খালেদার রায়, যানজট হেলিকপ্টার এবং... by মুসা বিন মোহাম্মদ, হাফিজ মুহাম্মদ, সুদীপ অধিকারী
ঢাকা
মেট্রো-ব ১১-৫৯০৯। বিআরটিসির বাস। গন্তব্য শাহবাগ থেকে ফার্মগেট। মঙ্গলবার
বেলা ১২টা। মহিলা সিটে পুরুষ যাত্রী। অতিরিক্ত যাত্রী তোলা আর বেশি ভাড়ার
অভিযোগ।
যাত্রীদের আলোচনা মোড় নেয় নানাদিকে। যানজট থেকে উন্নয়ন। বাদ যায় না রাজনীতিও।
ঢাকার রাস্তায় এমনিতেই গতকাল যানবাহন ছিল অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম। গণপরিবহনে যাত্রীদের ভিড়। মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল উপস্থিতি। দ্বিতল বাসের নিচ তলায় বসে আসাদ নামের এক যাত্রী বলেন, দেশে এত উন্নয়নের জোয়ার বইছে যে, শাহবাগ থেকে বাংলামোটর যেতে ঘণ্টা পার। এই অসহ্য যানজট নিরসনে শাহবাগে একটি ফ্লাইওভার করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। আসাদ নামের ওই যাত্রীর কথা শেষ না হতেই তার পাশের আসনে বসা আরেক যাত্রী বলেন, ‘সঙ্গে মহিলা না থাকলে হেঁটেই যানজট জয় করতাম।’ কাজী নজরুল ইসলাম সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ছিল প্রচুর পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি। এসময় এক যাত্রী বলেন, হঠাৎ মোড়ে এত পুলিশ কেন। কারণটা কি? প্রশ্ন শেষ না হতেই কথা কেড়ে নিয়ে আরেক যাত্রী বললেন, আপনি জানেন না- খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় দুইদিন পর। রায়ে যদি জেল হয় দলের সমর্থকরা কী ঘরে বসে থাকবে নাকি? সামনের সিটে বসা যাত্রী ঘাড় ঘুরিয়ে উচ্চ স্বরে বললেন, যানজটে মানুষের কতো সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেদিকে কারো মাথাব্যথা নেই। রাজনীতিবিদরা বসে আছে হামলা, মামলা নিয়ে। এ দেশে জনগণের কোনো দাম নেই।
৫ই ফেব্রুয়ারি, সোমবার রাত ৯টা। সদরঘাট থেকে চিড়িয়াখানা রোডে চলাচল করে তানজিল পরিবহন। তানজিল পরিবহনের একটি বাসে কাওরান বাজার থেকে উঠেন এ প্রতিবেদক। সোমবার রাতে কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক দিয়ে ভিআইপি যান। এ কারণে সড়কটিতে কিছুটা সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকে। বাসে সমালোচনার ঝড় ছিল সড়ক বন্ধ করে কেন ভিআইপি চলতে হবে এ নিয়ে। দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফার্মগেট থেকে এ বাসে উঠেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। তারা বসার সিট না পেয়ে বাসের কন্ডাক্টরের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে শুরু করে দেন। ‘এই মামা গেট লক করে দে।’ পাশ থেকে আরেকজন বলে উঠে ‘গেট লক না করলে লোকাল ভাড়া পাবি’। এরপর শুরু আরো নানা কথা। একজন বলেন, ‘সড়ক বন্ধ করে কেন সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলতে হবে। তারা তো হেলিকপ্টারে করেই যেতে পারেন। তাহলে তো আমাদের আর কোনো কষ্ট হয় না।’ এ যাত্রীর কথা টেনে ধরেই পাশের অন্য একজন বলেন, ‘রাস্তা কী আর আমাদের আছে- এটা এখন ভিআইপিদের জন্য। আমরা ঠিকভাবে অফিস করতে পারি না। এরচেয়েও ভয়ানক কথা হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত জ্যামে আটকে পড়ে। কত রোগী পথে আটকে মারা যান তার খবর কয়জন রাখে।’ বাসটি মানিক মিয়া এভিনিউ ধরে যেয়ে আসাদগেট মোড়ে সিগন্যালে পড়ে। এখানে প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। আর বাসের লোকজনের তখন কথার পয়েন্ট পরিবর্তন হয়ে আলোচনা শুরু হয় যানজট নিয়ে। মধ্য বয়সী এক যুবক বলেন, ‘এ শহর তো এখন মৃত্যুকূপ। আপনি কোথাও শান্তিতে থাকতে পারবেন না। রাস্তায় বের হলে কয়েক ঘণ্টা ব্যয় করতে হয়। ১০ মিনিটের পথ এক থেকে দেড় ঘণ্টা লেগে যায়। কই সরকার তো এজন্য কিছুই করছে না। বরং আগে শুক্র-শনিবার সরকারি ছুটির দিনে রাস্তায় তেমন যানজট হতো না। এখন ছুটির দিনেই দেখা যায় বেশি যানজট।’ এ যাত্রীর কথা টেনে আরেকজন বলেন, ‘কেন শহরের মধ্যে বাসস্টেশন থাকবে। সন্ধ্যার পর থেকেই মিরপুর রোডে যানজট লেগে থাকে শুধুমাত্র পরিবহন ঢোকার জন্য। শ্যামলী থেকে কল্যাণপুর পার হতেই লেগে যায় এক ঘণ্টা।’ প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত সময় ব্যয় নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেন। একটু সময় নীরব থাকার পর পেছন থেকে এক যাত্রী বলে উঠেন- ‘৮ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায়ের পরে আবার ঢাকার অবস্থা যে কী হবে তা বলতে পারছি না। ২০১৪ সালের মতো জ্বালাও-পোড়াও হবে নাকি বিরোধী পক্ষ রায় মেনে নেবে- তাই দেখার বিষয়। পাশ থেকে এক ব্যক্তি বলে উঠেন- এটা তো সরকারের ইচ্ছা। তিনি যেমন চাইবেন তেমনি হবে। তবে সরকার চায় বিএনপি যেন আর রাজনীতি না করতে পারে। এক ব্যক্তি তখন বলে উঠেন- ‘মামলার রায় আগেই তো ঠিক করা।’ তখন পাশের
এক যাত্রী বলেন, ‘আদালতের ব্যাপারে ফাও প্যাঁচাল না পাইর্যা চুপ থাকেন। আপনারা পাবলিক বাসটিকে নিজেদের বাসাবাড়ি বানিয়ে ফেলছেন।’ তখন সবাই চুপ হয়ে যান। টেকনিক্যাল মোড় পার হওয়ার পরে নেমে পড়েন কয়েক যাত্রী। বন্ধ হয়ে যায় তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা।
ধানমন্ডি টু গুলিস্তান। মৈত্রী বাসে প্রতিদিন যাতায়াত করেন অনেক মানুষ। যাত্রাপথে তাদের অনেকের মধ্যেই গড়ে উঠেছে হৃদতার সম্পর্ক। যাওয়া-আসার পথে নিয়মিতই চলে তাদের খোশগল্প। রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা আসাদ মিয়া ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত মুনিবুর রহমান গল্প করছিলেন আগামী নির্বাচন নিয়ে। মূলত নির্বাচনের বছর ঘিরে দেশ এক অসহনীয় পরিবেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে- এটা নিয়েই কথা বলছিলেন তারা। দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা-নেত্রীদের কিছু দিনের ব্যবধানে সিলেট যাত্রার কথাও শোনা যায় তাদের মুখে। কয়েক শিক্ষার্থীর আলোচনায় ঠাঁই পায় ছাত্রলীগ প্রসঙ্গ। তারা বলেন, এখন যেন সবাই ছাত্রলীগ করে। পড়ালেখা না করে শুধু বড় ভাইদের পেছন পেছন ঘুরে বেড়ানোই এদের মূল কাজ। কোনো শিক্ষককেও তোয়াক্কা করে না এরা। মিছিল-মিটিংয়ে না গেলেও সাধারণ ছাত্রদের ধরে নিয়ে যায়। আর কেউ না যেতে চাইলে তার ওপর চলে নির্যাতন। অনেকের কথোপকথনে উঠে আসে ঢাকার অসহনীয় যানজটের কথা। তারা বলেন, মূলত অত্যধিক প্রাইভেট কার ও রিকশার জন্যই ঢাকায় এত যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ঘড়ি ধরে বাসা থেকে বের হয়ে কোথাও সঠিক সময়ে পৌঁছানো সম্ভব না। গাড়িতে উঠলেই জীবন কেমন জিম্মি হয়ে পড়ে। তখন গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় হয়ে যায় অনিশ্চিত। একমাত্র বিআরটিএ ও সরকারের সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমেই ঢাকাবাসীর এই যানজট বেদনা একটু লাঘব হওয়া সম্ভব বলেও মন্তব্য তাদের।
