জামায়াতের সঙ্গে আদর্শগত কোনো মিল নেই: খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন,
জামায়াতের সঙ্গে তাঁর দলের আদর্শগত কোনো মিল নেই। গত রোববার ভারতীয় দৈনিক
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ কথা বলেছেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক কী—ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এই প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আদর্শগত কোনো মিল নেই।আমরা মধ্যপন্থী। আমরা উগ্র ডানপন্থী নই, উগ্র বামপন্থীও নই। আপনি যদি ইতিহাসের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন, আওয়ামী লীগই জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল ... ১৯৮৬ সালে এরশাদ যখন নির্বাচন করতে গেল। জামায়াতের সঙ্গে আমাদের নির্বাচনকালীন একটা বন্দোবস্ত। ওরা কিছু জায়গা থেকে নির্বাচন করেছিল, আমরা কিছু জায়গা থেকে। এর বাইরে কিছু না। ওরা ওদের আদর্শ অনুসরণ করে, আমরা আমাদের।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া ওই সাক্ষাত্কারে খালেদা জিয়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে তাঁর বৈঠক, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভারতের ভূমিকাসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিবদমান কিছু অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সাক্ষাত্কারে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি পরিবারের প্রভাব প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দুটিই সম্মানিত পরিবার। মুজিবুর রহমানের ভূমিকা আছে, জিয়াউর রহমানেরও ভূমিকা আছে। এ দুটি পরিবারের ওপর মানুষের বিশ্বাস জন্মেছে। মানুষ না চাইলে পরিবার দুটি রাজনীতি থেকে সরে যাবে।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে খালেদা জিয়া বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার তাঁদের বলছে, প্রথমে সরকারকে বৈধতা দিতে তারপর সংলাপে বসতে। তাঁর মতে, এতেই বোঝা যায় সরকার অবৈধ। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক সাংসদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভের বিষয়টি খালেদা জিয়া ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন বলে সাক্ষাত্কারে উল্লেখ করেন।
নির্বাচনের সময় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার বিএনপিকে সমর্থন না দেওয়ায় তিনি হতাশ হয়েছিলেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি জানি না আদপেই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো ভূমিকা রেখেছিল কি না। তবে অনেকেরই বিশ্বাস, এর একটা ভূমিকা ছিল।’ এরশাদকে উদ্ধৃত করে সুজাতা সিং (ভারতের পররাষ্ট্রসচিব) নির্বাচন নিয়ে কী কী বলেছিলেন, তা-ও উল্লেখ করেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসীদের তত্পরতা চলা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ আছে বলে উল্লেখ করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ভারতকে আশ্বস্ত করতে বিএনপি কী করতে পারে, জানতে চাইলে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা। উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ ধরনের প্রচার চালানো হয়, বিএনপি সম্পর্কে একটি মিথ্যে ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে। ভারত ও প্রতিবেশী কোনো দেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করতে না দেওয়ার ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের এ প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষরও রেখেছি।’
সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ আমলেই অত্যাচার নির্যাতন বেশি হয়। তিনি বলেন, বাবরি মসজিদ যখন ভাঙা হয় তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দেশে যারা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল, তখন তাদের কঠোর হাতে দমন করেছেন। যেসব চ্যানেলে বাবরি মসজিদ ভাঙার ছবি দেখাচ্ছিল, সেসব চ্যানেলের প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলেও তিনি জানান।
ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারের সময় নরেন্দ্র মোদী যেসব মন্তব্য করেছেন, সেটি তাঁকে উদ্বিগ্ন করেছে কি না, জানতে চাইলে খালেদা জিয়া বলেন, নির্বাচনে জেতার জন্য অনেক কিছুই বলা হয়। তার অর্থ এই নয় যে এগুলো বাস্তবায়ন হবে। খালেদা আরও বলেন, তিনি মনে করেন না অনেক বাংলাদেশি সেখানে যাচ্ছে। কারণ দেশেই বাংলাদেশিরা অনেক ভালো করছে।
