১০০ বছর পরও পুরুষের সমান হয়নি নারী
এখন
থেকে ১০০ বছর আগে ভোটাধিকার অর্জন করে ব্রিটেনের নারীরা। তবে ১০০ বছর পরও
দেশটিতে নানা ক্ষেত্রে পুরুষের সমান অধিকার পায়নি নারীরা। নারীর সম-অধিকার
এক ধরনের মায়াই রয়ে গেছে। তবে সম্প্রতি নারীর যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে
বিশ্বব্যাপী যে নারীজাগরণ তৈরি হয়েছে, তা নারীর সম-অধিকারের ধারণাক নতুন
করে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। নারীর ভোটাধিকার প্রাপ্তির ১০০ বছর পূর্তি
উপলক্ষে এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন এক খ্যাতনামা নারীবাদী
লেখিকা। প্যারিসের দিদারাত ইউনিভার্সিটির উইমেনস হিস্টরি অ্যান্ড জেন্ডার
স্টাডি বিভাগের অধ্যাপক মারিয়াম বোসাহবা। ব্রাভার্দ বলেন, ‘এটা মূলত নারীর
সম-অধিকারের প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা। ভোটাধিকার নারীকে আনুষ্ঠানিক অধিকার
দিয়েছে।
তবে এখন নারীর প্রকৃত সম-অধিকারের প্রশ্ন সামনে আসছে।’ ব্রিটিশ
নারীদের ভোটাধিকার দেয়া দ্য রিপ্রেজেনটেশন অব দ্য পিপল অ্যাক্ট নামের আইনটি
গৃহীত হয় ১৯১৮ সালের ৬ ফেব্র“য়ারি। এ আইন অনুসারে ত্রিশোর্ধ্ব সম্পদশালী
নারীরাই ভোট দিতে পারতেন। একই আইনে পুরুষদের বয়স ৩০ থেকে ২১ করা হয়।
ব্রিটেনকে অনুসরণ করে একই বছর অস্ট্রিয়া ও জার্মানিও নারীদের ভোটাধিকার
নিশ্চিত করে। তবে নারীদের ভোটাধিকার দেয়ার ক্ষেত্রে প্রথম দেশ
নিউজিল্যান্ড। ১৮৯৩ সালে এ মর্মে আইন পাস করে দেশটি। আদিবাসী নারীদের বাদ
দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার নারীরা এ অধিকার পায় ১৯০২ সালে। ইউরোপের প্রথম দেশ
হিসেবে ১৯০৬ সালে ফিনল্যান্ড এ উদ্যোগ নেয়। ব্রিটিশ নারীরা ১০০ বছর ধরে ভোট
দিলেও রাজনৈতিক ক্ষমতার ক্ষেত্রে তারা এখনও সংখ্যালঘু।
No comments