ঈদে সড়কে প্রাণ গেল ১৪২ জনের
ঈদুল
ফিতরের ছুটিতে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪২ জন নিহত ও ৩২৪ জন আহত হয়েছেন।
গত ৩০শে মে বৃহস্পতিবার থেকে ৯ই জুন রোববার পর্যন্ত ১১ দিনে রাজধানী ঢাকাসহ
দেশের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে সংঘটিত ৯৫টি দুর্ঘটনায় এসব
হতাহতের ঘটনা ঘটে। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ-যাতায়াত
পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল সোমবার এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি এই সংগঠন তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিভিন্ন
পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ, অনলাইন নিউজপোর্টাল, সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশন
চ্যানেলের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
জানিয়েছেন, এবারের ঈদে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে তবে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
জাতীয় কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদের আগে ৩রা জুন সোমবার শেষ কর্মদিবস থাকলেও এর আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক এবং রোববার শবে কদরের ছুটি ছিল। এ কারণে ঈদ-পূর্ব সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ৩০শে মে বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যত ঈদযাত্রা শুরু হয়।
ওইদিন সাতটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত হয় ও আটজন আহত হয়। ৩১শে মে ৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হন যথাক্রমে ছয়জন ও সাতজন। ১লা জুন ১১টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ১০ ও ৩১। ২রা জুন ১৫টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হন। ৩রা জুন সাতটি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪ঠা জুন দুর্ঘটনা ঘটেছে ছয়টি। এতে নিহত ও আহত হয়েছেন যথাক্রমে ১৬ জন ও ৬২ জন। ৫ই জুন ঈদুল ফিতরের দিন ১৬টি দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হয়েছেন। ৬ই জুন নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ১১ ও ৩৩। ওইদিন দুর্ঘটনা ঘটেছে আটটি। ৭ই জুন ছয়টি দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে ১১ জনের, আহত হয়েছেন ১৮ জন। ৮ই জুন সাতটি দুর্ঘটনায় আটজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। ৯ই জুন ৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৫ ও ২৪ জন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, নৌ ও রেলপথ ছিল দুর্ঘটনা মুক্ত। ঈদ-সার্ভিসে পর্যাপ্ত সংখ্যক লঞ্চ থাকায় ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোর সঙ্গে নৌ যোগাযোগ স্বাভাবিক ও যাত্রীভোগান্তি কম ছিল। তবে এক শ্রেণির নৌশ্রমিক ও কর্মচারি ডেকের যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছেন। অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে প্রযুক্তিগত সমস্যা ও ঈদ-যাত্রার প্রথম দিন থেকে দূরপাল্লার অনেক ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যয়ের কারণে অগণিত যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। দূরপাল্লার বিভিন্ন সড়কে মাত্রাতিরিক্ত বাসভাড়া আদায় বন্ধ করা যায়নি। ঈদের ছুটিতে রাজধানীর মধ্যে চলাচলরত বাস ও অটোরিকশাগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উবার ও পাঠাও’র মতো ইন্টারনেটভিত্তিক রাইড শেয়ারিং এ্যাপ্সের মাধ্যমে যাত্রী বহনকারী কোম্পানিগুলোও ঈদ-ছুটিতে তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়িয়েছিল।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি তাদের ঈদ-যাতায়াত পর্যবেক্ষণে সড়ক দুর্ঘটনার ছয়টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে। সেগুলো হলো- ঈদে বিভিন্ন মহাসড়ক ও ফেরিঘাটে তীব্র যানজটের কারণে ব্যয় হওয়া দীর্ঘ সময় পুষিয়ে নিতে ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো। দীর্ঘ ছুটির কারণে সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের বারবার তাগিদের কারণে চালকের অন্যমনস্কতা। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে বাড়তি ট্রিপ দেয়ার কারণে চালকের সাময়িক শারীরিক ও মানসিক অবসন্নতা। দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ওভারটেকিংয়ের ক্ষেত্রে চালকদের ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল।
জাতীয় কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদের আগে ৩রা জুন সোমবার শেষ কর্মদিবস থাকলেও এর আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক এবং রোববার শবে কদরের ছুটি ছিল। এ কারণে ঈদ-পূর্ব সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ৩০শে মে বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যত ঈদযাত্রা শুরু হয়।
ওইদিন সাতটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত হয় ও আটজন আহত হয়। ৩১শে মে ৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হন যথাক্রমে ছয়জন ও সাতজন। ১লা জুন ১১টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ১০ ও ৩১। ২রা জুন ১৫টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হন। ৩রা জুন সাতটি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪ঠা জুন দুর্ঘটনা ঘটেছে ছয়টি। এতে নিহত ও আহত হয়েছেন যথাক্রমে ১৬ জন ও ৬২ জন। ৫ই জুন ঈদুল ফিতরের দিন ১৬টি দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হয়েছেন। ৬ই জুন নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ১১ ও ৩৩। ওইদিন দুর্ঘটনা ঘটেছে আটটি। ৭ই জুন ছয়টি দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে ১১ জনের, আহত হয়েছেন ১৮ জন। ৮ই জুন সাতটি দুর্ঘটনায় আটজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। ৯ই জুন ৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৫ ও ২৪ জন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, নৌ ও রেলপথ ছিল দুর্ঘটনা মুক্ত। ঈদ-সার্ভিসে পর্যাপ্ত সংখ্যক লঞ্চ থাকায় ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোর সঙ্গে নৌ যোগাযোগ স্বাভাবিক ও যাত্রীভোগান্তি কম ছিল। তবে এক শ্রেণির নৌশ্রমিক ও কর্মচারি ডেকের যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছেন। অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে প্রযুক্তিগত সমস্যা ও ঈদ-যাত্রার প্রথম দিন থেকে দূরপাল্লার অনেক ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যয়ের কারণে অগণিত যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। দূরপাল্লার বিভিন্ন সড়কে মাত্রাতিরিক্ত বাসভাড়া আদায় বন্ধ করা যায়নি। ঈদের ছুটিতে রাজধানীর মধ্যে চলাচলরত বাস ও অটোরিকশাগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উবার ও পাঠাও’র মতো ইন্টারনেটভিত্তিক রাইড শেয়ারিং এ্যাপ্সের মাধ্যমে যাত্রী বহনকারী কোম্পানিগুলোও ঈদ-ছুটিতে তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়িয়েছিল।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি তাদের ঈদ-যাতায়াত পর্যবেক্ষণে সড়ক দুর্ঘটনার ছয়টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে। সেগুলো হলো- ঈদে বিভিন্ন মহাসড়ক ও ফেরিঘাটে তীব্র যানজটের কারণে ব্যয় হওয়া দীর্ঘ সময় পুষিয়ে নিতে ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো। দীর্ঘ ছুটির কারণে সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের বারবার তাগিদের কারণে চালকের অন্যমনস্কতা। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে বাড়তি ট্রিপ দেয়ার কারণে চালকের সাময়িক শারীরিক ও মানসিক অবসন্নতা। দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ওভারটেকিংয়ের ক্ষেত্রে চালকদের ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল।
No comments