আসামে আবার বোড়ো হামলা
ভারতের
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের আরেকটি জেলায় হামলা চালিয়েছে বোড়ো
জঙ্গিরা। বুধবার আক্রান্ত নতুন এই জেলার নাম উদলগুরি। এ নিয়ে চার জেলায়
হামলা চালালো জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার এ খবর প্রকাশ করছে জিনিউজ। আসামে জঙ্গি
হামলার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২-এ দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত শুধু কোকড়াঝাড়
জেলাতেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ জনের। আরও হামলার আশংকায় রাজ্যজুড়ে
সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনী। কোকড়াঝাড়সহ আসামের চার
জেলায় জারি করা হয়েছে কারফিউ। এদিকে আসামে বোড়ো জঙ্গিদের হামলার জেরে আতংকে
রাজ্য ছেড়ে প্রায় ২০০০ মানুষ পালিয়ে গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় আসামের
কোকড়াঝাড় ও শিমুলবাড়ি থেকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার
কুমারগঞ্জে এসে আশ্রয় নিয়েছেন ছয় শতাধিক শরণার্থী। এদের মধ্যে অধিকাংশই
আদিবাসী নারী ও শিশু। তাদের জন্য স্থানীয় চ্যাংমাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের পাশে
একটি স্কুল বাড়িতে খোলা হয়েছে ত্রাণশিবির।
অন্যদিকে সন্ত্রাসকবলিত এলাকা পরিদর্শনে বৃহস্পতিবার আসামে আসার কথা দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি সেখানে পৌঁছাননি। বুধবার এক বিবৃতিতে রাজনাথ সিং বলেছেন, বোড়ো জঙ্গিরা যদি কোনো শান্তির প্রস্তাব দেয় তারপরও তা মানা হবে না। সন্ত্রাস আইনের অধীনেই তাদের বিচার করা হবে। পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান শুরু হবে বলেও এদিন জানান রাজনাথ। বুধবার জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে রাজ্যের শোনিতপুর ও ঢেকিয়াঝুলি এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এসময় পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হন। ফলে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় পঞ্চাশ কোম্পানি সিআরপিএফ। এদিকে বুধবার রাতেও আসামের বেশকিছু জায়গায় বাড়িতে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। ২৬ ডিসেম্বর আসামে হরতাল বা বন্ধের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন।
অন্যদিকে সন্ত্রাসকবলিত এলাকা পরিদর্শনে বৃহস্পতিবার আসামে আসার কথা দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি সেখানে পৌঁছাননি। বুধবার এক বিবৃতিতে রাজনাথ সিং বলেছেন, বোড়ো জঙ্গিরা যদি কোনো শান্তির প্রস্তাব দেয় তারপরও তা মানা হবে না। সন্ত্রাস আইনের অধীনেই তাদের বিচার করা হবে। পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান শুরু হবে বলেও এদিন জানান রাজনাথ। বুধবার জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে রাজ্যের শোনিতপুর ও ঢেকিয়াঝুলি এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এসময় পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হন। ফলে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় পঞ্চাশ কোম্পানি সিআরপিএফ। এদিকে বুধবার রাতেও আসামের বেশকিছু জায়গায় বাড়িতে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। ২৬ ডিসেম্বর আসামে হরতাল বা বন্ধের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন।
No comments