ভুল ও ক্ষতিকর বার্তা পৌঁছে দেবে- স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্ভট উক্তি
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম রোববার জাতীয় সংসদে এক ভীষণ অজ্ঞতাপ্রসূত উক্তি করেছেন, যা সংগত কারণেই ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ‘দুনিয়ার কোথাও ছুটির দিনে চিকিৎসক পাওয়া যায় না’, এমন উদ্ভট কথা তিনি কিসের ভিত্তিতে বললেন, তা শুধু তিনিই জানেন। আমরা যতটুকু জানি, পৃথিবীর কোনো দেশেই ছুটির দিনেও চিকিৎসা বন্ধ থাকে না। এমনকি এই বাংলাদেশেও নয়।
চিকিৎসাসেবা একটি সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা, যার সঙ্গে মানুষের জীবন–মরণের প্রশ্ন জড়িত। এ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন; ব্যক্তি চিকিৎসকদের ছুটি মানে গোটা চিকিৎসাব্যবস্থার বিরাম নয়। চিকিৎসক, সেবক, সেবিকা ও অন্য কর্মীরা পালাক্রমে এই ব্যবস্থাকে সার্বক্ষণিকভাবে সচল রাখেন। এটাই সারা পৃথিবীর সাধারণ রীতি। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অজ্ঞতা অবিশ্বাস্য। তিনি যদি দায়িত্ব পালনে অবহেলাপ্রবণ সরকারি চিকিৎসকদের প্রীতি লাভের উদ্দেশ্যে এই উক্তি করে থাকেন, যে সারা দুনিয়ায় যা নেই, শুধু বাংলাদেশেই তা আছে, ছুটির দিনে জরুরি চিকিৎসাসেবা চালু থাকে শুধুই বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতেই, তাহলে এটা ভীষণ উদ্বেগের বিষয়। কারণ তাঁর এই উক্তি সরকারি চিকিৎসকদের মধ্যে ভুল বার্তা পৌঁছে দেবে। তাঁদের মধ্যে যাঁরা এমনিতেই কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালনে অনীহা বোধ করেন, তাঁরা আরও উৎসাহিত হবেন।
দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ভুল বার্তা নিয়ে যাবে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। এখন তাঁরা মনে করবেন, ছুটির দিনে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে কোনো চিকিৎসা মিলবে না। তাঁরা ছুটবেন বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে। কিন্তু সেখানেও যে সঠিক ও পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা পাবেন, তারও নিশ্চয়তা নেই। কারণ ছুটির দিনে সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে অধিকাংশ হাসপাতালেই জ্যেষ্ঠ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পাওয়া যায় না। দায়িত্ব পালন করেন কনিষ্ঠ ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা। সরকারি হাসপাতালগুলোর ব্যাপারে সাধারণ রোগীদের এটাই সবচেয়ে বড় অভিযোগ। আসলে এটি একটি প্রবণতাগত জটিল সমস্যা, যা দূর করার জন্য সরকারের সচেষ্ট হওয়া উচিত। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যটি গেল এর সম্পূর্ণ বিপরীতে। এটা যারপরনাই হতাশাব্যঞ্জক। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ক্ষতিকর বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, এ ব্যাপারে তাঁর সতর্ক থাকা উচিত।
চিকিৎসাসেবা একটি সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা, যার সঙ্গে মানুষের জীবন–মরণের প্রশ্ন জড়িত। এ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন; ব্যক্তি চিকিৎসকদের ছুটি মানে গোটা চিকিৎসাব্যবস্থার বিরাম নয়। চিকিৎসক, সেবক, সেবিকা ও অন্য কর্মীরা পালাক্রমে এই ব্যবস্থাকে সার্বক্ষণিকভাবে সচল রাখেন। এটাই সারা পৃথিবীর সাধারণ রীতি। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অজ্ঞতা অবিশ্বাস্য। তিনি যদি দায়িত্ব পালনে অবহেলাপ্রবণ সরকারি চিকিৎসকদের প্রীতি লাভের উদ্দেশ্যে এই উক্তি করে থাকেন, যে সারা দুনিয়ায় যা নেই, শুধু বাংলাদেশেই তা আছে, ছুটির দিনে জরুরি চিকিৎসাসেবা চালু থাকে শুধুই বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতেই, তাহলে এটা ভীষণ উদ্বেগের বিষয়। কারণ তাঁর এই উক্তি সরকারি চিকিৎসকদের মধ্যে ভুল বার্তা পৌঁছে দেবে। তাঁদের মধ্যে যাঁরা এমনিতেই কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালনে অনীহা বোধ করেন, তাঁরা আরও উৎসাহিত হবেন।
দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ভুল বার্তা নিয়ে যাবে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। এখন তাঁরা মনে করবেন, ছুটির দিনে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে কোনো চিকিৎসা মিলবে না। তাঁরা ছুটবেন বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে। কিন্তু সেখানেও যে সঠিক ও পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা পাবেন, তারও নিশ্চয়তা নেই। কারণ ছুটির দিনে সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে অধিকাংশ হাসপাতালেই জ্যেষ্ঠ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পাওয়া যায় না। দায়িত্ব পালন করেন কনিষ্ঠ ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা। সরকারি হাসপাতালগুলোর ব্যাপারে সাধারণ রোগীদের এটাই সবচেয়ে বড় অভিযোগ। আসলে এটি একটি প্রবণতাগত জটিল সমস্যা, যা দূর করার জন্য সরকারের সচেষ্ট হওয়া উচিত। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যটি গেল এর সম্পূর্ণ বিপরীতে। এটা যারপরনাই হতাশাব্যঞ্জক। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ক্ষতিকর বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, এ ব্যাপারে তাঁর সতর্ক থাকা উচিত।
No comments