ফার্স্টলেডিকে সবার আগে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে
যুক্তরাষ্ট্রের
নতুন অভিবাসন নীতি অনুযায়ী ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকেই সবার আগে দেশ
থেকে বের করে দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোতে অবৈধ অভিবাসী উচ্ছেদ
অভিযানের সমালোচনায় এমন মন্তব্য করেন অ্যাটর্নিরা। নতুন অভিবাসন নীতির আইনি
ব্যাখ্যা দিয়ে মার্কিন অভিবাসন অ্যাটর্নিরা এ কথা বলেছেন। আইনজীবীদের
যুক্তি, মার্কিন অভিবাসন নীতি ভঙ্গ করেছেন মেলানিয়া। যুক্তরাষ্ট্রে
প্রবেশের আগে মেলানিয়ার অতীত জীবনের কোনো তথ্যই অভিবাসন বিভাগের কাছে নেই।
এখনও নেই। পর্যটক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে পরে ভিসার শর্ত ভঙ্গ করেন
তিনি। মডেল হিসেবে অবৈধভাবে কাজ করে তিনি হাজার হাজার ডলার আয় করেছেন।
আইনজীবীরা আরও বলেন, ৯০-এর দশকে মেলানিয়া যখন যুগোস্লাভিয়া থেকে
যুক্তরাষ্ট্রে আসেন তখন যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকতেন
ফার্স্টলেডি মেলানিয়াকে অভিবাসন নীতি লঙ্ঘনের দায়ে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া
হতো। মেলানিয়ার ভিসার নথিপত্র ঘেঁটে এপি জানায়, ১৯৯৬ সালে পর্যটন ভিসায়
যুক্তরাষ্ট্রে এসেই মডেল হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। কাজের অনুমতি পাওয়ার
আগেই ৭ সপ্তাহে ২০ হাজার ডলারের বেশি আয় করেন। ২০০১ সালে স্থায়ী নাগরিত্বের
জন্য আবেদন করেন।
পাঁচ বছর পর ২০০৬ সালে গ্রিন কার্ড পান তিনি। দ্য
ইন্ডিপেনডেন্ট জানায়, গত মাসে নেয়া ট্রাম্পের নতুন অভিবাসন নীতির ব্যাখ্যায়
আইনজীবীরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আসা কোনো ব্যক্তি যদি কোনো জালিয়াতি কিংবা
ভিসা সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য প্রদানের সঙ্গে জড়িত
থাকেন সেই ব্যক্তিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেশ থেকে বের করে দেবেন অভিবাসন
কর্মকর্তারা। ৩ মাসের মধ্যে ওই ব্যক্তি যা করবেন যেমন মার্কিন কোনো
নাগরিককে বিয়ে, পড়াশোনা বা কোনো চাকরি করা তা যদি মার্কিন দূতাবাসের
সাক্ষাৎকারে আগেই উল্লেখ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তিনি ইচ্ছাকৃত মিথ্যা
বলেছেন বলে ধরে নেয়া হবে। এক্ষেত্রে যেকোনো অবস্থায় তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া
হবে। নতুন এ নীতির আওতায় ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়াকেই সবার আগে দেশে
পাঠিয়ে দিতে হবে বলে মনে করেন আইনজীবীরা।
No comments