অ্যাসপিরিন সেবনে ফিরবে যৌন সক্ষমতা! -গবেষণায় তথ্য
যৌন
জীবনে অক্ষম পুরুষদের জন্য নতুন একটি আশার বার্তা দিয়েছেন গবেষকরা। তারা
বলেছেন, বেদনানাশক অ্যাসপিরিন সেবন করলে যৌবনশক্তি ফিরে পাওয়া যেতে পারে।
এক্ষেত্রে ১০০ মিলিগ্রামের শুধু একটি পিল খেতে হবে ৬ সপ্তাহ। তাহলেই
কেল্লাফতে! এমন আশ্চর্য বিষয় ধরা পড়েছে নতুন এক গবেষণায়। তুরস্কের
ইস্তাম্বুল মেডিপোল ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক গবেষণা করে এ তথ্য প্রকাশ
করেছেন। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল।
এতে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই গবেষকরা ১৮৪ জন পুরুষের ওপর গবেষণা করেন, যাদের গড় বয়স ৪৮ বছর। এর মধ্যে ১২০ জনকে প্রতিদিন একটি করে অ্যাসপিরিন খেতে দেন। ৬৪ জনকে দেন একটি করে প্লাসিবো। এই ওষুধ সেবনের আগে এই ১৮৪ জন পুরুষের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগই যৌন জীবনে ছিলেন অক্ষম। কিন্তু তাদের ওপর ৬ সপ্তাহ ওই ওষুধ প্রয়োগ করার পর দেখা যায় তাদের সক্ষমতা বেড়ে গেছে শতকরা ৭৫ ভাগ। ইস্তাম্বুল মেডিপোল ইউনিভার্সিটির ‘ইনডেক্স অব ইরেকটাইল ফাংশন’ স্কেল অনুসরণ করে এ সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। গবেষণার পরে বলা হচ্ছে যৌন সক্ষমতা বাড়ানোর চিকিৎসায় ভায়াগ্রার চেয়ে কোনো অংশে কম নয় অ্যাসপিরিন। ভায়াগ্রা শতকরা ৪৮ থেকে ৮১ ভাগের মধ্যে সফলভাবে কাজ করে। সেক্ষেত্রে অ্যাসপিরিন কাজ করে শতকরা ৫০ ভাগ থেকে ৭৫ ভাগ। এ গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ডা. জেকি বাইরাকতার। তিনি অনেক পুরুষের দেহে প্লেটলেটস থাকে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। এই প্লেটলেটসকে পাতলা করে দিতে পারলেই যৌন অক্ষম ব্যক্তিদের মধ্যে শক্তি ফিরিয়ে দেয়া যায়। তিনি বলেন, পুরুষের দেহে উপস্থিত বিশাল সব প্লেটলেটসের উপস্থিতি সৃষ্টি করে ত্রমবোক্সানে নামে একটি পদার্থ। এর কাজই হলো নানা রকম প্রবাহে প্রতিবন্ধক এজেন্ট হিসেবে কাজ করা। তাদের এ গবেষণায় যে ১২০ জনকে অ্যাসপিরিন ও ৬৪ জনকে প্লাসিবো দেয়া হয়েছিল তাদেরকে ৬ সপ্তাহের গবেষণার সময়ে নিয়মিত দুটি প্রশ্ন করা হতো। তা হলো- তুমি কি কোনো নারী সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সক্ষমতা অর্জন করেছো? অন্য প্রশ্নটি হলো- তোমার মধ্যে সক্ষমতার যে সাড়া পাও (ইরেকশন) তা কি যথেষ্ট সময় স্থায়ী হয়, যার ফলে তুমি সফলতা পেতে পারো?
গবেষণায় বলা হয়েছে, সব অংশগ্রহণকারীই একই রকম উত্তর দিতে শুরু করেছিলেন। প্রথম প্রশ্নটির ‘হ্যাঁ’ সুচক উত্তর দিয়েছিলেন প্লাসিবো টিকিৎসা নেয়া শতকরা ৫০ ভাগ পুরুষ। তবে যাদেরকে অ্যাসপিরিন দেয়া হয়েছিল প্রথম প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন তাদের শতকরা ৫১.৩ ভাগ। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে প্রতিটি গ্রুপ থেকে এক তৃতীয়াংশেরও কম মানুষ হ্যাঁ বলেছেন। কিন্তু গবেষণার শেষ প্রান্তে এসে বিস্ময়কর পার্থক্য দেখা গেল তাদের মধ্যে। ৬ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন একটি করে অ্যাসপিরিন সেবনকারীর মধ্যে শতকরা ৮৮.৩ ভাগ পুরুষ প্রথম প্রশ্নের উত্তরে হ্যাঁ বললেন। তাদের শতকরা ৭৮.৩ ভাগ হ্যাঁ বললেন দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে। তবে যাদেরকে প্লাসিবো দেয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যেও পরিবর্তন দেখা গেছে। তাদেরও সক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু অ্যাসপিরিন সেবনকারীদের চেয়ে তাদের সক্ষমতা অনেক কম। গবেষণা শেষে তাদের মধ্যে শতকরা ৫৯.৩ ভাগ প্রথম প্রশ্নের উত্তরে হ্যা বলেছেন। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে হ্যা বলেছেন শতকরা ৪৩.৫ ভাগ পুরুষ।
