ইরাকে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দি লেভান্ট'র ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা
ইরাকে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট অব ইরাক
অ্যান্ড দি লেভান্ট (আইএসআইএল) ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে।
ইরাক ও সিরিয়ার অংশ নিয়ে গঠিত ‘খিলাফতে’র খলিফা ঘোষণা করা হয়েছে গোষ্ঠীর
নেতা আবু বকর আল-বাগদাদিকে। এদিকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় তিকরিত শহর থেকে জঙ্গিদের হটাতে সরকারি বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খবর এএফপি ও বিবিসির।
>>বাগদাদের কাছে জারফ আল-শাখার শহরে গতকাল জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে দেয়ালঘেরা জায়গায় আশ্রয় নেন ইরাকি বাহিনীর সদস্যরা l রয়টার্স
কঠোর
ইসলামি অনুশাসন চালুর মাধ্যমে একটি খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই জিহাদি
সংগঠনের দীর্ঘদিনের খায়েশ। সম্প্রতি ইরাকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের
পর জঙ্গিরা এরই মধ্যে এ ধরনের কড়া অনুশাসন চালু করেছে।
সর্বশেষ গত রোববার তারা ইন্টারনেটে প্রকাশিত একটি অডিওবার্তার মাধ্যমে খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিল। পাশাপাশি এখন থেকে আইএসআইএলের নাম পরিবর্তনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জঙ্গি সংগঠনটি বলেছে, এখন থেকে তারা কেবল ‘ইসলামি রাষ্ট্র’ হিসেবে পরিচিতি পাবে।
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সম্পাদক জেরেমি বাউন বলছেন, আইএসআইএলের এই ঘোষণা বিংশ শতাব্দীতে মুসলমানদের অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স প্রতিষ্ঠিত সীমানাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।
আইএসআইএলের অডিওবার্তায় বলা হয়, তাদের ইসলামি রাষ্ট্রের বিস্তৃতি হবে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা আলেপ্পো থেকে পূর্ব ইরাকের দিইয়ালা প্রদেশ পর্যন্ত। বর্তমানে ওই এলাকা জঙ্গিদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর সংগঠনের নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি হবেন এই রাষ্ট্রের খলিফা। তিনি পরিচিতি পাবেন ‘খলিফা ইব্রাহিম’ নামে। অডিওবার্তায় দাবি করা হয়, এখন থেকে বিশ্বের সব মুসলমানকে এই নতুন নেতার প্রতি ‘আনুগত্য প্রদর্শন’ এবং ‘গণতন্ত্রসহ পাশ্চাত্যের সব ময়লা-আবর্জনা’ প্রত্যাখ্যান করতে হবে।
আল-কায়েদার জন্য চ্যালেঞ্জ: বাস্তব ময়দানে আইএসআইএলের এই ঘোষণার তাৎক্ষণিক কোনো প্রভাব না থাকলেও, এটা জঙ্গিগোষ্ঠীর আত্মবিশ্বাস কতটা বেড়েছে, তার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। পাশাপাশি এটা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার জন্যও সুস্পষ্ট চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তাঁরা। এই আল-কায়েদা থেকেই বেরিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় আইএসআইএল।
কাতারের দোহাভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের গবেষক চার্লস লিস্টারের মতে, খিলাফত প্রতিষ্ঠার এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক জিহাদের ক্ষেত্রে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর সবচেয়ে বড় ঘটনা। তিনি বলেন, ‘এটা আন্তদেশীয় জিহাদবাদের নতুন যুগ শুরুর ইঙ্গিত হতে পারে...।’ আইএসআইএলই এখন সবচেয়ে ধনী জিহাদি গোষ্ঠী। বিভিন্ন দেশে তাদের সদস্য রয়েছে।
নানা ঘটনা পরিক্রমায় আয়মান আল-জাওয়াহিরির নেতৃত্বাধীন আল-কায়েদা এখন অনেকটা কোণঠাসা। এমন প্রেক্ষাপটে বাগদাদির নেতৃত্বাধীন আইএসআইএলই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী জিহাদি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার বিদেশি যোদ্ধা থাকা গোষ্ঠীটি অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধের কলাকৌশলের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে। অত্যাধুনিক প্রচারণায়ও তারা সমান পারদর্শী।
তিকরিতে লড়াই অব্যাহত: তিকরিত শহর থেকে জঙ্গিদের হটাতে সরকারি বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন দিক দিয়ে হাজার হাজার সেনাসদস্য তিকরিত অভিমুখে রওনা হয়েছেন। যুদ্ধবিমান থেকে শহরটি বিভিন্ন জঙ্গি অবস্থানে বোমা ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া শহরটির চারপাশে সম্মুখযুদ্ধ চলছে। তবে প্রচণ্ড প্রতিরোধের মুখে কাছের দিজালা শহর থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। গত ১১ জুন তিকরিতের দখল নেয় জঙ্গিরা।
