টাকা-রিয়াল গুনতে গুনতে পিঠব্যথা!
(রাজধানীর পুরানা পল্টনের একটি বাসা থেকে গতকাল উদ্ধার করা সোনার বার এবং দেশি-বিদেশি মুদ্রা (বস্তার মধ্যে) l ছবি: প্রথম আলো) ‘এত টাকা-রিয়াল আমি একসঙ্গে কোনো দিন চোখেই দেখিনি। গোনা তো দূরে থাক। কাল রাত থেকে গুনেই যাচ্ছি। আমার পিঠ ব্যথা হয়ে গেছে।’ আজ
দুপুর সোয়া দুইটার দিকে এসব কথা বলেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক
গোয়েন্দা কার্যালয়ে টাকা ও রিয়াল গোনা হচ্ছে। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের ২৫ জন কর্মচারী টাকা-রিয়াল গোনার কাজ ও জব্দ তালিকা প্রস্তুত করছেন। এখানেই
গতকাল বৃহস্পতিবার চারটি বস্তার মধ্যে পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ সৌদি
রিয়াল ও ৫২৮টি সোনার বার। শুল্ক গোয়েন্দা ও গোয়েন্দা বিভাগের এই অভিযানে
এর সঙ্গে জড়িত ফ্ল্যাট মালিক মোহাম্মদ আলী আটক হন। অভিযানের নেতৃত্বে
থাকা শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে
বলেন, ‘সন্ধ্যার মধ্যে এই গণনার কাজ শেষ হবে। এর পর জব্দ তালিকা তৈরি করা
হবে।’
মুস্তাফিজুর রহমান জানান, এর পর তিনি বাদী হয়ে মামলা করবেন। আটক মালিক মোহাম্মদ আলীকে শুল্ক গোয়েন্দা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ চার কোটিরও বেশি ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ১৫ লাখ রিয়াল উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশি টাকার হিসাবে যার মোট পরিমাণ তিন কোটি।
৫২৮টি সোনার বার বা ৬১ কেজি সোনা তো আছেই, যার মূল্য ৩০ কোটি টাকা।
এই বিপুল পরিমাণ সোনা, রিয়াল আর টাকা গুনতে গিয়ে ঢাকায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আটক মোহাম্মদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য বের করার চেষ্টাও করছেন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘টাকা-রিয়াল গুনলেই চলবে না। প্রতিটি নোটের সিরিয়াল নম্বর লিখে রাখার কাজটি চলছে।’ তিনি বলেন, ‘জব্দ তালিকা করার পর আটক মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে শুল্ক আইন, বৈদেশিক মুদ্রা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হবে।’
মুস্তাফিজুর রহমান জানান, এর পর তিনি বাদী হয়ে মামলা করবেন। আটক মালিক মোহাম্মদ আলীকে শুল্ক গোয়েন্দা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ চার কোটিরও বেশি ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ১৫ লাখ রিয়াল উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশি টাকার হিসাবে যার মোট পরিমাণ তিন কোটি।
৫২৮টি সোনার বার বা ৬১ কেজি সোনা তো আছেই, যার মূল্য ৩০ কোটি টাকা।
এই বিপুল পরিমাণ সোনা, রিয়াল আর টাকা গুনতে গিয়ে ঢাকায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আটক মোহাম্মদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য বের করার চেষ্টাও করছেন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘টাকা-রিয়াল গুনলেই চলবে না। প্রতিটি নোটের সিরিয়াল নম্বর লিখে রাখার কাজটি চলছে।’ তিনি বলেন, ‘জব্দ তালিকা করার পর আটক মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে শুল্ক আইন, বৈদেশিক মুদ্রা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হবে।’
No comments