তবে এই গবেষণার উপর ভিত্তি করে বা এই খবর শুনেই কাউকে সরাসরি অ্যাসপিরিন সেবন করে যৌন সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সতর্ক করেছেন কিছু যৌন চিকিৎসক। তারা বলছেন, এই গবেষণায় বিপুল সংখ্যক মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয় নি। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রের জটিলতা আছে তাদের জন্য এসব চিকিৎসা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এমন কোনো চিকিৎসা নিতে হলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এতে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই গবেষকরা ১৮৪ জন পুরুষের ওপর গবেষণা করেন, যাদের গড় বয়স ৪৮ বছর। এর মধ্যে ১২০ জনকে প্রতিদিন একটি করে অ্যাসপিরিন খেতে দেন। ৬৪ জনকে দেন একটি করে প্লাসিবো। এই ওষুধ সেবনের আগে এই ১৮৪ জন পুরুষের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগই যৌন জীবনে ছিলেন অক্ষম। কিন্তু তাদের ওপর ৬ সপ্তাহ ওই ওষুধ প্রয়োগ করার পর দেখা যায় তাদের সক্ষমতা বেড়ে গেছে শতকরা ৭৫ ভাগ। ইস্তাম্বুল মেডিপোল ইউনিভার্সিটির ‘ইনডেক্স অব ইরেকটাইল ফাংশন’ স্কেল অনুসরণ করে এ সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। গবেষণার পরে বলা হচ্ছে যৌন সক্ষমতা বাড়ানোর চিকিৎসায় ভায়াগ্রার চেয়ে কোনো অংশে কম নয় অ্যাসপিরিন। ভায়াগ্রা শতকরা ৪৮ থেকে ৮১ ভাগের মধ্যে সফলভাবে কাজ করে। সেক্ষেত্রে অ্যাসপিরিন কাজ করে শতকরা ৫০ ভাগ থেকে ৭৫ ভাগ। এ গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ডা. জেকি বাইরাকতার। তিনি অনেক পুরুষের দেহে প্লেটলেটস থাকে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। এই প্লেটলেটসকে পাতলা করে দিতে পারলেই যৌন অক্ষম ব্যক্তিদের মধ্যে শক্তি ফিরিয়ে দেয়া যায়। তিনি বলেন, পুরুষের দেহে উপস্থিত বিশাল সব প্লেটলেটসের উপস্থিতি সৃষ্টি করে ত্রমবোক্সানে নামে একটি পদার্থ। এর কাজই হলো নানা রকম প্রবাহে প্রতিবন্ধক এজেন্ট হিসেবে কাজ করা। তাদের এ গবেষণায় যে ১২০ জনকে অ্যাসপিরিন ও ৬৪ জনকে প্লাসিবো দেয়া হয়েছিল তাদেরকে ৬ সপ্তাহের গবেষণার সময়ে নিয়মিত দুটি প্রশ্ন করা হতো। তা হলো- তুমি কি কোনো নারী সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সক্ষমতা অর্জন করেছো? অন্য প্রশ্নটি হলো- তোমার মধ্যে সক্ষমতার যে সাড়া পাও (ইরেকশন) তা কি যথেষ্ট সময় স্থায়ী হয়, যার ফলে তুমি সফলতা পেতে পারো?
গবেষণায় বলা হয়েছে, সব অংশগ্রহণকারীই একই রকম উত্তর দিতে শুরু করেছিলেন। প্রথম প্রশ্নটির ‘হ্যাঁ’ সুচক উত্তর দিয়েছিলেন প্লাসিবো টিকিৎসা নেয়া শতকরা ৫০ ভাগ পুরুষ। তবে যাদেরকে অ্যাসপিরিন দেয়া হয়েছিল প্রথম প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ বলেছেন তাদের শতকরা ৫১.৩ ভাগ। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে প্রতিটি গ্রুপ থেকে এক তৃতীয়াংশেরও কম মানুষ হ্যাঁ বলেছেন। কিন্তু গবেষণার শেষ প্রান্তে এসে বিস্ময়কর পার্থক্য দেখা গেল তাদের মধ্যে। ৬ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন একটি করে অ্যাসপিরিন সেবনকারীর মধ্যে শতকরা ৮৮.৩ ভাগ পুরুষ প্রথম প্রশ্নের উত্তরে হ্যাঁ বললেন। তাদের শতকরা ৭৮.৩ ভাগ হ্যাঁ বললেন দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে। তবে যাদেরকে প্লাসিবো দেয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যেও পরিবর্তন দেখা গেছে। তাদেরও সক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু অ্যাসপিরিন সেবনকারীদের চেয়ে তাদের সক্ষমতা অনেক কম। গবেষণা শেষে তাদের মধ্যে শতকরা ৫৯.৩ ভাগ প্রথম প্রশ্নের উত্তরে হ্যা বলেছেন। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে হ্যা বলেছেন শতকরা ৪৩.৫ ভাগ পুরুষ।
তবে এই গবেষণার উপর ভিত্তি করে বা এই খবর শুনেই কাউকে সরাসরি অ্যাসপিরিন সেবন করে যৌন সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সতর্ক করেছেন কিছু যৌন চিকিৎসক। তারা বলছেন, এই গবেষণায় বিপুল সংখ্যক মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয় নি। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রের জটিলতা আছে তাদের জন্য এসব চিকিৎসা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এমন কোনো চিকিৎসা নিতে হলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
No comments