পল্টনে বাসা থেকে সোনার ৫৬১টি বার ও ৪ বস্তা বিদেশী মুদ্রা উদ্ধার
ডিবি এবং গোয়েন্দা ও শুল্ক বিভাগ জানিয়েছে, উদ্ধার করা টাকার মধ্যে বেশ কিছু বিদেশী মুদ্রাও আছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়েছেন। টাকা ও স্বর্ণের বারগুলো বৈধ না অবৈধ এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কোন তথ্য পাননি তারা। তবে ফ্ল্যাট মালিক মোহাম্মদ আলী গোয়েন্দা ও শুল্ক বিভাগের কাছে দাবি করেছেন তার টাকা ও স্বর্ণের বার বৈধ। ধানমন্ডিতে আলী সুইটস নামে তার একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে।
গোয়েন্দা ও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুরানা পল্টনের ২৯/১ নম্বর ১২ তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় অভিযান চালানো হয়। উদ্ধারকৃত জিনিসগুলোর মধ্যে চার বস্তায় দেশী-বিদেশী মুদ্রা। মুদ্রাগুলোর মধ্যে প্রায় বেশির ভাগ টাকা। আনুমানিক সাড়ে ৪ কোটি টাকা হতে পারে। টাকার পাশাপাশি ওই বস্তাগুলোতে ১০ লাখ সৌদি রিয়াল পাওয়া গেছে। দেশী-বিদেশী মুদ্রার পাশাপাশি ৫৬১টি স্বর্ণের বার পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একটি সুটকেস থেকে ৭০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত মোট স্বর্ণের বারের ওজন প্রায় দুই মণ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, পুরানা পল্টনের ২৯/১, ভবনের ৬ষ্ঠ ও ১১ তলায় দু’টি ফ্ল্যাটের মালিক আলী সুইটসের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী। ৬ষ্ঠ তলার ফ্ল্যাটে দেয়ালে ফলস আলমারির ভিতরে ৭০ পিস করে স্বর্ণের বার সাজানো ছিল। স্বর্ণের বারগুলো বিভিন্ন সুটকেসে ভরা ছিল। কিছু স্বর্ণের বার খাটের নিচে সুটকেসে ভরিয়ে লুকানো ছিল। টাকাগুলো কাপড় দিয়ে মোড়ানো ছিল। ১১ তলার ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু টাকা ও স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, মোহাম্মদ আলী মূলত স্বর্ণ চোরাকারবারি ও হুন্ডি ব্যবসায়ী। গত ১০ই ডিসেম্বর বিমানবন্দরের কার্গো এলাকার দু’টি কার্টন থেকে ৪৩ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার হয়। ওই কার্টনের সূত্র ধরে তদন্তের পর মোহাম্মদ আলীর নাম পাওয়া যায়। এছাড়া বিমানবন্দরে স্বর্ণের চোরাচালানের দায়ে গ্রেপ্তার বিমানের কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদে মোহাম্মদ আলীর নাম জানায়। এসব তথ্যের ভিত্তিতে ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের সময় মোহাম্মদ আলী দাবি করেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন স্বর্ণের ওই বারগুলো তাকে রাখতে দিয়েছেন। রাত ৯টার দিকে এই অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বিপুল পরিমাণ টাকা এখনও গণনা করা সম্ভব হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে সেখানে সাড়ে ৪ কোটি টাকা রয়েছে। বাসায় কয়েকটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
No comments