সরকার একজন মানুষ হলে তার পায়ে ধরতাম : আবুল মকসুদ
সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়ে বিশিষ্ট লেখক-বুদ্ধিজীবী সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, ‘সরকার একটি কালেকটিভ বডি বা যৌথ সরকার। সরকার যদি একজন মানুষ হতেন তাহলে সে মানুষটির পায়ে ধরতাম। বলতাম দয়া করে এ প্রকল্পে আর হাত দেবেন না। বলতাম দয়া করে এ আত্মধসের পথে আপনারা যাবেন না। কিন্তু সরকার কোনো একক মানুষ নয়, এর সাথে আরও অনেকে জড়িত। তবে আমরা যারা পরিবেশ নিয়ে কথা বলি তাদের হয়তো শক্তি কম, তবে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েই যাব।’ আজ রোববার সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সুন্দরবনের পাশে তিন শতাধিক নতুন শিল্পকারখানা স্থাপনে অনুমোদন প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ ও বাতিলের দাবি’তে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালসহ সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা: আব্দুল মতিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ শরিফ জামিল উপস্থিত ছিলেন। সৈয়দ আবুল মকসুদ আরো বলেন, অনেকদিন ধরে পরিবেশবাদীদের পক্ষে আবেদন-নিবেদন করা হচ্ছে সরকার যেন সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে সরে আসে। অনেক মিছিল-মিটিং হয়েছে সারা দেশে। তাতেও সরকারের টনক নড়েনি। তিনি বলেন, সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ যে ক্ষতিকর হবে তা আজকে হয়ত কেউ বুঝতে পারছে না। কিন্তু এ প্রকল্পের জন্য ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। তারা বলবে ঐ সময়ে এদেশে কি-ধরণের মানুষ ছিলেন? বলবে ঐ আমলের লোকেরা কি জেনে-শুনে আত্মঘাতি কাজটি করেছে? তিনি বলেন, একাত্তরে যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তা ছিল আত্মউন্নতির জন্য। আর এখন আমরা উন্নয়নের নামে আত্মহত্যার দিকে এগুচ্ছি। অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বিষয়ে সরকারি পরিবেশগত সমীক্ষা ও অন্যান্য প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ইউনেস্কোর নেতৃত্বে একটি আর্ন্তজাতিক, নিরপেক্ষ ও বিজ্ঞানভিত্তিক পরিবেশগত সমীক্ষা পরিচালনা করে নতুন স্থান নির্ধারণ করতে হবে।
No comments