আজহারুল-কায়সারের আপিল শুনানি ১০ অক্টোবর
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানির দিন ১০ অক্টোবর ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এই দুই আসামির আপিলের সার সংক্ষেপ ২৪ আগস্টের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এটিএম আজহারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। জামায়াত নেতা আজহারুলের আপিল ২নং ক্রমিকে ও জাতীয় পার্টির নেতা কায়সারের আপিল ৩নং ক্রমিকে ছিল। ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল দায়ের করেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবীরা এ আপিল দায়ের করেন। আপিল আবেদনে এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাস চাওয়া হয়েছে। মোট আপিল ৯০ পৃষ্ঠার এবং আপিলে খালাসের পক্ষে ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরা হয়। এর আগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর রংপুর অঞ্চলের আলবদর কমান্ডার এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির আদেশ দিয়ে রায় দেন ট্রাইব্যুনাল।
একাত্তরে গণহত্যা, হত্যা ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাকে এ সাজা দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১। সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়। আপিলে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাস দেয়ার আবেদন জানানো হয়। সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন আপিল করেছেন। এ মামলার শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। আপিলে খালাসের আর্জিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত রয়েছে। ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন।
No comments