গ্যাস সংকটে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টেক্সটাইল কারখানা
ঋণ
কারসাজি ও গ্যাস সংকটে টেক্সটাইল কারখানা দিন দিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সৎ ও
ভালো ব্যবসায়ীরা ঋণ না পাওয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অনেক
ব্যবসায়ী তা পরিশোধ না করায় সৎ ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়া হচ্ছে না। মঙ্গলবার এসব
অভিযোগ করেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ভারপ্রাপ্ত
সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। বিটিএমএ কার্যালয়ে ১৫তম টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস
মেশিনারি প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনের এই
প্রদর্শনী শুরু হবে। এতে ৩৬টি দেশের ১১শ’ কোম্পানি অংশ নেবে। প্রতিদিন
দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র খাতে ১০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেয়ার দাবি জানানো
হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোকন বলেন, পোশাক খাতে নিট
কাপড়ের চাহিদার প্রায় শতভাগই পূরণ করেন দেশীয় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ওভেনে এ
হার মাত্র ৩৫ শতাংশ। গ্যাসের সংযোগ না পাওয়ায় ১০ বছরে একটিও ওভেন কারখানা
তৈরি হয়নি। তিনি বলেন, অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংকের ঋণ নিয়ে নিয়মিত পরিশোধ করেন
না।
এর প্রভাব পড়ে ভালো ব্যবসায়ীদের ওপর। ঋণ নিতে গিয়ে তারা নানা সমস্যায়
পড়েন। ঋণ না দেয়ায় সৎ উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত
ঋণখেলাপিদের অধিকাংশই বস্ত্র খাতের হওয়ায় এ খাতের ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে কোনো
সমস্যা হয় কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খোকন বলেন, এটাই বলতে
চাচ্ছি। ঋণ অনিয়মকারীদের কারণে ভালো ও সৎ ব্যবসায়ীরা ঋণ পান না। যারা ঋণ
নিয়ে নিয়মিত পরিশোধ করেন তাদের ঋণ পুনর্গঠন, রেয়াত, সুদ মওকুফ ও সময়মতো ঋণ
দেয়া হয় না। তিনি বলেন, দেশে এটা একটা অদ্ভুত নিয়ম চালু হয়েছে- যারা ঋণ
নিয়ে পরিশোধ করেন না তাদের পুনরায় ঋণ দেয়া হয়। অথচ যারা নিয়মিত পরিশোধ করেন
তাদের ঋণ পেতে বেগ পেতে হয়। দেশে আমদানি বেড়েছে, কিন্তু এই আমদানির পেছনে
অর্থপাচার হয় কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে অনেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে
খোকন বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত। বস্ত্র খাতে যেসব ঋণ
অনিয়মকারী রয়েছেন, কিংবা অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত তাদের কালো তালিকাভুক্ত
করা হবে। বিটিএমএ থেকে তাদের সদস্য পদ বাতিলের বিষয়েও উদ্যোগ নেয়া হবে।
গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে শিল্প কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে
বিটিএমএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোকন বলেন, সরকার এলএনজি আমদানি করতে যাচ্ছে।
এলএনজির দাম যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে সরকারের কাছে আমরা সেই অনুরোধ
জানাচ্ছি।
No comments