ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
কেউ
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে কী করবেন? by আমাদের দেশে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর
হাজার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ফলে বিদ্যুতপ্রবাহ
শরীরের রক্ত সঞ্চালনা প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে স্নায়ুতন্ত্র এবং
শ্বসনতন্ত্রকে আঘাত করে প্রকাণ্ডভাবে। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই রোগী অজ্ঞান
হয়ে পড়ে। শরীরের টিসুগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎপ্রবাহের ফলে গভীর দাহের সৃষ্টি
হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তি ভেজা কাপড় পড়া থাকলে কিংবা শরীর ভেজা থাকলে
বিদ্যুতের আঘাত তীব্রতর হয়। ব্যক্তির হৃদযন্ত্র শ্বাসতন্ত্র ও মস্তিষ্কের
প্রাথমিক অসাড়তার কারণে মৃত্যু ঘটে। ওই ব্যক্তিকে অন্য কেউ স্পর্শ করলে
তারও একই পরিণতি হবে। যা করবেন :
১. বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তি যদি তখনো বিদ্যুতের আওতাধীন থাকে অর্থাৎ তার শরীরে কিংবা হাতে পায়ে তার জড়ানো থাকে তাহলে প্রথমেই মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে কিংবা সকেট থেকে প্লাগ সরিয়ে ফেলতে হবে।
২. যদি উপরি উক্ত ব্যবস্থা না করা যায় তবে বিদ্যুৎ অপরিবাহী কিছু দিয়ে ব্যক্তির শরীর থেকে বৈদ্যুতিক তার সরিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে লম্বা, একেবারে শুকনা বাঁশ বা লাঠি, একটি শুকনো দড়ি কিংবা লম্বা শুকনো কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে রক্ষাকারীর হাত দুটো অবশ্যই শুকনো রাখতে হবে ও শুকনো কোনো কিছুর ওপর দাঁড়িয়ে কাজটি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পায়ে স্পঞ্জের স্যান্ডেল থাকতে হবে।
৪. বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে বিদ্যুৎপ্রবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করার সাথে সাথেই যদি দরকার হয় কৃত্রিম শ্বসনপ্রক্রিয়া চালু করতে হবে ও বাইরে থেকে বুকে চাপ দিয়ে (হৃদযন্ত্র) তাকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
৫. প্রয়োজনে রোগীকে উপুড় করে রোগীর এক হাত লম্বা করে এবং অন্য হাতটি ভাঁজ করে মাথার নিচে রেখে রোগীর পিঠে চাপ দেয়া যেতে পারে।
৬. এরপর দ্রুত রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই সময় রোগীর দেহে জলীয় উপাদানের ঘাটতি দেখা যায়। তাই রোগী যেন প্রচুর জলীয় উপাদান পায় সে দিকে নজর দিতে হবে।
লেখক : স্বাস্থ্য নিবন্ধকার, গল্পকার ও সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমা বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।
চেম্বার : পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি., ২, ইংলিশ রোড, ঢাকা।
ফোন: ০১৭১৬২৮৮৮৫৫
১. বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তি যদি তখনো বিদ্যুতের আওতাধীন থাকে অর্থাৎ তার শরীরে কিংবা হাতে পায়ে তার জড়ানো থাকে তাহলে প্রথমেই মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে কিংবা সকেট থেকে প্লাগ সরিয়ে ফেলতে হবে।
২. যদি উপরি উক্ত ব্যবস্থা না করা যায় তবে বিদ্যুৎ অপরিবাহী কিছু দিয়ে ব্যক্তির শরীর থেকে বৈদ্যুতিক তার সরিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে লম্বা, একেবারে শুকনা বাঁশ বা লাঠি, একটি শুকনো দড়ি কিংবা লম্বা শুকনো কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে রক্ষাকারীর হাত দুটো অবশ্যই শুকনো রাখতে হবে ও শুকনো কোনো কিছুর ওপর দাঁড়িয়ে কাজটি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পায়ে স্পঞ্জের স্যান্ডেল থাকতে হবে।
৪. বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে বিদ্যুৎপ্রবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করার সাথে সাথেই যদি দরকার হয় কৃত্রিম শ্বসনপ্রক্রিয়া চালু করতে হবে ও বাইরে থেকে বুকে চাপ দিয়ে (হৃদযন্ত্র) তাকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
৫. প্রয়োজনে রোগীকে উপুড় করে রোগীর এক হাত লম্বা করে এবং অন্য হাতটি ভাঁজ করে মাথার নিচে রেখে রোগীর পিঠে চাপ দেয়া যেতে পারে।
৬. এরপর দ্রুত রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই সময় রোগীর দেহে জলীয় উপাদানের ঘাটতি দেখা যায়। তাই রোগী যেন প্রচুর জলীয় উপাদান পায় সে দিকে নজর দিতে হবে।
লেখক : স্বাস্থ্য নিবন্ধকার, গল্পকার ও সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমা বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।
চেম্বার : পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি., ২, ইংলিশ রোড, ঢাকা।
ফোন: ০১৭১৬২৮৮৮৫৫
No comments