক্ষাঙ্গনে যখন ছাত্রলীগের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি আর খুনাখুনি চলছে তখন মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে শেখ হাসিনা এ কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। ছাত্রলীগের হাতে অস্ত্র আর লাঠি তুলে দিয়ে তিনি ছাত্ররাজনীতিকে কলুষিত করছেন। এ জন্য একদিন তাকে জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ছাত্রলীগ যদি এতটাই শক্তিশালী হয়ে থাকে তবে র্যাব-পুলিশ বাদ দিয়ে রাজপথে আসুক। দেখি কার কত ক্ষমতা।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি লন্ডনে এক বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার বলে মন্তব্য করেন। তার এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। তারেক রহমান তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত দেশের কোথাও খালেদা জিয়াকে জনসভা করতে দেয়া হবে না বলেও ঘোষণা করে ছাত্রলীগ। এরই অংশ হিসেবে গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে খালেদা জিয়ার আজকের জনসভা যেকোনো মূল্যে করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা ছাত্রলীগ। এ লক্ষ্যে তারা একই দিন একই সময়ে ওই কলেজ মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। পাশাপাশি গত কয়েক দিন ধরে তারা সমাবেশ স্থলে অবস্থান নেয়। জনসভা স্থল ও আশপাশের বিএনপির লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন ভাংচুর করে তাতে আগুন দেয়া হয়। মাঠ দখলে নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা বৃহস্পতিবার থেকেই সেখানে দফায় দফায় মিছিল করতে থাকে। মাঠের ভেতরে সামিয়ানা টাঙিয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ-সমাবেশের ব্যানার ঝুলিয়ে রাখে। তাদের এসব কর্মকাণ্ডে গাজীপুর প্রশাসন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে বলে অভিযোগ ওঠে। সবশেষ খালেদা জিয়া যাতে জনসভা করতে না পারেন সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
১৪৪ ধারা জারির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার জনসভার দিন গাজীপুরে ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত পূর্বপরিকল্পিত। গাজীপুরে ২০ দলীয় জোটের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে খালেদা জিয়ার ভাষণ দেয়ার কথা। এই জনসভা বানচাল করতেই সরকার ১৪৪ ধারা জারি করেছে। ছাত্রলীগকে সামনে রেখে সরকার এসব করিয়েছে- বিষয়টি সেরকম নয়। ছাত্রলীগের মাধ্যমে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ইচ্ছারই বাস্তবায়ন করিয়েছে।
তিনি দাবি করেন, তারা জনসভার জন্য আগেই অনুমতি নিয়েছিলেন। সব নিয়ম মেনেই তা করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার বিরোধী দলকে জনসভা করতে দেবে না। সেজন্য গত কয়েক দিন ধরে গাজীপুরে স্থানীয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ যা কিছু করছে, তা সাজানো নাটকের বিভিন্ন পর্ব ছিল। সরকার শুধু ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ মাঠে নয়, গোটা গাজীপুরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু যুগান্তরকে বলেন, ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। যিনি ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করেন। গাজীপুরে ১৪৪ ধারা জারি করে সেই ক্ষমতার দাপট দেখালেন। এর মধ্য দিয়ে ডিসেম্বর মাসে ৭১-এর বিজয়ের সঙ্গে উপহাস করা হল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান যুগান্তরকে বলেন, কার ইন্ধনে এসব করা হচ্ছে তা দেশবাসীর বুঝতে আর অসুবিধা হচ্ছে না। দেশের শিক্ষাঙ্গনে যখন ছাত্রলীগের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি আর খুনাখুনি চলছে তখন মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে শেখ হাসিনা এ কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। ছাত্রলীগের হাতে অস্ত্র আর লাঠি তুলে দিয়ে তিনি ছাত্ররাজনীতিকে কলুষিত করছেন। এ জন্য একদিন তাকে জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ছাত্রলীগ যদি এতটাই শক্তিশালী হয়ে থাকে তবে র্যাব-পুলিশ বাদ দিয়ে রাজপথে আসুক। দেখি কার কত ক্ষমতা।
No comments