তিস্তার বন্যায় রেললাইনে ভাঙন, ট্রেন চলাচল বন্ধ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের রেললাইনের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রোবাবার সকালে তিস্তার ব্যারেজের বাম দিকে ফ্লাট বাইপাস ভেঙে যাওয়ায় হাতিবান্ধা উপজেলা শহরে পানি ঢুকে যায়। এতে লালমনিরহাট-বুড়িমাড়ী রেললাইনের ১০ ফিট নিচের অংশ ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় সকাল থেকে ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে টেন চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানান হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আহমেদ। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান যুগান্তরকে জানান, ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে রোববার সকাল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পারুলিয়া নামক স্থানে পাকা রাস্তার উপর দিয়ে তিস্তার পানি প্রবেশ করেছে। হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের সঙ্গে খানের বাড়ি যাওয়ার একমাত্র পাকা রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এর ফলে লালমনিরহাটে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তায়, ধরলায়, সানিয়াজান ও সিংঙ্গীমারী নদীর পানিও বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভাসহ জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের প্রায় ২ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পাশাপাশি দহগ্রাম সড়কের কয়েক ফুট উপর দিয়েও প্রবাহিত হচ্ছে।এরই মধ্যে পাটগ্রাম পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডসহ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী দহগ্রাম, বাউড়া, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, ফকিরপাড়া, গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ী, সিঙ্গীমারী, পাটিকাপাড়া, সিন্দুর্না, কালীগঞ্জের ভোটমারী, আদিতমারীর মহিষখোচা, দুর্গাপুর, পলাশী, লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা, রাজপুর, মোঘলহাট কুলাঘাট ও খুনিয়াগাছ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
No comments