কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কে হাঁটু পানি, যান চলাচল বিঘ্নিত
টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ১০৮ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বন্যার পানিতে কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়ক ডুবে যাওয়ায় সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। রোববার ভোর থেকে কাঁঠালবাড়ি বাজার থেকে ঝিনাই এলাকা পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলাকায় হাঁটু পানি জমে থাকায় ওই মহাসড়কে যান চলাচলে ঝুঁকি রয়েছে। সে কারণে মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক আবু ছালে মোহাম্মদ ফেরদৌস খান। তিনি বলেন, কাঁঠালবাড়ি শহর রক্ষা বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, যেকোনো সময় এটা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এদিকে জেলার সদর, নাগেশ্বরীম ভুরুঙ্গামারি উলিপুরসহ ৯টি উপজেলার আড়াই শতাধিক গ্রামের দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে আরও নতুন নতুন এলাকা। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আল পারভেজ জানান, কুডিগ্রাম থেকে নাগেশ্বরী ভুরুঙ্গামারী সড়কের চারটি পয়েন্ট তলিয়ে গেছে। কাঁঠালবাড়ি শহর রক্ষা বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, যেকোনো সময় এটা ভেঙে পড়তে পারে। ধরলার পানি বিপদসীমার ১০৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুড়িগ্রাম ফেরিঘাট পয়েন্ট, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারি পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
No comments