বোড়োদের বিরুদ্ধে সেনা অপারেশন
আসামের বোড়ো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেনা
অপারেশন চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান দালবির সিং সুহাগ।
শুক্রবার তিনি বলেছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী বোড়ো জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ না করলে
সামরিক অপারেশন চালিয়ে তাদের আটক করা হবে। খবর এএফপির।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথের সঙ্গে আসামের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকের পর সেনাপ্রধান বলেন, আমরা অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে সেনা অপারেশন চালাতে যাচ্ছি। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের কোকড়াঝাড়ের পর নতুন করে শোনিতপুরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন দেশটির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় প্রশাসন। ইতিমধ্যে কোকড়াঝাড়, শোনিতপুরসহ আসামের ৩টি জেলায় জারি করা হয়েছে সান্ধ্য আইন। সেইসঙ্গে এনডিএফবি জঙ্গিরা অবিলম্বে আত্মসমর্পণ না করলে তাদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশও দেয়া হয়েছে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে।
মঙ্গলবার আসামের কোকড়াঝাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনডিএফবি জঙ্গিদের হামলায় কমপক্ষে ৮২ জন নিহত হয়। এছাড়া আহত হয় শতাধিক মানুষ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তথ্যমতে, অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এএফপি বলছে, বাস্তুহারার সংখ্যা কমপক্ষে পাঁচ হাজার হবে। আসাম জুড়ে মোতায়েন করা আধা-সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, বুধবারের হামলার পর তারা কমপক্ষে ৭৫ এনডিএফবি জঙ্গিকে চিহ্নিত করেছে। তাদের অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানানো হয়। জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ না করলে দেখামাত্র তাদের লক্ষ্য করে গুলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিন আসামে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, জঙ্গি তৎপরতা দমনে আসাম সরকারকে সব ধরনের সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে আধা-সামরিক বাহিনীর একটি দল আসাম পৌঁছে গেছে। সীমান্ত এলাকায় নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। আর জঙ্গি দমনে ভুটান সরকারের কাছ থেকেও চাওয়া হয়েছে সহায়তা। এদিকে জঙ্গি হামলায় বিপর্যস্ত কোকড়াঝাড় ও শোনিতপুর এলাকা বৃহস্পতিবার পরিদর্শন করেছেন রাজনাথ সিং। সেখানকার আশ্রয় শিবিরগুলোতে ঘুরে তিনি জঙ্গিদের এই বর্বরোচিত হামলার কঠোর পাল্টা জবাব দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে শুক্রবার ভারত-ভুটান সীমান্তে বোড়ো জঙ্গিরা সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। চিরাং জেলার ফৈসানা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে কলকাতা টুয়েন্টি ফোর।
সাত বছরের শিশুকে সাতবার গুলি : ভারতের আসামের কোকড়াঝড় জেলায় সাত বছর বয়সী এক শিশুকে সাতবার গুলিবিদ্ধ করেছে বোড়ো বিদ্রোহীদের একাংশ। তদু নামের শিশুটি বর্তমানে আসামের গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে এই খবরের সত্যতা জানা যায়।
২৪ ডিসেম্বর আসামের কোকড়াঝাড় এবং শোনিতপুর জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে হামলা চালায় বোড়ো বিদ্রোহীরা। এ হামলায় কমপক্ষে ৭৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ২১ জন নারী এবং ১৮ জন শিশু। বোড়ো বিদ্রোহীদের হামলার সময় তদু তার ঘরের দরজার সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল। বিদ্রোহীরা গুলি চালানো শুরু করলে সে এবং তার মা দু’জনেই ?গুলিবিদ্ধ হয়। তদুর মুখ, হাত, কোমরসহ আরও কয়েক স্থানে গুলি লাগে। তদুর বাবা সোম তদু জানান, আমার বড় ছেলেও গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যায়। আমার অন্য সন্তানরা ঘরের ভেতর থাকায় তাদের কিছু হয়নি। আমি নিজে কালু তদুকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটে যাই।
