এটিএম আজহার ও কায়সারের আপিল শুনানি ১০ অক্টোবর
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানির জন্য আগামী ১০ অক্টোবর তারিখ ধার্য্ করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আগামী ২৪ আগস্টের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ দাখিল করতে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্যশ করেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমদু হোসেন ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। আদালতে এটিএম আজহারের পক্ষে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন তুহিন এবং আর সৈয়দ কায়সারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম শাজাহান। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটির্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস চেয়ে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি আপিল করেন। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরা হয়। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। আপিলে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাস দেয়ার আবেদন জানানো হয়। ২০১৫ সালের ১৯ জানিুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল করা হয়। আপিলে খালাসের আরজিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত রয়েছে। ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন। গণহত্যার একটি, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি ও ধর্ষণের দুটিসহ মোট ১৬টি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়। এর মধ্যে ১৪টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে।
এর মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি এটিএম আজহারুল ইসলাম খালাস চেয়ে আপিল করেন। খালাসের পক্ষে আপিলে যুক্তি রয়েছে প্রায় ১১৩টি। মূল আপিল আবেদনে ৯০ পৃষ্ঠার সঙ্গে মোট দুই হাজার তিন শত ৪০ পৃষ্ঠার আবেদন জমা দেয়া হয়েছে। এডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন এই আপিল দায়ের করেন। আপিল দায়েরের পর এটিএম আজহারের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আপিলে আমরা প্রত্যেকটি অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করেছি। আমরা দেখিয়েছি, তিনি কোনো অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না। এ মামলায় স্বাক্ষীদের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য এটিএম আজহারুল ইসলামকে নির্দোষ প্রমান করে। তিনি বলেন, ২৬ নম্বর স্বাক্ষীর জবানবন্দি অনুযায়ী এটিএম আজাহারের বিরুদ্ধে আনা হত্যা, গণহত্যার অভিযোগগুলো প্রমান করতে প্রসিকিউশনের আইনজীবীরা সম্পুর্ন ব্যার্থ। প্রসিকিউশনের ৪ ও ২৫ নম্বর স্বাক্ষীর জবানবন্দি অনুযায়ী ডকুমেন্ট তৈরী করে তারা (প্রসিকিউশন) নিজেদের মতো করে মামলা সাজিয়েছে। আশা করি আপিল বিভাগে এটিএম আজহারুল ইসলাম খালাস পাবেন এবং ন্যায় বিচার পাবেন। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছিল। এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ ৬টি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ে ৫টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে মৃদ্যুদন্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। ৫ নম্বর অভিযোগে ২৫ বছর জেল ও ৬ নম্বর অভিযোগে ৫ বছরের জেল দেয়া হয় তাকে। তার ১ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রায়ে বলা হয়। ২০১২ সালের ২২ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের আদেশে রাজধানীর মগবাজারের নিজ বাসা থেকে এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তখন প্রসিকিউশন তাকে গ্রেফতারের আবেদন করা হয়েছিল।
সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার
সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার ট্র্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল করেন ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি। আপিলে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাসের আবেদন জানানো হয়। আপিলে খালাসের আর্জিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত রয়েছে। তার পক্ষে এডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন আপিল করেন।২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আদালত সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। গণহত্যার একটি, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি ও ধর্ষণের দুটিসহ মোট ১৬টি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়, যার মধ্যে ১৪টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদন্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদন্ড ও ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বরে সাত বছর ও ১১ নম্বরে পাঁচ বছর কারাদন্ড দেয়া হয়। ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এসব অভিযোগে কোনো সাজা দেয়া হয়নি।
সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার
সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার ট্র্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল করেন ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি। আপিলে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাসের আবেদন জানানো হয়। আপিলে খালাসের আর্জিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত রয়েছে। তার পক্ষে এডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন আপিল করেন।২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আদালত সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। গণহত্যার একটি, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি ও ধর্ষণের দুটিসহ মোট ১৬টি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়, যার মধ্যে ১৪টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদন্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদন্ড ও ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বরে সাত বছর ও ১১ নম্বরে পাঁচ বছর কারাদন্ড দেয়া হয়। ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এসব অভিযোগে কোনো সাজা দেয়া হয়নি।
No comments