সৌদি শত্রুতার গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা নেই: মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড
ব্রাদারহুডের উপ প্রধান ইব্রাহিম মুনির |
মিশরের
বৃহত্তম ইসলামপন্থি সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড এই সংগঠনের বিরুদ্ধে সৌদি
আরবের অবস্থানকে ‘অবোধগম্য ও ব্যাখ্যার অযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছে।
ব্রাদারহুডের উপ প্রধান ইব্রাহিম মুনির ‘আরব২১’ নিউজ চ্যানেলকে দেয়া এক
সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, মুসলিম ব্রাদারহুড এখন পর্যন্ত
সৌদি আরবের শত্রুতার কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা খুঁজে পায়নি।
ইব্রাহিম মুনির বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রকৃত অর্থেই বলির পাঠা হয়েছে; কারণ, ব্রাদারহুড এখন পর্যন্ত এমন কোনো কাজ করেনি যার ফলে সৌদি আরব সংগঠনটির সঙ্গে এত বড় শত্রুতা করে যাচ্ছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডের উপ প্রধান বলেন, তার সংগঠন কখনোই সৌদি আরব বা অন্য কোনো আরব দেশের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হুমকি হয়ে ওঠেনি। এ ছাড়া, এই সংগঠন সব সময় আরব দেশগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ব্রাদারহুডের এই নেতা বলেন, তার সংগঠনের কাছে এখনো এ বিষয়টি বোধগম্য নয় কিছু আরব শাসক কেন মিশরের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করছেন এবং কেনই বা মিশরের জনগণের পক্ষ থেকে স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
২০১৩ সালে মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও ব্রাদারহুড নেতা মোহাম্মাদ মুরসির সরকারের বিরুদ্ধে যে সামরিক অভ্যুত্থান হয় তার অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল সৌদি আরব। ওই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল সিসি বর্তমানে মিশরের ‘নির্বাচিত’ প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৩ সালের ওই অভ্যুত্থানের পর সৌদি আরব মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
ইব্রাহিম মুনির বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রকৃত অর্থেই বলির পাঠা হয়েছে; কারণ, ব্রাদারহুড এখন পর্যন্ত এমন কোনো কাজ করেনি যার ফলে সৌদি আরব সংগঠনটির সঙ্গে এত বড় শত্রুতা করে যাচ্ছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডের উপ প্রধান বলেন, তার সংগঠন কখনোই সৌদি আরব বা অন্য কোনো আরব দেশের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হুমকি হয়ে ওঠেনি। এ ছাড়া, এই সংগঠন সব সময় আরব দেশগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ব্রাদারহুডের এই নেতা বলেন, তার সংগঠনের কাছে এখনো এ বিষয়টি বোধগম্য নয় কিছু আরব শাসক কেন মিশরের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করছেন এবং কেনই বা মিশরের জনগণের পক্ষ থেকে স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
২০১৩ সালে মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও ব্রাদারহুড নেতা মোহাম্মাদ মুরসির সরকারের বিরুদ্ধে যে সামরিক অভ্যুত্থান হয় তার অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল সৌদি আরব। ওই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল সিসি বর্তমানে মিশরের ‘নির্বাচিত’ প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৩ সালের ওই অভ্যুত্থানের পর সৌদি আরব মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
২০১৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে কারাবন্দি রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসি |
No comments