এদিকে ইরাকের বিভিন্ন এলাকা সুন্নি জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় ইরাকে একটি স্বাধীন কুর্দি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রাজধানী তেল আবিবে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, কুর্দিরা যোদ্ধা জাতি। তারা রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার প্রমাণ দিয়েছে। তাই তারা স্বাধীনতা পাওয়ার যোগ্য।
সর্বশেষ গত রোববার তারা ইন্টারনেটে প্রকাশিত একটি অডিওবার্তার মাধ্যমে খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিল। পাশাপাশি এখন থেকে আইএসআইএলের নাম পরিবর্তনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জঙ্গি সংগঠনটি বলেছে, এখন থেকে তারা কেবল ‘ইসলামি রাষ্ট্র’ হিসেবে পরিচিতি পাবে।
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সম্পাদক জেরেমি বাউন বলছেন, আইএসআইএলের এই ঘোষণা বিংশ শতাব্দীতে মুসলমানদের অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স প্রতিষ্ঠিত সীমানাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।
আইএসআইএলের অডিওবার্তায় বলা হয়, তাদের ইসলামি রাষ্ট্রের বিস্তৃতি হবে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা আলেপ্পো থেকে পূর্ব ইরাকের দিইয়ালা প্রদেশ পর্যন্ত। বর্তমানে ওই এলাকা জঙ্গিদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর সংগঠনের নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি হবেন এই রাষ্ট্রের খলিফা। তিনি পরিচিতি পাবেন ‘খলিফা ইব্রাহিম’ নামে। অডিওবার্তায় দাবি করা হয়, এখন থেকে বিশ্বের সব মুসলমানকে এই নতুন নেতার প্রতি ‘আনুগত্য প্রদর্শন’ এবং ‘গণতন্ত্রসহ পাশ্চাত্যের সব ময়লা-আবর্জনা’ প্রত্যাখ্যান করতে হবে।
আল-কায়েদার জন্য চ্যালেঞ্জ: বাস্তব ময়দানে আইএসআইএলের এই ঘোষণার তাৎক্ষণিক কোনো প্রভাব না থাকলেও, এটা জঙ্গিগোষ্ঠীর আত্মবিশ্বাস কতটা বেড়েছে, তার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। পাশাপাশি এটা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার জন্যও সুস্পষ্ট চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তাঁরা। এই আল-কায়েদা থেকেই বেরিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় আইএসআইএল।
কাতারের দোহাভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের গবেষক চার্লস লিস্টারের মতে, খিলাফত প্রতিষ্ঠার এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক জিহাদের ক্ষেত্রে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর সবচেয়ে বড় ঘটনা। তিনি বলেন, ‘এটা আন্তদেশীয় জিহাদবাদের নতুন যুগ শুরুর ইঙ্গিত হতে পারে...।’ আইএসআইএলই এখন সবচেয়ে ধনী জিহাদি গোষ্ঠী। বিভিন্ন দেশে তাদের সদস্য রয়েছে।
নানা ঘটনা পরিক্রমায় আয়মান আল-জাওয়াহিরির নেতৃত্বাধীন আল-কায়েদা এখন অনেকটা কোণঠাসা। এমন প্রেক্ষাপটে বাগদাদির নেতৃত্বাধীন আইএসআইএলই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী জিহাদি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার বিদেশি যোদ্ধা থাকা গোষ্ঠীটি অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধের কলাকৌশলের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে। অত্যাধুনিক প্রচারণায়ও তারা সমান পারদর্শী।
তিকরিতে লড়াই অব্যাহত: তিকরিত শহর থেকে জঙ্গিদের হটাতে সরকারি বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন দিক দিয়ে হাজার হাজার সেনাসদস্য তিকরিত অভিমুখে রওনা হয়েছেন। যুদ্ধবিমান থেকে শহরটি বিভিন্ন জঙ্গি অবস্থানে বোমা ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া শহরটির চারপাশে সম্মুখযুদ্ধ চলছে। তবে প্রচণ্ড প্রতিরোধের মুখে কাছের দিজালা শহর থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। গত ১১ জুন তিকরিতের দখল নেয় জঙ্গিরা।
এদিকে ইরাকের বিভিন্ন এলাকা সুন্নি জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় ইরাকে একটি স্বাধীন কুর্দি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রাজধানী তেল আবিবে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, কুর্দিরা যোদ্ধা জাতি। তারা রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার প্রমাণ দিয়েছে। তাই তারা স্বাধীনতা পাওয়ার যোগ্য।
No comments