‘অন্যায় করিনি, ন্যায়বিচার হলে খালাস পাবো’
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমি অন্যায় করিনি, দুর্নীতি করিনি,
ন্যায়বিচার হলে বেকসুর খালাস পাবো।’ আজ বুধবার দলের গুলশানস্থ রাজনৈতিক
কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। আগামীকাল জিয়া অরফানেজ
ট্রাস্ট মামলার রায়ের দিন সামনে রেখে এ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন বিএনপি
চেয়ারপারসন। ওই মামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা মামলার রায় দেয়া হবে।
রায় নিয়ে বেশি শঙ্কিত তারা। সারাদেশে বিভিষীকা তৈরী করেছে। জনগণের আন্দোলন
করার সম্ভাবনাকে তারা ভয় পায়।
রায়ের অনেক আগ থেকেই আমার জেল হবে বলে গলা ফাটাচ্ছেন। প্রধান বিচারপতিকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে।
আপনাদের খালেদা জিয়া কোনো অন্যায় করেনি। কোনো দুর্নীতি করি নি। জিয়া অরফানেজের সঙ্গে আমি কখনোই জড়িত ছিলাম না। এই অর্থ সরকারি অর্থ নয়। ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে মিথ্যা মামলায় আমাকে জড়িত করেছে। আমার আইনজীবীরা আদালতে তা প্রমাণ করেছে। জিয়া অরফানেজের টাকা এখনো ব্যাংকে রয়েছে। সুদে আসলে সেই টাকা অনেক বেড়েছে। ন্যায়বিচার হলে আমি খালাস পাবো। যারা এই মামলা দায়ের করেছে তাদের বিরুদ্ধে রায় হওয়া উচিত। যারা মামলার নির্দেশ দিয়েছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি যেকোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। মাথা নত করবো না। একদলীয় শাসন দীর্ঘায়িত করার খায়েস পূরণ হবে বলে আমি মনে করি না।’
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, দেশ ও জাতি আজ চরম সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। বারবার গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। তথাকথিত উন্নয়নের নামে দেশে দুঃশাসন চলছে। এই স্বৈরশাসন জণগনকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। মানুষকে ভাতে মারছে। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করছে।
লুটের রাজত্ব কায়েম করেছে। শেয়ার বাজার এরা লুটে খেয়েছে। অর্থ লোপাট করে ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করেছে। সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচার করে পাহাড় গড়েছে। তদন্ত করা হয় না। তদন্ত হলেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দোষীদের বিচার হয় না। লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে সকল প্রতিবাদের পথ এরা বন্ধ করে দিয়েছে। গণতন্ত্রের আজ লক্ষ কর্মী মানবেতর জীবনযাপন করছে। অপহরণ, খুনে ঘরে ঘরে আজ হাহাকার। মানুষ স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারছে না। ভয় ভীতির মাধ্যমে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রহসনের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।
বেগম জিয়া আরো বলেন, যারা লগিবৈঠা দিয়ে মানুষ খুনের নির্দেশ দেয়, যারা গান পাউডার দিয়ে মানুষ মারে, আন্দোলনের নামে যারা ব্যাংকে আগুন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন, চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে আগুন, বন্দরে আগুন দিয়েছে তারাই আজ আমাদের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশের সব কয়টি প্রতিষ্ঠানেকে ধ্বংস করা হয়েছে। ১০ টাকা ধরে চাল খাওয়ানোর ওয়াদাকে ভয়াবহভাবে ভঙ্গ করা হয়েছে। চালের দাম এখন কেজি ধরে ৬০টাকা বিক্রি হচ্ছে।
দেশের আজ সত্যিকারের সংসদ নেই। নেই বিরোধী দল। শাসকদের কোথাও কোনো জবাবাদিহিতা নেই। সশস্ত্র বাহিনীর সর্ম্পকে বৈরী প্রচারণা ও ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জণগনের বিরুদ্ধে দাড় করানো হয়েছে।
মানুষের কাজ নেই। ব্যবসা নেই।
মাদকের বিষাক্ত ছোবলে তরুণ সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এই দু:সহ অবস্থা থেকে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি চায়। তারা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের আশার প্রতিফলন ঘটাতে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম শুরু করেছি। সেই সংগ্রামে অনেক প্রাণ ঝরে গেছে। অগণিত নেতাকর্মী ও মানুষ হামলা, মামলার শিকার হয়েছে।
রক্তপিপাসু শাসকদের কবল থেকে দেশবাসীকে রক্ষার সংগ্রামে নেমেছি। জণগন পরাজিত হবে না। দুঃশাসন একদিন থাকবে না। কিন্তু তারা যে কলংকের ইতিহাস রচনা করেছে তা চিহ্নিত থাকবে। দেশের মানুষ তাদের নির্বাচিত করে নি। দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে জণগনের সম্মতি নেই। তাদের নৈতিক শাসন নেই। হুঙ্কার দিলেও তাদের নৈতিক শাসন ও মনোবল নেই। পেশি শক্তি ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। তাই আমরা আন্দোলন করছি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। সেই নির্বাচনে সকল দল নির্বাচন করতে পারবে। ভোট সুষ্ঠুভাবে গণণা করে প্রকাশ করা হবে।
আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না। তারা ক্ষমতায় থেকে, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করতে চায়। কারণ ভোট পাল্টে দিয়ে আবারো ক্ষমতায় থাকতে চায়। যার কারণে আমাদের ওপর হামলা মামলা দিচ্ছে। সরকারি খরচে এক বছর আগ থেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের কারণে আমাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে।
