এখানে আপনার কাজটা কী?
তুরস্কের
প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান বলেছেন, সিরিয়ায় আইএসের পতনের পর আমরিকা এখন
উত্তর সিরিয়ায় ইরান, রাশিয়া ও তুরস্কের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
আমেরিকা সেখানে দামেস্ক-বিরোধী কুর্দি গেরিলাদের মদদ দিচ্ছে। ক্ষমতাসীন
জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্ট বা একেপি’র সদস্যদের উদ্দেশে এরদোগান এসব
কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “আমেরিকা যদি বলে আইএস বিরোধী লড়াইয়ে আমরা পাঁচ
হাজার ট্রাক এবং দুই হাজার কার্গো বিমানে করে অস্ত্র পাঠাচ্ছি তাও আমরা এটা
বিশ্বাস করব না।” এরদোগান বলেন, সিরিয়ায় এখন ইরান, রাশিয়া ও তুরস্ককে নিয়ে
আমেরিকার আলাদা হিসাব আছে। সিরিয়ার মানবিজ শহর থেকে মার্কিন সেনা
প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে
আমেরিকার দুই হাজার সেনা মোতায়েন করা রয়েছে এবং তারা সিরিয়ার কুর্দি গেরিলা
পিপল’স প্রোটেকশন ইউনিট বা ওয়াইপিজি-কে সমর্থন দিচ্ছে।
ওয়াইপিজি-কে
তুরস্ক নিজের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে এবং সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে এসব
গেরিলার বিরুদ্ধে গত ২০ জানুয়ারি থেকে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। মানবিজে
মার্কিন সেনা উপস্থিতি সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, “আমেরিকা আগে
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তারা মানবিজ থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে; তারা
মানবিজে থাকবে না। কিন্তু তারা সে কথা রাখেনি।” তিনি জিজ্ঞেস করেন, “কেন
আপনারা যাচ্ছেন না?” এরদোগান আরো বলেন, “তারা আমাদেরকে মানবিজে যেতে নিষেধ
করছেন। কিন্তু আমরা মানবিজে যাব এর প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দেয়ার জন্য।”
ন্যাটো জোটের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে এরদোগান বলেন, “জোটের শীর্ষে থেকে
আমেরিকা সিরিয়ায় কী করছে? আপনাদের তো সিরিয়ার সাথে সীমান্ত নেই, আপনারা
সিরিয়ার প্রতিবেশী নন। আপনার এখানে কী কাজ? আমাদের ৯১১ কিলোমিটার সীমান্ত
রয়েছে।” কুর্দি গেরিলাদের প্রতি মার্কিন সমর্থনের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার পূর্বসূরী বারাক ওবামাকে সত্য বলতে ব্যর্থ হওয়ার
জন্য অভিযুক্ত করেন এরদোগান। তিনি বলেন, “তারা আমাদেরকে নানান কথা বলেন
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সত্য কথাটা বলেন না। ওবামা সত্য বলেননি, এখন
ট্রাম্পও সেই একই পথে চলেছেন।”
No comments