যৌথ সংবাদ সম্মেলন: জারিফের এসব প্রশ্নের জবাব কী?
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হাইকো মাস (বামে) ও জাওয়াদ জারিফ |
তেহরান
সফররত জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে
বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ
বহুসংখ্যক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরিকার সঙ্গে ইরান কী নিয়ে
আলোচনা করবে? বরং ইরান চায় পরমাণু সমঝোতা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করুক
ইউরোপ।
আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছে তা উল্লেখ করে জারিফ আরো বলেন, পরমাণু সমঝোতা সম্পর্কে আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, তাদের সঙ্গে আলোচনার আর কিছু নেই। তিনি বলেন, “দুই বছর লাগাতার আলোচনা এবং ১২ বছরের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর এই সমঝোতা সই হয়েছিল। তারা কী সেই সমঝোতা বাস্তবায়ন করেছে যে, এখন তারা অন্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা আশা করে?”
জাওয়াদ জারিফ বলেন, “আমাদেরকে তাদের দেখাতে হবে যে, আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় লাভ আছে তারপর তারা আলোচনার কথা বলুক।” মধ্যপ্রাচ্যে ইরান অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে বলে আমেরিকা যে অভিযোগ তুলেছে তাও নাকচ করেন জারিফ। তিনি বলেন, “কে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে? আমরা কী সাদ্দাম হোসেইনকে অস্ত্র দিয়েছিলাম? আমরা কী আল-কায়েদাকে সমর্থন দিয়েছি? আমরা কী লেবাননের প্রধানমন্ত্রীকে কারাবন্দী করেছিলাম?
তিনি আরো প্রশ্ন করেন, “আমরা কী প্রতিদিন ইয়েমেনে বোমা হামলা চালাচ্ছি? আমরা কী দায়েশ ও আন-নুসরা ফ্রন্টকে সমর্থন দিয়েছি? আমরা কী এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অস্ত্র দিয়েছি নাকি তারা সৌদি আরব থেকে আমেরিকার অস্ত্র পেয়েছে?”
সংবাদ সম্মেলনে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, ইউরোপের তিন দেশ জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন পরমাণু সমঝোতা রক্ষার পরিকল্পনা নিয়েছে তবে এ থেকে অলৌকিকভাবে কোনো ফলাফল বের করে আনা সম্ভব নয়। তিনি আরো জানান, বার্লিন, লন্ডন ও প্যারিস ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ইনসটেক্স চালুর চেষ্টা করছে যাতে ইরান লাভবান হতে পারে। আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বের হয়ে যাওয়ার কারণে ইরান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন সে ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে বলেও তিনি জানান।
আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছে তা উল্লেখ করে জারিফ আরো বলেন, পরমাণু সমঝোতা সম্পর্কে আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, তাদের সঙ্গে আলোচনার আর কিছু নেই। তিনি বলেন, “দুই বছর লাগাতার আলোচনা এবং ১২ বছরের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর এই সমঝোতা সই হয়েছিল। তারা কী সেই সমঝোতা বাস্তবায়ন করেছে যে, এখন তারা অন্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা আশা করে?”
জাওয়াদ জারিফ বলেন, “আমাদেরকে তাদের দেখাতে হবে যে, আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় লাভ আছে তারপর তারা আলোচনার কথা বলুক।” মধ্যপ্রাচ্যে ইরান অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে বলে আমেরিকা যে অভিযোগ তুলেছে তাও নাকচ করেন জারিফ। তিনি বলেন, “কে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে? আমরা কী সাদ্দাম হোসেইনকে অস্ত্র দিয়েছিলাম? আমরা কী আল-কায়েদাকে সমর্থন দিয়েছি? আমরা কী লেবাননের প্রধানমন্ত্রীকে কারাবন্দী করেছিলাম?
তিনি আরো প্রশ্ন করেন, “আমরা কী প্রতিদিন ইয়েমেনে বোমা হামলা চালাচ্ছি? আমরা কী দায়েশ ও আন-নুসরা ফ্রন্টকে সমর্থন দিয়েছি? আমরা কী এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অস্ত্র দিয়েছি নাকি তারা সৌদি আরব থেকে আমেরিকার অস্ত্র পেয়েছে?”
সংবাদ সম্মেলনে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, ইউরোপের তিন দেশ জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন পরমাণু সমঝোতা রক্ষার পরিকল্পনা নিয়েছে তবে এ থেকে অলৌকিকভাবে কোনো ফলাফল বের করে আনা সম্ভব নয়। তিনি আরো জানান, বার্লিন, লন্ডন ও প্যারিস ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ইনসটেক্স চালুর চেষ্টা করছে যাতে ইরান লাভবান হতে পারে। আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বের হয়ে যাওয়ার কারণে ইরান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন সে ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে বলেও তিনি জানান।
No comments