দুদকের তদন্তের ফের তদন্ত হোক- অভিনব অভিযোগপত্র
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রেলওয়ের নিয়োগসংক্রান্ত দুর্নীতির দুটি মামলায় যে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে, তার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রেলওয়ের গুডস সহকারী ও রেকর্ডকিপার পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলা দুটি হয়েছিল গত বছরের ১৭ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি। প্রায় দেড় বছর পর এসে সংস্থাটি এই দুটি মামলায় রেলওয়ের সাবেক পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধাকে বাদ দিয়ে কেবল সাবেক সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। এর পক্ষে যুক্তি হলো, ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো তথ্য-প্রমাণই নাকি তারা পায়নি! অথচ তিনি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় জোনের মহাব্যবস্থাপক থাকাকালেই নিয়োগের নামে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, সাবেক মহাব্যবস্থাপক ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসায় যাওয়ার পথে টাকার বস্তাসহ ধরা পড়েছিলেন। সেই ঘটনা নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় হলে মন্ত্রীকেও বিদায় নিতে হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একাধিক মামলা দায়েরসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এত কিছুর পরও দুদকের তদন্তে ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তি খুঁজে না পাওয়া রহস্যজনক। প্রশ্ন উঠেছে, আসলেই দুদকের তদন্ত দল সত্য উদ্ঘাটনে সচেষ্ট ছিল, না নামকাওয়াস্তে অভিযোগপত্র দাখিল করে দায়িত্ব শেষ করেছে।
রেলওয়ের যে কর্মকর্তা ইতিমধ্যে বমাল ধরা পড়ে বর্তমানে জেলখানায় আটক আছেন, দুদকের এই ভূমিকা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা নিশ্চয়ই অতটা নির্বোধ নন যে তিনি নিজের টেবিলের দেরাজে দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ রেখে দিয়েছেন, আর দুদক কর্মকর্তারা গিয়ে সেসব তাঁর সাবেক অফিস থেকে নিয়ে আসবেন? যেকোনো দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সবার কথা শোনা। এ ক্ষেত্রে যেসব প্রার্থী চাকরি পাওয়ার জন্য উৎকোচ দিয়েছিলেন, তাঁদের সবার জবানবন্দি নিলে বিষয়টি পরিষ্কার হতো।
এ প্রসঙ্গে টাকার বস্তা আটক গাড়ির চালককে খুঁজে বের করার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে গাড়িচালকের সততা ও সাহসের জন্য রেলওয়ের এত বড় একটি কেলেঙ্কারি ধরা পড়ল, প্রায় দুই বছর ধরে তাঁর নিখোঁজ থাকা যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্যই লজ্জাজনক। তিনি স্বেচ্ছায়, না দুর্নীতিবাজদের হুমকির কারণে পালিয়ে আছেন, সেটি জনগণকে জানানোও সরকারের দায়িত্ব।
রেলের কালো বিড়াল ধরতে গিয়ে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজেই কালো বিড়াল হয়ে গিয়েছিলেন। সেই ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত, তাদের সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। দুদক যদি অভিযোগ থেকে রাঘববোয়ালদের ছেড়ে দিয়ে সব দায় চুনোপুঁটিদের ওপর চাপায়, তাহলে কোনো দিনই রেলওয়ে তথা সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি কমবে না; বরং এই দুর্নীতিবাজরাই আশকারা পাবে।
তাই দুদক উল্লিখিত মামলায় যে তদন্তের ভিত্তিতে রেলওয়ের সাবেক মহাব্যবস্থাপককে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে, আমরা সেই তদন্তেরই পুনঃ তদন্ত দাবি করছি।
এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, সাবেক মহাব্যবস্থাপক ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসায় যাওয়ার পথে টাকার বস্তাসহ ধরা পড়েছিলেন। সেই ঘটনা নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় হলে মন্ত্রীকেও বিদায় নিতে হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একাধিক মামলা দায়েরসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এত কিছুর পরও দুদকের তদন্তে ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তি খুঁজে না পাওয়া রহস্যজনক। প্রশ্ন উঠেছে, আসলেই দুদকের তদন্ত দল সত্য উদ্ঘাটনে সচেষ্ট ছিল, না নামকাওয়াস্তে অভিযোগপত্র দাখিল করে দায়িত্ব শেষ করেছে।
রেলওয়ের যে কর্মকর্তা ইতিমধ্যে বমাল ধরা পড়ে বর্তমানে জেলখানায় আটক আছেন, দুদকের এই ভূমিকা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা নিশ্চয়ই অতটা নির্বোধ নন যে তিনি নিজের টেবিলের দেরাজে দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ রেখে দিয়েছেন, আর দুদক কর্মকর্তারা গিয়ে সেসব তাঁর সাবেক অফিস থেকে নিয়ে আসবেন? যেকোনো দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সবার কথা শোনা। এ ক্ষেত্রে যেসব প্রার্থী চাকরি পাওয়ার জন্য উৎকোচ দিয়েছিলেন, তাঁদের সবার জবানবন্দি নিলে বিষয়টি পরিষ্কার হতো।
এ প্রসঙ্গে টাকার বস্তা আটক গাড়ির চালককে খুঁজে বের করার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে গাড়িচালকের সততা ও সাহসের জন্য রেলওয়ের এত বড় একটি কেলেঙ্কারি ধরা পড়ল, প্রায় দুই বছর ধরে তাঁর নিখোঁজ থাকা যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্যই লজ্জাজনক। তিনি স্বেচ্ছায়, না দুর্নীতিবাজদের হুমকির কারণে পালিয়ে আছেন, সেটি জনগণকে জানানোও সরকারের দায়িত্ব।
রেলের কালো বিড়াল ধরতে গিয়ে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজেই কালো বিড়াল হয়ে গিয়েছিলেন। সেই ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত, তাদের সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। দুদক যদি অভিযোগ থেকে রাঘববোয়ালদের ছেড়ে দিয়ে সব দায় চুনোপুঁটিদের ওপর চাপায়, তাহলে কোনো দিনই রেলওয়ে তথা সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি কমবে না; বরং এই দুর্নীতিবাজরাই আশকারা পাবে।
তাই দুদক উল্লিখিত মামলায় যে তদন্তের ভিত্তিতে রেলওয়ের সাবেক মহাব্যবস্থাপককে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে, আমরা সেই তদন্তেরই পুনঃ তদন্ত দাবি করছি।
No comments