ভেনিজুয়েলায় সামরিক অভিযানের হুমকি ট্রাম্পের
ভেনিজুয়েলায় সামরিক অভিযানের কথা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির চলমান পরিস্থিতিকে ‘খুবই ভয়াবহ’ বর্ণনা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ভেনিজুয়েলার চলমান সংকট মোকাবেলায় সামরিক হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। এদিকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি অবস্থান। কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে যেকোনো সময় দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঠিক এমন সময় লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলার রাজনৈতিক সংকটে সামরিক অভিযান চালানো হতে পারে বলে হুশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প। খবর বিবিসির। ট্রাম্প বলেছেন, ভেনিজুয়েলার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তারা মারা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় তিনি সেখানে সামরিক অভিযানের কথা এড়িয়ে যাচ্ছেন না। তার এ বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভেনিজুয়েলার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো। তিনি ট্রাম্পের এমন মন্তব্যকে ‘পাগলামি’ বলে অভিহিত করেছেন। ভেনিজুয়েলায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট ও নতুন পার্লামেন্টের নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে অগণতান্ত্রিক বলে আখ্যা দিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে ভেনিজুয়েলায়। এতে এপ্রিল থেকে কমপক্ষে ১২০ জন মারা গেছেন। দৃশ্যত রাজধানী কারাকাস মাঝে মাঝেই পরিণত হচ্ছে রণক্ষেত্রে। বিরোধীদলীয় নেতাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীরা। এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে ‘স্বৈরশাসক’ আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে অবরোধ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেছেন, ভেনিজুয়েলার জন্য আমাদের হাতে অনেক অপশন আছে। প্রয়োজন হলে সেখানে সামরিক অভিযানও চালানো হতে পারে। এদিকে হোয়াইট হাউস জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলাপের আহ্বান জানিয়েছেন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। এর জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, মাদুরো তার দেশে ‘গণতন্ত্র’ ফিরিয়ে আনলেই তার সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। ওদিকে ভেনিজুয়েলার ওপর আঞ্চলিক চাপ অব্যাহত আছে। পেরুতে নিয়োজিত ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূত ডিয়েগো মোলেরোকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে পেরু। তাকে এ নির্দেশের ৫ দিনের মধ্যে পেরু ছাড়তে হবে। আঞ্চলিক ১১টি বড় দেশ ভেনিজুয়েলার বিতর্কিত নির্বাচনের নিন্দা জানানোর পর টুইটারে এমন নির্দেশনার কথা জানিয়েছে পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
No comments