সিলেটে পুলিশ-অপরাধী সখ্য- দুই মাসে ৩৫ ছিনতাই by ওয়েছ খছরু
সিলেটের শেখঘাট এলাকায় নাট্যনির্মাতার সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় লামাবাজার ফাঁড়ির সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আর মানিকপীর রোডে চা বাগানের ২২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মেট্রোডিবি’র
এক সাব ইন্সপেক্টরের নাম জোরেশোরেই শোনা যায়। দু’টি
ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কেউ কেউ পুলিশ পরিবারের সদস্য। সিলেটে অপরাধীদের সঙ্গে পুলিশের এমন সম্পৃক্ততার ইতিহাস নতুন নয়। অনেক দিনের পুরনো সে ইতিহাস। সিলেটের অপরাধ বাড়াতো পুলিশ। আবার অপরাধ কমাতোও পুলিশ। যখন বড় কর্তারা ক্ষেপে যান তখনই মাঠ পর্যায়ে অপরাধ কমে আসে। সিলেট মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিলেটের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ির বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে মেট্রোপুলিশের রিজার্ভ কিংবা গোয়েন্দা শাখায় নিয়ে আসা হয়। ওখানে তারা দায়িত্ব পালন করলেও পুরনো কর্তব্যরত এলাকায় তাদের আধিপত্য রয়ে যায়। সিলেটের লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে ছিলেন দারোগা মনির। তিনি বর্তমানে মেট্রোপুলিশে রয়েছেন। পুলিশেরই একটি সূত্র জানিয়েছে, লামাবাজার ফাঁড়ির অধীনস্থ এলাকাগুলোর অপরাধের নিয়ন্ত্রণদাতা দারোগা মনির। তিনি ফাঁড়িতে থাকা অবস্থায় ওই এলাকার অপরাধীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তিনি বদলি হয়ে যাওয়ার পর ওই এলাকার অপরাধের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছেন। সিলেট নগরীর শেখঘাটে নাট্যনির্মাতার সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার পর পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে। এই চারজনের মধ্যে দু’জন ছিনতাইয়ের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তাদের থানা পর্যন্ত ধরে নেয়া হলেও পরবর্তীতে রহস্যজনক কারণে ছেড়ে দেয়া হয়। আর পুলিশের পক্ষ থেকেও বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সিলেটের শাহপরান এলাকায় অপরাধের নিয়ন্ত্রণদাতা ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর বেণু। অপরাধ নির্বিঘ্ন করতে রাজনৈতিক শেল্টারে থাকা অপরাধীরাই তাকে স্থানীয় ফাঁড়িতে বদলি করে নিয়ে আসে। মেজরটিলা এলাকায় এক পেট্রোল পাম্প ব্যবসায়ীর সাড়ে ৬ লাখ টাকা ছিনতাই ঘটনায় বেণুকে প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু ওই এলাকার অপরাধীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েই গেছে। দক্ষিণ সুরমা থানায় ওসি রঞ্জন সামন্তের বিচরণ দীর্ঘ দিনের। চাকরির সুবাদে ওই এলাকার অপরাধীদের সঙ্গে তার ভাল সম্পর্ক। এ কারণে ওপেন হাউজ ডেতে আলটিমেটামের পর কমিশনারের রোষানলে পড়েন তিনি। এছাড়া বিমানবন্দর ও জালালাবাদ থানার বেশ কয়েকজন এএসআইর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। বাদাঘাট ও বিমানবন্দর এলাকার মাদক আস্তানার নিয়ন্ত্রণ তারা সরাসরি করছেন বলে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে এএসআই হেলালের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বাগান এলাকার মাদকের আস্তানা। সন্ধ্যা হলেই তাকে অতন্ত্র প্রহরীর মতো দেখা যায় ওই এলাকায়। অপরাধের সঙ্গে পুলিশের সখ্য থাকায় সিলেটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। গত দুই মাসে সিলেট নগরীর কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫টি ছিনতাই ঘটেছে। রাজপথ থেকে শুরু করে পাড়ার গলিপথ রয়েছে ছিনতাইকারীদের বিচরণ। কিন্তু ছিনতাইয়ের পর পুলিশ অ্যাকশনে গেলেও টাকা কিংবা ছিনতাইকারী কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে, নগরীর মানিকপীর রোডে বাগানের কর্মচারীদের বেতনের ২২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের পর পুলিশ বেশ কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে টাকা উদ্ধার করেছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মিজানুর রহমান রমজানের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মতবিনিময় সভায় জানিয়েছেন, সমপ্রতি চা বাগানের ছিনতাই হওয়া ২২ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছিনতাইকারীও ধরেছে। তিনি জানিয়েছেন, ছিনতাই রোধে সিলেটে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ছক সাজানো হয়েছে। একই সঙ্গে চলছে অভিযানও।
ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ: নগরীতে ছিনতাই বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। রমজান মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও তারা শঙ্কিত। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা রমজানে ছিনতাইকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে। ঈদের বাজারে বখাটেরা প্রতিবছর নারীক্রেতাদের উত্ত্যক্ত করে। ফুটপাত ও রাস্তায় ভ্যান গাড়িতে করে হকাররা পসরা সাজিয়ে বসে। এছাড়া সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা যত্রতত্র রেখে নগরীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করা হয় রমজানে। রোববার বিকালে সিলেট মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে পুলিশের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের মতবিনিময়কালে ব্যবসায়ী নেতারা তাদের শঙ্কার কথা এভাবেই তুলে ধরেন। এ সময় তারা ছিনতাই, ইভটিজিং ও যানজটকে সিলেট নগরবাসীর অভিশাপ হিসেবে উল্লেখ করেন। ব্যবসায়ীদের বক্তব্যের পর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, রমজানে যাতে ব্যবসায়ীসহ নগরবাসী ছিনতাই, যানজট ও ইভটিজিং থেকে রক্ষা পায় এ জন্যই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। রমজানে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন ও পরিবহনে পুলিশের সহযোগিতা নিতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান তিনি। টাকা পরিবহনে সহযোগিতার জন্য পুলিশের একটি টিম ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকবে বলে জানান কমিশনার। ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশ সব ধরনের সহযোগিতা করবে এবং বখাটেদের গ্রেপ্তারে মাঠে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ কমিশনার। যানজট নিরসনে পুলিশ কমিশনার তাৎক্ষণিক ট্রাফিকের সহকারী কমিশনারকে নির্দেশ দেন। যে সব পয়েন্টে বেশি যানজট হয় ওই সব পয়েন্ট শনাক্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে কমিশনার বলেন, কোন পুলিশ কর্মকর্তাও অবৈধ পার্কিং করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রুকন উদ্দিন আহমদ, ডিসি উত্তর এজাজ আহমদ, ডিসি দক্ষিণ মো. মুশফেকুর রহমান, ব্যবসায়ী নেতা হাসিন আহমদ, হান্নান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা তুরন মিয়া, নাজমূল ইসলাম, সিলেট প্রেস ক্লাব ফাউন্ডেশনের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইকরামুল কবির ইকু, ব্যবসায়ী আমির উদ্দিন, চৌধুরী মোহাম্মদ সোহেল, আবদুল মুকিত, সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, আলা মিয়া, গুলজার আহমদ, শুয়েব আহমদ প্রমুখ।
এক সাব ইন্সপেক্টরের নাম জোরেশোরেই শোনা যায়। দু’টি
ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কেউ কেউ পুলিশ পরিবারের সদস্য। সিলেটে অপরাধীদের সঙ্গে পুলিশের এমন সম্পৃক্ততার ইতিহাস নতুন নয়। অনেক দিনের পুরনো সে ইতিহাস। সিলেটের অপরাধ বাড়াতো পুলিশ। আবার অপরাধ কমাতোও পুলিশ। যখন বড় কর্তারা ক্ষেপে যান তখনই মাঠ পর্যায়ে অপরাধ কমে আসে। সিলেট মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিলেটের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ির বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে মেট্রোপুলিশের রিজার্ভ কিংবা গোয়েন্দা শাখায় নিয়ে আসা হয়। ওখানে তারা দায়িত্ব পালন করলেও পুরনো কর্তব্যরত এলাকায় তাদের আধিপত্য রয়ে যায়। সিলেটের লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে ছিলেন দারোগা মনির। তিনি বর্তমানে মেট্রোপুলিশে রয়েছেন। পুলিশেরই একটি সূত্র জানিয়েছে, লামাবাজার ফাঁড়ির অধীনস্থ এলাকাগুলোর অপরাধের নিয়ন্ত্রণদাতা দারোগা মনির। তিনি ফাঁড়িতে থাকা অবস্থায় ওই এলাকার অপরাধীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তিনি বদলি হয়ে যাওয়ার পর ওই এলাকার অপরাধের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছেন। সিলেট নগরীর শেখঘাটে নাট্যনির্মাতার সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার পর পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে। এই চারজনের মধ্যে দু’জন ছিনতাইয়ের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তাদের থানা পর্যন্ত ধরে নেয়া হলেও পরবর্তীতে রহস্যজনক কারণে ছেড়ে দেয়া হয়। আর পুলিশের পক্ষ থেকেও বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সিলেটের শাহপরান এলাকায় অপরাধের নিয়ন্ত্রণদাতা ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর বেণু। অপরাধ নির্বিঘ্ন করতে রাজনৈতিক শেল্টারে থাকা অপরাধীরাই তাকে স্থানীয় ফাঁড়িতে বদলি করে নিয়ে আসে। মেজরটিলা এলাকায় এক পেট্রোল পাম্প ব্যবসায়ীর সাড়ে ৬ লাখ টাকা ছিনতাই ঘটনায় বেণুকে প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু