এমপি হিসেবে মেয়াদ মাত্র একদিন হলেই খুশি: রুমিন ফারহানা
সংসদ
সদস্য হিসেবে নিজের মেয়াদ মাত্র একদিন দেখতে চান বিএনপির মনোনয়নে সংরক্ষিত
আসনে সদ্য শপথ নেওয়া ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। রবিবার (৯ জুন) সংসদ
সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি
বলেন, খুব খুশি হবো আমার সংসদ সদস্য হওয়ার মেয়াদ একদিনের বেশি না হলে। আমি
চাই যেন অতি দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে
জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠিত হয়।
এর আগে দুপুর ১২টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবনস্থ তার কার্যালয়ে রুমিন ফারহানাকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠানে চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
শপথ শেষে রুমিন বলেন, ‘এই সংসদটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। গঠিত হওয়ার পর আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এই সংসদকে অবৈধ বলেছি। আমি এখনও তা বলছি।’
অবৈধ বলছেন তাহলে কেন শপথ নিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খুব পরিষ্কার। এটা হচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক স্পেস। আমাদের কথা বলার জায়গাগুলো ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। সেই অর্থে দেখতে পাচ্ছি সংসদ একটি ভালো অ্যাভিনিউ, যেটা আমরা ব্যবহার করতে পারি আমাদের দলের কথা, দেশের কথা ও মানুষের কথা বলার জন্য। আর সেই স্পেসটা ব্যবহার করার জন্য আমাদের এই সংসদে আসা।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সংখ্যাগত দিক থেকে নিশ্চয়ই অনেক কম। তারপরও আশা করছি, সংসদে যদি একজনও ন্যায্য কথা বলেন তাকে যথেষ্ট সময় ও সুযোগ দেওয়া হবে। সরকারের নিজের স্বার্থেই এই সময় ও সুযোগ দেওয়া উচিত।
দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার মামলার মেরিট, তার বয়স, সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় তিনি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক জামিন লাভের যোগ্য। তাকে জামিন বঞ্চিত করে কারাগারে রাখা হয়েছে, এর পুরোটাই বেআইনি। এবং তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। নিশ্চয়ই সেই বিষয়গুলো নিয়ে সংসদে কথা বলবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখলেন আমি মাত্রই শপথ নিয়েছি। সুতরাং আমার বরাদ্দ পাওয়ার কোনও প্রশ্নই আসেনি। আর পুরো বিষয়টি কী হয়েছে আমার জানা নেই। আমি এলাকায় ছিলাম না। আমি এটা দেখবো।’
উল্লেখ্য, রুমিন ফারহানা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন আগে শনিবার (৮ জুন) বিকালে ‘কাবিখা’ কর্মসূচির (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির (টিআর) বরাদ্দ নেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে ফাস্ট গেইট এলাকায় বিএনপির দু গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার সমর্থক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন এবং ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। সংঘর্ষের ঘটনা স্বীকার করে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি খুবই লজ্জার।’
এর আগে দুপুর ১২টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবনস্থ তার কার্যালয়ে রুমিন ফারহানাকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠানে চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
শপথ শেষে রুমিন বলেন, ‘এই সংসদটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। গঠিত হওয়ার পর আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এই সংসদকে অবৈধ বলেছি। আমি এখনও তা বলছি।’
অবৈধ বলছেন তাহলে কেন শপথ নিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খুব পরিষ্কার। এটা হচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক স্পেস। আমাদের কথা বলার জায়গাগুলো ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। সেই অর্থে দেখতে পাচ্ছি সংসদ একটি ভালো অ্যাভিনিউ, যেটা আমরা ব্যবহার করতে পারি আমাদের দলের কথা, দেশের কথা ও মানুষের কথা বলার জন্য। আর সেই স্পেসটা ব্যবহার করার জন্য আমাদের এই সংসদে আসা।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সংখ্যাগত দিক থেকে নিশ্চয়ই অনেক কম। তারপরও আশা করছি, সংসদে যদি একজনও ন্যায্য কথা বলেন তাকে যথেষ্ট সময় ও সুযোগ দেওয়া হবে। সরকারের নিজের স্বার্থেই এই সময় ও সুযোগ দেওয়া উচিত।
দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার মামলার মেরিট, তার বয়স, সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় তিনি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক জামিন লাভের যোগ্য। তাকে জামিন বঞ্চিত করে কারাগারে রাখা হয়েছে, এর পুরোটাই বেআইনি। এবং তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। নিশ্চয়ই সেই বিষয়গুলো নিয়ে সংসদে কথা বলবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখলেন আমি মাত্রই শপথ নিয়েছি। সুতরাং আমার বরাদ্দ পাওয়ার কোনও প্রশ্নই আসেনি। আর পুরো বিষয়টি কী হয়েছে আমার জানা নেই। আমি এলাকায় ছিলাম না। আমি এটা দেখবো।’
উল্লেখ্য, রুমিন ফারহানা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন আগে শনিবার (৮ জুন) বিকালে ‘কাবিখা’ কর্মসূচির (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির (টিআর) বরাদ্দ নেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে ফাস্ট গেইট এলাকায় বিএনপির দু গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার সমর্থক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন এবং ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। সংঘর্ষের ঘটনা স্বীকার করে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি খুবই লজ্জার।’
No comments