মিয়ানমার-বাংলাদেশ সফর শেষে বিমানে যা বললেন পোপ ফ্রাঁসিস
তীব্র
উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সফর শেষে ভ্যাটিকানে ফিরে গেছেন
ষষ্ঠ পোপ ফ্রাঁসিস। তার এ সফরকে কূটনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
হিসেবে দেখা হয়েছে। অনেকেই তাকিয়ে ছিলেন তিনি মিয়ানমারের সামরিক, বেসামরিক
নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুটি আলাদাভাবে উত্থাপন করবেন। কিন্তু
নানা পরামর্শ, মিয়ানমারের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পরিণতির কথা চিন্তা করে
তিনি ওইসব বৈঠকে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ করেন নি। এ সম্পর্কে বিমানে করে
রোমে ফিরে যাওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পোপ বলেছেন,
আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের সময় আমি যদি ওই শব্দটি ব্যবহার করতাম তাহলে হয়তো আমি
আসল স্থানে খোঁচা দিতাম।
কিন্তু আমি কি ভাবছি, কি বোঝাতে চেয়েছি তারা তা আগেভাগেই বুঝে গেছে। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বার্তাটি ছড়িয়ে দিতে পেরেছি। মিয়ানমারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে তিনি ‘অত্যন্ত সন্তোষ’ প্রকাশ করেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি ও এসবিএস। এতে বলা হয়, পোপের মিয়ানমার সফর কূটনৈতিক নিরাপত্তায় ঢাকা ছিল। মিয়ানমার থেকে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছেন। এখানে সাক্ষাত করেছেন কিছু রোহিঙ্গার সঙ্গে। এখানেই তিনি প্রথম রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেছেন। পোপ বিমানে থাকা সাংবাদিকদের বলেছেন, আমি জানতাম রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাচ্ছি। তবে কোথায় এব কিভাবে তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করবো সেটা আমি জানতাম না। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাতই ছিল আমার সফরের অন্যতম শর্ত। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যখন সাক্ষাত হয়েছে তখন আমি কেঁদেছি। কেঁদেছি এমনভাবে যাতে কেউ তা দেখতে না পারে। এ সময় রোহিঙ্গারাও কেঁদেছেন। পোপ বলেন, তাদেরকে কিছুই না বলে চলে যাবো ্টামি এমনটা হতে পারে না। তাদেরকে আমি বলেছি, একীভূত বিশ্বের সামনে আপনাদের ওপর যারা নিষ্পেষণ চালিয়েছে, যারা আপনাদের ক্ষতি করেছে তাদেরকে ক্ষমতা করে দেয়ার আহ্বান জানাই আমি। বিমানে সফরের সময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন পোপ। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ যা করেছে তা বিপুল। এটা স্বাগত জানানোর একটি উদাহরণ। উল্লেখ্য, মিয়ানমার সফরকালে তিনি রোহিঙ্গাদেরকে শরণার্থী হিসেবে উল্লেখ করেন। সেখানে তাকে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ না করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন তার উপদেষ্টারা ও ইয়াঙ্গুনের আর্চবিশপ। তারা বলেছিলেন, তিনি যদি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেন তাহলে সেখানে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে। সেখানে বসবাসরত খ্রিস্টানরা বিপদে পড়বেন। সেই পরামর্শই অনুসরণ করেছেন পোপ। তবে মিয়ানমারে চার দিনের সফর শেষে তিনি বাংলাদেশে এসে প্রথম রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেন। ওদিকে মিয়ানমারে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার বিষয়ে আগামী ৬ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নারীদের অধিকার বিষয়ক একটি প্যানেল।
কিন্তু আমি কি ভাবছি, কি বোঝাতে চেয়েছি তারা তা আগেভাগেই বুঝে গেছে। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বার্তাটি ছড়িয়ে দিতে পেরেছি। মিয়ানমারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে তিনি ‘অত্যন্ত সন্তোষ’ প্রকাশ করেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি ও এসবিএস। এতে বলা হয়, পোপের মিয়ানমার সফর কূটনৈতিক নিরাপত্তায় ঢাকা ছিল। মিয়ানমার থেকে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছেন। এখানে সাক্ষাত করেছেন কিছু রোহিঙ্গার সঙ্গে। এখানেই তিনি প্রথম রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেছেন। পোপ বিমানে থাকা সাংবাদিকদের বলেছেন, আমি জানতাম রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাচ্ছি। তবে কোথায় এব কিভাবে তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করবো সেটা আমি জানতাম না। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাতই ছিল আমার সফরের অন্যতম শর্ত। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যখন সাক্ষাত হয়েছে তখন আমি কেঁদেছি। কেঁদেছি এমনভাবে যাতে কেউ তা দেখতে না পারে। এ সময় রোহিঙ্গারাও কেঁদেছেন। পোপ বলেন, তাদেরকে কিছুই না বলে চলে যাবো ্টামি এমনটা হতে পারে না। তাদেরকে আমি বলেছি, একীভূত বিশ্বের সামনে আপনাদের ওপর যারা নিষ্পেষণ চালিয়েছে, যারা আপনাদের ক্ষতি করেছে তাদেরকে ক্ষমতা করে দেয়ার আহ্বান জানাই আমি। বিমানে সফরের সময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন পোপ। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ যা করেছে তা বিপুল। এটা স্বাগত জানানোর একটি উদাহরণ। উল্লেখ্য, মিয়ানমার সফরকালে তিনি রোহিঙ্গাদেরকে শরণার্থী হিসেবে উল্লেখ করেন। সেখানে তাকে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ না করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন তার উপদেষ্টারা ও ইয়াঙ্গুনের আর্চবিশপ। তারা বলেছিলেন, তিনি যদি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেন তাহলে সেখানে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে। সেখানে বসবাসরত খ্রিস্টানরা বিপদে পড়বেন। সেই পরামর্শই অনুসরণ করেছেন পোপ। তবে মিয়ানমারে চার দিনের সফর শেষে তিনি বাংলাদেশে এসে প্রথম রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেন। ওদিকে মিয়ানমারে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার বিষয়ে আগামী ৬ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নারীদের অধিকার বিষয়ক একটি প্যানেল।
No comments