যাত্রীদের আলোচনা মোড় নেয় নানাদিকে। যানজট থেকে উন্নয়ন। বাদ যায় না রাজনীতিও।
ঢাকার রাস্তায় এমনিতেই গতকাল যানবাহন ছিল অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম। গণপরিবহনে যাত্রীদের ভিড়। মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল উপস্থিতি। দ্বিতল বাসের নিচ তলায় বসে আসাদ নামের এক যাত্রী বলেন, দেশে এত উন্নয়নের জোয়ার বইছে যে, শাহবাগ থেকে বাংলামোটর যেতে ঘণ্টা পার। এই অসহ্য যানজট নিরসনে শাহবাগে একটি ফ্লাইওভার করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। আসাদ নামের ওই যাত্রীর কথা শেষ না হতেই তার পাশের আসনে বসা আরেক যাত্রী বলেন, ‘সঙ্গে মহিলা না থাকলে হেঁটেই যানজট জয় করতাম।’ কাজী নজরুল ইসলাম সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ছিল প্রচুর পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি। এসময় এক যাত্রী বলেন, হঠাৎ মোড়ে এত পুলিশ কেন। কারণটা কি? প্রশ্ন শেষ না হতেই কথা কেড়ে নিয়ে আরেক যাত্রী বললেন, আপনি জানেন না- খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় দুইদিন পর। রায়ে যদি জেল হয় দলের সমর্থকরা কী ঘরে বসে থাকবে নাকি? সামনের সিটে বসা যাত্রী ঘাড় ঘুরিয়ে উচ্চ স্বরে বললেন, যানজটে মানুষের কতো সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেদিকে কারো মাথাব্যথা নেই। রাজনীতিবিদরা বসে আছে হামলা, মামলা নিয়ে। এ দেশে জনগণের কোনো দাম নেই।
৫ই ফেব্রুয়ারি, সোমবার রাত ৯টা। সদরঘাট থেকে চিড়িয়াখানা রোডে চলাচল করে তানজিল পরিবহন। তানজিল পরিবহনের একটি বাসে কাওরান বাজার থেকে উঠেন এ প্রতিবেদক। সোমবার রাতে কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক দিয়ে ভিআইপি যান। এ কারণে সড়কটিতে কিছুটা সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকে। বাসে সমালোচনার ঝড় ছিল সড়ক বন্ধ করে কেন ভিআইপি চলতে হবে এ নিয়ে। দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফার্মগেট থেকে এ বাসে উঠেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। তারা বসার সিট না পেয়ে বাসের কন্ডাক্টরের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে শুরু করে দেন। ‘এই মামা গেট লক করে দে।’ পাশ থেকে আরেকজন বলে উঠে ‘গেট লক না করলে লোকাল ভাড়া পাবি’। এরপর শুরু আরো নানা কথা। একজন বলেন, ‘সড়ক বন্ধ করে কেন সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলতে হবে। তারা তো হেলিকপ্টারে করেই যেতে পারেন। তাহলে তো আমাদের আর কোনো কষ্ট হয় না।’ এ যাত্রীর কথা টেনে ধরেই পাশের অন্য একজন বলেন, ‘রাস্তা কী আর আমাদের আছে- এটা এখন ভিআইপিদের জন্য। আমরা ঠিকভাবে অফিস করতে পারি না। এরচেয়েও ভয়ানক কথা হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত জ্যামে আটকে পড়ে। কত রোগী পথে আটকে মারা যান তার খবর কয়জন রাখে।’ বাসটি মানিক মিয়া এভিনিউ ধরে যেয়ে আসাদগেট মোড়ে সিগন্যালে পড়ে। এখানে প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। আর বাসের লোকজনের তখন কথার পয়েন্ট পরিবর্তন হয়ে আলোচনা শুরু হয় যানজট নিয়ে। মধ্য বয়সী এক যুবক বলেন, ‘এ শহর তো এখন মৃত্যুকূপ। আপনি কোথাও শান্তিতে থাকতে পারবেন না। রাস্তায় বের হলে কয়েক ঘণ্টা ব্যয় করতে হয়। ১০ মিনিটের পথ এক থেকে দেড় ঘণ্টা লেগে যায়। কই সরকার তো এজন্য কিছুই করছে না। বরং আগে শুক্র-শনিবার সরকারি ছুটির দিনে রাস্তায় তেমন যানজট হতো না। এখন ছুটির দিনেই দেখা যায় বেশি যানজট।’ এ যাত্রীর কথা টেনে আরেকজন বলেন, ‘কেন শহরের মধ্যে বাসস্টেশন থাকবে। সন্ধ্যার পর থেকেই মিরপুর রোডে যানজট লেগে থাকে শুধুমাত্র পরিবহন ঢোকার জন্য। শ্যামলী থেকে কল্যাণপুর পার হতেই লেগে যায় এক ঘণ্টা।’ প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত সময় ব্যয় নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেন। একটু সময় নীরব থাকার পর পেছন থেকে এক যাত্রী বলে উঠেন- ‘৮ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায়ের পরে আবার ঢাকার অবস্থা যে কী হবে তা বলতে পারছি না। ২০১৪ সালের মতো জ্বালাও-পোড়াও হবে নাকি বিরোধী পক্ষ রায় মেনে নেবে- তাই দেখার বিষয়। পাশ থেকে এক ব্যক্তি বলে উঠেন- এটা তো সরকারের ইচ্ছা। তিনি যেমন চাইবেন তেমনি হবে। তবে সরকার চায় বিএনপি যেন আর রাজনীতি না করতে পারে। এক ব্যক্তি তখন বলে উঠেন- ‘মামলার রায় আগেই তো ঠিক করা।’ তখন পাশের
এক যাত্রী বলেন, ‘আদালতের ব্যাপারে ফাও প্যাঁচাল না পাইর্যা চুপ থাকেন। আপনারা পাবলিক বাসটিকে নিজেদের বাসাবাড়ি বানিয়ে ফেলছেন।’ তখন সবাই চুপ হয়ে যান। টেকনিক্যাল মোড় পার হওয়ার পরে নেমে পড়েন কয়েক যাত্রী। বন্ধ হয়ে যায় তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা।
ধানমন্ডি টু গুলিস্তান। মৈত্রী বাসে প্রতিদিন যাতায়াত করেন অনেক মানুষ। যাত্রাপথে তাদের অনেকের মধ্যেই গড়ে উঠেছে হৃদতার সম্পর্ক। যাওয়া-আসার পথে নিয়মিতই চলে তাদের খোশগল্প। রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা আসাদ মিয়া ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত মুনিবুর রহমান গল্প করছিলেন আগামী নির্বাচন নিয়ে। মূলত নির্বাচনের বছর ঘিরে দেশ এক অসহনীয় পরিবেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে- এটা নিয়েই কথা বলছিলেন তারা। দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা-নেত্রীদের কিছু দিনের ব্যবধানে সিলেট যাত্রার কথাও শোনা যায় তাদের মুখে। কয়েক শিক্ষার্থীর আলোচনায় ঠাঁই পায় ছাত্রলীগ প্রসঙ্গ। তারা বলেন, এখন যেন সবাই ছাত্রলীগ করে। পড়ালেখা না করে শুধু বড় ভাইদের পেছন পেছন ঘুরে বেড়ানোই এদের মূল কাজ। কোনো শিক্ষককেও তোয়াক্কা করে না এরা। মিছিল-মিটিংয়ে না গেলেও সাধারণ ছাত্রদের ধরে নিয়ে যায়। আর কেউ না যেতে চাইলে তার ওপর চলে নির্যাতন। অনেকের কথোপকথনে উঠে আসে ঢাকার অসহনীয় যানজটের কথা। তারা বলেন, মূলত অত্যধিক প্রাইভেট কার ও রিকশার জন্যই ঢাকায় এত যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ঘড়ি ধরে বাসা থেকে বের হয়ে কোথাও সঠিক সময়ে পৌঁছানো সম্ভব না। গাড়িতে উঠলেই জীবন কেমন জিম্মি হয়ে পড়ে। তখন গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় হয়ে যায় অনিশ্চিত। একমাত্র বিআরটিএ ও সরকারের সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমেই ঢাকাবাসীর এই যানজট বেদনা একটু লাঘব হওয়া সম্ভব বলেও মন্তব্য তাদের।
No comments