সাবমেরিন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি উ. কোরিয়ার
উত্তর কোরিয়া সাবমেরিনভিত্তিক ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্যাটেলাইটে পাওয়া বিভিন্ন ছবির ওপর ভিত্তি করে শুক্রবার এমন তথ্য দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা সম্পর্ক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জোসেফ বারমুদেজ। খবর এএফপি ও এনডিটিভির। খবরে বলা হয়, বারমুদেজ স্যাটেলাইটে পাওয়া এ সংক্রান্ত ছবিগুলো পোস্ট করেছেন জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ইউএস-কোরিয়া ইন্সটিটিউটের ‘৩৮ নর্থ’ ব্লগে। সেখানে দেখানো হয়েছে, উত্তর কোরিয়া সাবমেরিনচালিত ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। জোসেফ বারমুদেজ বলেন, বাণিজ্যিক স্যাটেলাইটে সম্প্রতি পাওয়া কিছু ছবি দেখে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বলা যায়, উত্তর কোরিয়া সমুদ্রভিত্তিক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছে বা করছে। তিনি আরও বলেন, মায়াংডোতে নৌবাহিনীর শিপইয়ার্ড ও সাবমেরিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্রবিষয়ক কর্মতৎপরতা দেখা গেছে। এ থেকে বোঝা যায়, উত্তর কোরিয়া সমুদ্রে ধারাবাহিকভাবে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে। তারা এ সংক্রান্ত প্রযুুক্তি আধুনিকায়ন করেছে। জানা যায়, উত্তর কোরিয়ার হাতে সাবমেরিনভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এর নাম পুকগুকসং-১। এটি ২০১৬ সালে প্রথমবার সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়। এটি জাপানের দিকে ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে উড়ে গিয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, এটি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত করা সম্ভব। বেশ কিছু দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ায় সামরিক অভিযানের হুমকি দেয়। পাল্টা হুমকিতে উত্তর কোরিয়া জানায়, এ মাসেই প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি গুয়ামে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, সেখানে হুয়াসং-১২ নামের চারটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার চিন্তা করছে উত্তর কোরিয়া। নিভৃতকামী কমিউনিস্ট দেশটির নেতা কিম জং উন যদি এ ধরণের পরিকল্পনায় অনুমোদন দেন, তাহলে জাপানের মূল ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো গুয়ামসংলগ্ন সমুদ্রে আছড়ে পড়বে। এতে দুই দেশের মাঝে চলমান উত্তেজনা আরও তীব্র রূপ নেবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। উল্লেখ্য, গুয়ামে মার্কিন বিমান ঘাঁটি রয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত বোমারু বিমান ঘাঁটি। সেখানে সাবমেরিন ও কোস্টগার্ড ইউনিটও আছে। সেখানে দেশটির অনেক সেনা ও প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার মানুষের বসবাস। বিবিসি ও সিএনএন।
No comments