স্বৈরশাসক আইয়ুব খান মামলা করে এই দেশের জনপ্রিয় শাসকদের নির্বাচন থেকে দূরে সরে রেখেছিলো। কিন্তু গণঅভ্যূত্থানে তার পতন হয়েছে।
মঈনউদ্দিন ও ফখরুদ্দিনের সময় আমাকে দেশ ছাড়ার জন্য বলেছিলো। কিন্তু না যাওয়ায় আমার ও সন্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিলো। এক বছর দুই মাস কারারুদ্ধ করেছিলো। সন্তাদের কারারুদ্ধ করেছিলো।
রায়ের অনেক আগ থেকেই আমার জেল হবে বলে গলা ফাটাচ্ছেন। প্রধান বিচারপতিকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে।
আপনাদের খালেদা জিয়া কোনো অন্যায় করেনি। কোনো দুর্নীতি করি নি। জিয়া অরফানেজের সঙ্গে আমি কখনোই জড়িত ছিলাম না। এই অর্থ সরকারি অর্থ নয়। ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে মিথ্যা মামলায় আমাকে জড়িত করেছে। আমার আইনজীবীরা আদালতে তা প্রমাণ করেছে। জিয়া অরফানেজের টাকা এখনো ব্যাংকে রয়েছে। সুদে আসলে সেই টাকা অনেক বেড়েছে। ন্যায়বিচার হলে আমি খালাস পাবো। যারা এই মামলা দায়ের করেছে তাদের বিরুদ্ধে রায় হওয়া উচিত। যারা মামলার নির্দেশ দিয়েছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি যেকোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। মাথা নত করবো না। একদলীয় শাসন দীর্ঘায়িত করার খায়েস পূরণ হবে বলে আমি মনে করি না।’
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, দেশ ও জাতি আজ চরম সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। বারবার গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। তথাকথিত উন্নয়নের নামে দেশে দুঃশাসন চলছে। এই স্বৈরশাসন জণগনকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। মানুষকে ভাতে মারছে। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করছে।
লুটের রাজত্ব কায়েম করেছে। শেয়ার বাজার এরা লুটে খেয়েছে। অর্থ লোপাট করে ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করেছে। সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচার করে পাহাড় গড়েছে। তদন্ত করা হয় না। তদন্ত হলেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দোষীদের বিচার হয় না। লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে সকল প্রতিবাদের পথ এরা বন্ধ করে দিয়েছে। গণতন্ত্রের আজ লক্ষ কর্মী মানবেতর জীবনযাপন করছে। অপহরণ, খুনে ঘরে ঘরে আজ হাহাকার। মানুষ স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারছে না। ভয় ভীতির মাধ্যমে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রহসনের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।
বেগম জিয়া আরো বলেন, যারা লগিবৈঠা দিয়ে মানুষ খুনের নির্দেশ দেয়, যারা গান পাউডার দিয়ে মানুষ মারে, আন্দোলনের নামে যারা ব্যাংকে আগুন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন, চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে আগুন, বন্দরে আগুন দিয়েছে তারাই আজ আমাদের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশের সব কয়টি প্রতিষ্ঠানেকে ধ্বংস করা হয়েছে। ১০ টাকা ধরে চাল খাওয়ানোর ওয়াদাকে ভয়াবহভাবে ভঙ্গ করা হয়েছে। চালের দাম এখন কেজি ধরে ৬০টাকা বিক্রি হচ্ছে।
দেশের আজ সত্যিকারের সংসদ নেই। নেই বিরোধী দল। শাসকদের কোথাও কোনো জবাবাদিহিতা নেই। সশস্ত্র বাহিনীর সর্ম্পকে বৈরী প্রচারণা ও ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জণগনের বিরুদ্ধে দাড় করানো হয়েছে।
মানুষের কাজ নেই। ব্যবসা নেই।
মাদকের বিষাক্ত ছোবলে তরুণ সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এই দু:সহ অবস্থা থেকে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি চায়। তারা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের আশার প্রতিফলন ঘটাতে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম শুরু করেছি। সেই সংগ্রামে অনেক প্রাণ ঝরে গেছে। অগণিত নেতাকর্মী ও মানুষ হামলা, মামলার শিকার হয়েছে।
রক্তপিপাসু শাসকদের কবল থেকে দেশবাসীকে রক্ষার সংগ্রামে নেমেছি। জণগন পরাজিত হবে না। দুঃশাসন একদিন থাকবে না। কিন্তু তারা যে কলংকের ইতিহাস রচনা করেছে তা চিহ্নিত থাকবে। দেশের মানুষ তাদের নির্বাচিত করে নি। দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে জণগনের সম্মতি নেই। তাদের নৈতিক শাসন নেই। হুঙ্কার দিলেও তাদের নৈতিক শাসন ও মনোবল নেই। পেশি শক্তি ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। তাই আমরা আন্দোলন করছি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। সেই নির্বাচনে সকল দল নির্বাচন করতে পারবে। ভোট সুষ্ঠুভাবে গণণা করে প্রকাশ করা হবে।
আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না। তারা ক্ষমতায় থেকে, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করতে চায়। কারণ ভোট পাল্টে দিয়ে আবারো ক্ষমতায় থাকতে চায়। যার কারণে আমাদের ওপর হামলা মামলা দিচ্ছে। সরকারি খরচে এক বছর আগ থেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের কারণে আমাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে।
স্বৈরশাসক আইয়ুব খান মামলা করে এই দেশের জনপ্রিয় শাসকদের নির্বাচন থেকে দূরে সরে রেখেছিলো। কিন্তু গণঅভ্যূত্থানে তার পতন হয়েছে।
মঈনউদ্দিন ও ফখরুদ্দিনের সময় আমাকে দেশ ছাড়ার জন্য বলেছিলো। কিন্তু না যাওয়ায় আমার ও সন্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিলো। এক বছর দুই মাস কারারুদ্ধ করেছিলো। সন্তাদের কারারুদ্ধ করেছিলো।
No comments