অ্যাসাঞ্জকে মুক্ত করার চেষ্টা ফের ব্যর্থ
জুলিয়ান
অ্যাসাঞ্জকে মুক্ত করার চেষ্টা আরেকবার ব্যর্থ হল। ব্রিটেনের ইকুয়েডর
দূতাবাস থেকে বের হলেই গ্রেফতারের মুখোমুখি হতে হবে উইকিলিকস
প্রতিষ্ঠাতাকে। আদালতে তার আইনজীবীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, তার গ্রেফতারি
পরোয়ানা বাতিল করে দেয়া উচিত। কারণ সুইডেনের কর্তৃপক্ষ গত বছর তার বিরুদ্ধে
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত খারিজ করে দিয়েছে।
কিন্তু লন্ডনের বিচারক বলে
দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা এখনও বৈধ। জ্যেষ্ঠ জেলা জজ এমা
আরবুথনট বুধবার অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন।-খবর গার্ডিয়ান ও
টেলিগ্রাফের তার আইনজীবী পৃথক একটি আবেদন করেছেন। যাতে তিনি বলেছেন-
জনস্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে তার বিরুদ্ধে যে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তা বাতিল
করা উচিত। ভবিষ্যতে তিনি যাতে দূতাবাস থেকে হেঁটে বের হতে পারেন, সেই
সুযোগ রাখা দরকার। ৪৬ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ ২০১২ সালে জামিনে মুক্তি পাওয়ার
পর থেকে আদালতের শুনানিতে হাজির হননি। ধর্ষণের অভিযোগে সুইডেনে
প্রত্যর্পণের ভয়ে পাঁচ বছর ধরে তিনি ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে আছেন।
অ্যাসঞ্জের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। ২০১২ সালে
তাকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। আইনজীবীরা দাবি করেন, সেই
পরোয়ানার কোনো বৈধতা নেই। কিন্তু বিচারক বলছেন, যেহেতু অ্যাসাঞ্জ আদালতের
কাছে নিজেকে সোপর্দ করেননি। কাজেই আনুষ্ঠানিক জামিনের শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে
লন্ডনের নাইটব্রিজ ভবন থেকে বের হলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে। অ্যাসাঞ্জের
আইনজীবী মার্ক শুমারস বলেন, অ্যাসাঞ্জ যে যে শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন, তা
ন্যায়সঙ্গত হচ্ছে না। আইনজীবী জেনিফার রবিনসন বলেন, গত সাত বছর ধরে
অ্যাসাঞ্জকে আটকাবস্থা থেকে মুক্তর করা জন্য আমরা লড়াই করে যাচ্ছি। তার
স্বাধীনতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।
No comments