বকশীবাজারের ঘটনায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ২ মামলা
রাজধানীর বকশীবাজারে অস্থায়ী আদালতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় শাহবাগ ও চকবাজার থানায় দু’টি মামলা হয়েছে। মামলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সেক্রেটারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দসহ আরও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে এ মামলা করেন।
সূত্র জানায়, বকশীবাজারের সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর-৩৩। মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বকশীবাজারে এসে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। প্রতিপক্ষের প্রতি চড়াও হয়। গাড়ি ভাঙচুর করে সাধারণ মানুষের প্রতি আতঙ্ক সৃষ্টি করে। সরকারদলীয় সাবেক এমপির ওপর হামলা করে আহত করে। শাহবাগ থানার এসআই মাহফুজুর রহমান জানান, মামলায় ৮০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হচ্ছেন- ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসান, সেক্রেটারি আকরামুল হাসান, সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি মামুনসহ আরও অনেক। আসামিদের আটকের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।
এদিকে, প্রায় একই অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলা নম্বর-১৬। মামলার বাদী চকবাজার থানার ওসি (তদন্ত) ইলিয়াস হোসেন জানান, বকশীবাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হচ্ছেন ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান, সেক্রেটারি আকরামুল হাসান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আজিজুল বারী হেলালসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ছবি বিশ্বাসকে হত্যাই ছিল উদ্দেশ্য: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
রাজধানীর বকশীবাজারে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল সম্পূর্ণ দায়ী বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিএনপির অবস্থানে ছাত্রলীগ হামলা করেছে এমন খবরের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেছেন, ছাত্রলীগ কোথায় হামলা করেছে? তারাই তো একটি পরিস্থিতি তৈরি করে অরাজকতা করতে চেয়েছে। বকশীবাজারে হামলা ও সংঘর্ষের পর ঢাকা মেডিকেলের সামনে হামলায় আহত আওয়ামী লীগের এমপি ছবি বিশ্বাসকে দেখতে গতকাল হাসপাতালে যান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বকশীবাজারে অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা গাড়িতে আগুন ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এদের অভ্যাস হচ্ছে এমনই। তারা হাসপাতালের মতো একটি নিরাপদ স্থানেও হামলা করেছে। রোগীদের স্বজনদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি দলে যতজন এমপি আছেন তাদের মধ্যে ছবি বিশ্বাস নেহায়েত একজন ভদ্র মানুষ। তার মতো একজন ভাল মানুষের ওপর এমন বর্বরভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, তা ভাবতেই পারা যায় না।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মামলার নিয়ম অনুযায়ী খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দিতে আসবেন। এটা তো আইনের বিধান। কিন্তু, তার সঙ্গে কেন বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হলেন? তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিচারপ্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল করা। হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে। পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কারও ওপর হামলা চালায়নি।
সূত্র জানায়, বকশীবাজারের সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর-৩৩। মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বকশীবাজারে এসে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। প্রতিপক্ষের প্রতি চড়াও হয়। গাড়ি ভাঙচুর করে সাধারণ মানুষের প্রতি আতঙ্ক সৃষ্টি করে। সরকারদলীয় সাবেক এমপির ওপর হামলা করে আহত করে। শাহবাগ থানার এসআই মাহফুজুর রহমান জানান, মামলায় ৮০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হচ্ছেন- ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসান, সেক্রেটারি আকরামুল হাসান, সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি মামুনসহ আরও অনেক। আসামিদের আটকের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।
এদিকে, প্রায় একই অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলা নম্বর-১৬। মামলার বাদী চকবাজার থানার ওসি (তদন্ত) ইলিয়াস হোসেন জানান, বকশীবাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হচ্ছেন ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান, সেক্রেটারি আকরামুল হাসান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আজিজুল বারী হেলালসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ছবি বিশ্বাসকে হত্যাই ছিল উদ্দেশ্য: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
রাজধানীর বকশীবাজারে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল সম্পূর্ণ দায়ী বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিএনপির অবস্থানে ছাত্রলীগ হামলা করেছে এমন খবরের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেছেন, ছাত্রলীগ কোথায় হামলা করেছে? তারাই তো একটি পরিস্থিতি তৈরি করে অরাজকতা করতে চেয়েছে। বকশীবাজারে হামলা ও সংঘর্ষের পর ঢাকা মেডিকেলের সামনে হামলায় আহত আওয়ামী লীগের এমপি ছবি বিশ্বাসকে দেখতে গতকাল হাসপাতালে যান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বকশীবাজারে অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা গাড়িতে আগুন ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এদের অভ্যাস হচ্ছে এমনই। তারা হাসপাতালের মতো একটি নিরাপদ স্থানেও হামলা করেছে। রোগীদের স্বজনদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি দলে যতজন এমপি আছেন তাদের মধ্যে ছবি বিশ্বাস নেহায়েত একজন ভদ্র মানুষ। তার মতো একজন ভাল মানুষের ওপর এমন বর্বরভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, তা ভাবতেই পারা যায় না।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মামলার নিয়ম অনুযায়ী খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দিতে আসবেন। এটা তো আইনের বিধান। কিন্তু, তার সঙ্গে কেন বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হলেন? তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিচারপ্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল করা। হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে। পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কারও ওপর হামলা চালায়নি।
No comments