খালেদা জিয়া বলেছেন, সুষমা স্বরাজের সঙ্গে তাঁর বৈঠকটি ছিল খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ। বৈঠকে সুষমা সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া তিস্তা চুক্তি ও সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন খালেদা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী তাঁকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়ায় এখনই তিনি যাচ্ছেন না। তবে মোদী সরকার কেমন সে সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এখনই কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক কী—ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এই প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আদর্শগত কোনো মিল নেই।আমরা মধ্যপন্থী। আমরা উগ্র ডানপন্থী নই, উগ্র বামপন্থীও নই। আপনি যদি ইতিহাসের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন, আওয়ামী লীগই জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল ... ১৯৮৬ সালে এরশাদ যখন নির্বাচন করতে গেল। জামায়াতের সঙ্গে আমাদের নির্বাচনকালীন একটা বন্দোবস্ত। ওরা কিছু জায়গা থেকে নির্বাচন করেছিল, আমরা কিছু জায়গা থেকে। এর বাইরে কিছু না। ওরা ওদের আদর্শ অনুসরণ করে, আমরা আমাদের।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া ওই সাক্ষাত্কারে খালেদা জিয়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে তাঁর বৈঠক, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভারতের ভূমিকাসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিবদমান কিছু অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সাক্ষাত্কারে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি পরিবারের প্রভাব প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দুটিই সম্মানিত পরিবার। মুজিবুর রহমানের ভূমিকা আছে, জিয়াউর রহমানেরও ভূমিকা আছে। এ দুটি পরিবারের ওপর মানুষের বিশ্বাস জন্মেছে। মানুষ না চাইলে পরিবার দুটি রাজনীতি থেকে সরে যাবে।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে খালেদা জিয়া বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার তাঁদের বলছে, প্রথমে সরকারকে বৈধতা দিতে তারপর সংলাপে বসতে। তাঁর মতে, এতেই বোঝা যায় সরকার অবৈধ। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক সাংসদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভের বিষয়টি খালেদা জিয়া ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন বলে সাক্ষাত্কারে উল্লেখ করেন।
নির্বাচনের সময় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার বিএনপিকে সমর্থন না দেওয়ায় তিনি হতাশ হয়েছিলেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি জানি না আদপেই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো ভূমিকা রেখেছিল কি না। তবে অনেকেরই বিশ্বাস, এর একটা ভূমিকা ছিল।’ এরশাদকে উদ্ধৃত করে সুজাতা সিং (ভারতের পররাষ্ট্রসচিব) নির্বাচন নিয়ে কী কী বলেছিলেন, তা-ও উল্লেখ করেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসীদের তত্পরতা চলা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ আছে বলে উল্লেখ করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ভারতকে আশ্বস্ত করতে বিএনপি কী করতে পারে, জানতে চাইলে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা। উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ ধরনের প্রচার চালানো হয়, বিএনপি সম্পর্কে একটি মিথ্যে ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে। ভারত ও প্রতিবেশী কোনো দেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করতে না দেওয়ার ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের এ প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষরও রেখেছি।’
সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ আমলেই অত্যাচার নির্যাতন বেশি হয়। তিনি বলেন, বাবরি মসজিদ যখন ভাঙা হয় তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দেশে যারা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল, তখন তাদের কঠোর হাতে দমন করেছেন। যেসব চ্যানেলে বাবরি মসজিদ ভাঙার ছবি দেখাচ্ছিল, সেসব চ্যানেলের প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলেও তিনি জানান।
ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারের সময় নরেন্দ্র মোদী যেসব মন্তব্য করেছেন, সেটি তাঁকে উদ্বিগ্ন করেছে কি না, জানতে চাইলে খালেদা জিয়া বলেন, নির্বাচনে জেতার জন্য অনেক কিছুই বলা হয়। তার অর্থ এই নয় যে এগুলো বাস্তবায়ন হবে। খালেদা আরও বলেন, তিনি মনে করেন না অনেক বাংলাদেশি সেখানে যাচ্ছে। কারণ দেশেই বাংলাদেশিরা অনেক ভালো করছে।
খালেদা জিয়া বলেছেন, সুষমা স্বরাজের সঙ্গে তাঁর বৈঠকটি ছিল খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ। বৈঠকে সুষমা সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া তিস্তা চুক্তি ও সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন খালেদা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী তাঁকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়ায় এখনই তিনি যাচ্ছেন না। তবে মোদী সরকার কেমন সে সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এখনই কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
No comments