এছাড়াও বোড়ো বিদ্রোহীদের হামলায় রানী বাসুমাতৃ (৫০) নামের এক নারীও আহত হন। তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়। রানীর স্বামী বিশ্বনাথ জানান, চিরং জেলার শান্তিপুর গ্রামে আমাদের বসবাস। আমাদের ঘরবাড়ি সব জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। এখন কিছুই নেই আমাদের। আক্রান্ত পাঁচটি স্থানই স্বায়ত্তশাসিত বোড়োল্যান্ডের বিচারাধীন এলাকার আওতাভুক্ত। এই অঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়িদের অধিকাংশ ছোটনাগপুর প্লাতু ও ভারতের মধ্যাঞ্চল থেকে আগত বলে জানা যায়। দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলের ভূমির দাবি নিয়ে লড়াই করে আসছে বোড়ো বিদ্রোহীরা।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথের সঙ্গে আসামের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকের পর সেনাপ্রধান বলেন, আমরা অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে সেনা অপারেশন চালাতে যাচ্ছি। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের কোকড়াঝাড়ের পর নতুন করে শোনিতপুরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন দেশটির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় প্রশাসন। ইতিমধ্যে কোকড়াঝাড়, শোনিতপুরসহ আসামের ৩টি জেলায় জারি করা হয়েছে সান্ধ্য আইন। সেইসঙ্গে এনডিএফবি জঙ্গিরা অবিলম্বে আত্মসমর্পণ না করলে তাদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশও দেয়া হয়েছে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে।
মঙ্গলবার আসামের কোকড়াঝাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনডিএফবি জঙ্গিদের হামলায় কমপক্ষে ৮২ জন নিহত হয়। এছাড়া আহত হয় শতাধিক মানুষ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তথ্যমতে, অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এএফপি বলছে, বাস্তুহারার সংখ্যা কমপক্ষে পাঁচ হাজার হবে। আসাম জুড়ে মোতায়েন করা আধা-সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, বুধবারের হামলার পর তারা কমপক্ষে ৭৫ এনডিএফবি জঙ্গিকে চিহ্নিত করেছে। তাদের অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানানো হয়। জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ না করলে দেখামাত্র তাদের লক্ষ্য করে গুলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিন আসামে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, জঙ্গি তৎপরতা দমনে আসাম সরকারকে সব ধরনের সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে আধা-সামরিক বাহিনীর একটি দল আসাম পৌঁছে গেছে। সীমান্ত এলাকায় নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। আর জঙ্গি দমনে ভুটান সরকারের কাছ থেকেও চাওয়া হয়েছে সহায়তা। এদিকে জঙ্গি হামলায় বিপর্যস্ত কোকড়াঝাড় ও শোনিতপুর এলাকা বৃহস্পতিবার পরিদর্শন করেছেন রাজনাথ সিং। সেখানকার আশ্রয় শিবিরগুলোতে ঘুরে তিনি জঙ্গিদের এই বর্বরোচিত হামলার কঠোর পাল্টা জবাব দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে শুক্রবার ভারত-ভুটান সীমান্তে বোড়ো জঙ্গিরা সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। চিরাং জেলার ফৈসানা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে কলকাতা টুয়েন্টি ফোর।
সাত বছরের শিশুকে সাতবার গুলি : ভারতের আসামের কোকড়াঝড় জেলায় সাত বছর বয়সী এক শিশুকে সাতবার গুলিবিদ্ধ করেছে বোড়ো বিদ্রোহীদের একাংশ। তদু নামের শিশুটি বর্তমানে আসামের গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে এই খবরের সত্যতা জানা যায়।
২৪ ডিসেম্বর আসামের কোকড়াঝাড় এবং শোনিতপুর জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে হামলা চালায় বোড়ো বিদ্রোহীরা। এ হামলায় কমপক্ষে ৭৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ২১ জন নারী এবং ১৮ জন শিশু। বোড়ো বিদ্রোহীদের হামলার সময় তদু তার ঘরের দরজার সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল। বিদ্রোহীরা গুলি চালানো শুরু করলে সে এবং তার মা দু’জনেই ?গুলিবিদ্ধ হয়। তদুর মুখ, হাত, কোমরসহ আরও কয়েক স্থানে গুলি লাগে। তদুর বাবা সোম তদু জানান, আমার বড় ছেলেও গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যায়। আমার অন্য সন্তানরা ঘরের ভেতর থাকায় তাদের কিছু হয়নি। আমি নিজে কালু তদুকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটে যাই।
এছাড়াও বোড়ো বিদ্রোহীদের হামলায় রানী বাসুমাতৃ (৫০) নামের এক নারীও আহত হন। তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়। রানীর স্বামী বিশ্বনাথ জানান, চিরং জেলার শান্তিপুর গ্রামে আমাদের বসবাস। আমাদের ঘরবাড়ি সব জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। এখন কিছুই নেই আমাদের। আক্রান্ত পাঁচটি স্থানই স্বায়ত্তশাসিত বোড়োল্যান্ডের বিচারাধীন এলাকার আওতাভুক্ত। এই অঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়িদের অধিকাংশ ছোটনাগপুর প্লাতু ও ভারতের মধ্যাঞ্চল থেকে আগত বলে জানা যায়। দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলের ভূমির দাবি নিয়ে লড়াই করে আসছে বোড়ো বিদ্রোহীরা।
No comments