সৌদি বাদশাহকে শিরিন এবাদিসহ ১০ নোবেলজয়ীর খোলা চিঠি
১৪ জন শিয়ার মৃত্যুদণ্ড রোধ করার আহ্বান জানিয়ে সৌদি আরবের কাছে এক খোলা চিঠি লিখেছেন ইরানের শিরিন এবাদিসহ ১০ নোবেল বিজয়ী। সৌদি আরবের শিয়া অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ কাটিফে এক শিয়া বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড সিদ্ধান্ত দেন আদালত। শীঘ্রই তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুদণ্ড বাতিলের আহ্বান জানিয়ে সৌদি বাদশাহ সালমানের কাছে লেখা খোলা চিঠিতে যারা সাক্ষর করেছেন তাদের মধ্যে আছেন আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু, ইরানের মানবাধিকার কর্মী শিরিন এবাদি এবং পূর্ব তিমুরের সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা উল্লেখযোগ্য। চিঠিতে তারা বাদশাহ সালমানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাজাপ্রাপ্তদের প্রতি অনুকম্পা প্রদর্শনের জন্য। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অভিযোগ করছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই ১৪ জনের কাছ থেকে সৌদি কর্তৃপক্ষ জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করে এবং তাদের কোনো রকমের ন্যায্য বিচার পাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ জনের একজন হচ্ছে মুজতাবা আল সোয়েইকা। ১৮ বছর বয়সী মুজতাবা যখন ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টার্ন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য রওনা হচ্ছিলেন, তখন তাকে রিয়াদ বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের একটি হচ্ছে ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলে বিক্ষোভের ছবি শেয়ার করা। আরেকজন আলী আল নিমর এর বিরুদ্ধে অভিযোগ নানা হয়েছে ব্ল্যাকবারিতে একই রকম গ্রুপ খুলে বিক্ষোভের ছবি দিয়ে লোকজনকে বিক্ষোভে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো। সৌদি আরবের সুপ্রিমকোর্ট গত জুলাইতে এই ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। তবে সৌদি বাদশাহ বা যুবরাজ এই মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করলেই কেবল তা কার্যকর করা হবে। ১৪ জনের সবাই কাটিফ প্রদেশে বিক্ষোভের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়। সৌদি আরবের এই প্রদেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে শিয়াদের মধ্যে অসন্তোষ এবং বিক্ষোভ চলছে। ২০১১ সালে এই প্রদেশের আওয়ামিয়া শহরে আরব বসন্তের বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এতে নেতৃত্ব দেয়া শিয়া নেতা নিমর আল নিমরের মৃত্যুদণ্ড গত বছর কার্যকর করা হয়। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
No comments