ওই এলাকার অপরাধীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েই গেছে। দক্ষিণ সুরমা থানায় ওসি রঞ্জন সামন্তের বিচরণ দীর্ঘ দিনের। চাকরির সুবাদে ওই এলাকার অপরাধীদের সঙ্গে তার ভাল সম্পর্ক। এ কারণে ওপেন হাউজ ডেতে আলটিমেটামের পর কমিশনারের রোষানলে পড়েন তিনি। এছাড়া বিমানবন্দর ও জালালাবাদ থানার বেশ কয়েকজন এএসআইর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। বাদাঘাট ও বিমানবন্দর এলাকার মাদক আস্তানার নিয়ন্ত্রণ তারা সরাসরি করছেন বলে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে এএসআই হেলালের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বাগান এলাকার মাদকের আস্তানা। সন্ধ্যা হলেই তাকে অতন্ত্র প্রহরীর মতো দেখা যায় ওই এলাকায়। অপরাধের সঙ্গে পুলিশের সখ্য থাকায় সিলেটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। গত দুই মাসে সিলেট নগরীর কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫টি ছিনতাই ঘটেছে। রাজপথ থেকে শুরু করে পাড়ার গলিপথ রয়েছে ছিনতাইকারীদের বিচরণ। কিন্তু ছিনতাইয়ের পর পুলিশ অ্যাকশনে গেলেও টাকা কিংবা ছিনতাইকারী কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে, নগরীর মানিকপীর রোডে বাগানের কর্মচারীদের বেতনের ২২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের পর পুলিশ বেশ কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে টাকা উদ্ধার করেছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মিজানুর রহমান রমজানের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মতবিনিময় সভায় জানিয়েছেন, সমপ্রতি চা বাগানের ছিনতাই হওয়া ২২ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছিনতাইকারীও ধরেছে। তিনি জানিয়েছেন, ছিনতাই রোধে সিলেটে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ছক সাজানো হয়েছে। একই সঙ্গে চলছে অভিযানও।
ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ: নগরীতে ছিনতাই বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। রমজান মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও তারা শঙ্কিত। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা রমজানে ছিনতাইকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে। ঈদের বাজারে বখাটেরা প্রতিবছর নারীক্রেতাদের উত্ত্যক্ত করে। ফুটপাত ও রাস্তায় ভ্যান গাড়িতে করে হকাররা পসরা সাজিয়ে বসে। এছাড়া সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা যত্রতত্র রেখে নগরীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করা হয় রমজানে। রোববার বিকালে সিলেট মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে পুলিশের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের মতবিনিময়কালে ব্যবসায়ী নেতারা তাদের শঙ্কার কথা এভাবেই তুলে ধরেন। এ সময় তারা ছিনতাই, ইভটিজিং ও যানজটকে সিলেট নগরবাসীর অভিশাপ হিসেবে উল্লেখ করেন। ব্যবসায়ীদের বক্তব্যের পর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, রমজানে যাতে ব্যবসায়ীসহ নগরবাসী ছিনতাই, যানজট ও ইভটিজিং থেকে রক্ষা পায় এ জন্যই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। রমজানে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন ও পরিবহনে পুলিশের সহযোগিতা নিতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান তিনি। টাকা পরিবহনে সহযোগিতার জন্য পুলিশের একটি টিম ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকবে বলে জানান কমিশনার। ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশ সব ধরনের সহযোগিতা করবে এবং বখাটেদের গ্রেপ্তারে মাঠে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ কমিশনার। যানজট নিরসনে পুলিশ কমিশনার তাৎক্ষণিক ট্রাফিকের সহকারী কমিশনারকে নির্দেশ দেন। যে সব পয়েন্টে বেশি যানজট হয় ওই সব পয়েন্ট শনাক্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে কমিশনার বলেন, কোন পুলিশ কর্মকর্তাও অবৈধ পার্কিং করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রুকন উদ্দিন আহমদ, ডিসি উত্তর এজাজ আহমদ, ডিসি দক্ষিণ মো. মুশফেকুর রহমান, ব্যবসায়ী নেতা হাসিন আহমদ, হান্নান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা তুরন মিয়া, নাজমূল ইসলাম, সিলেট প্রেস ক্লাব ফাউন্ডেশনের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইকরামুল কবির ইকু, ব্যবসায়ী আমির উদ্দিন, চৌধুরী মোহাম্মদ সোহেল, আবদুল মুকিত, সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, আলা মিয়া, গুলজার আহমদ, শুয়েব আহমদ প্রমুখ।
No comments