সংস্কার ও নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে চান সজীব ওয়াজেদ জয়
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ পুলিশ বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে। ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে সেনাবাহিনী। এমন অবস্থায় জেনারেল ওয়াকার বলেছেন, যেহেতু সেনাবাহিনী স্থিতিশীলতায় সমর্থন করে এ জন্য প্রতি সপ্তাহে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশের প্রধান দু’টি বিবদমান দল বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ- উভয়ই আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে। কিন্তু ক্ষমতায় আসা নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের আগে বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করেননি। বুধবার ড. ইউনূসের অফিস থেকে বলা হয়েছে, সংস্কার বিষয়ক প্যানেলের সুপারিশ পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে সরকার। বিবৃতিতে বলা হয়, যখন সংস্কারের বিষয়ে একমত হওয়া যাবে এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুত হবে, তখনই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। বিএনপি বলেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা নির্বাচন করতে চায়।
সজীব ওয়াজেদ জয় বসবাস করেন ওয়াশিংটনে। তিনি বলেছেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য আলোচনার জন্য কথা বলেননি তিনি বা অন্তর্বর্তী সরকার। তার ভাষায়- সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলকে (আওয়ামী লীগ) বাদ দিয়ে বৈধ সংস্কার ও নির্বাচন অসম্ভব। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা গত মাসে পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর দিল্লির কাছে একটি নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ে আছেন। আওয়ামী লীগের বহু সিনিয়র নেতাকে কমপক্ষে এক হাজার মানুষকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের ভূমিকার কারণে হয় গ্রেপ্তার করা হয়েছে না হয় তারা আত্মগোপন করেছেন। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধি মন্তব্য করতে রাজি হননি। নির্বাচন সংস্কার প্যানেলের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, রিভিউয়ের পর তিন মাসের মধ্যে তারা সুপারিশ উপস্থাপন করবেন। তার ভাষায়- আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করবে কিনা এবং নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করা সরকারের বিষয়।
গত মাসে সজীব ওয়াজেদ জয় রয়টার্সকে বলেছেন, দেশে বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত শেখ হাসিনা। ছাত্র আন্দোলনকারীদেরও একই দাবি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় বলে জানিয়েছেন জয়। শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে মঙ্গলবার তিনি বলেছেন- এটা তার (শেখ হাসিনা) বিষয়। ঠিক এই মুহূর্তে আমার দলের লোকজনকে নিরাপদ রাখতে চাই। তাই যে নৈরাজ্য চালানো হচ্ছে সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে চাই।
No comments