সংকটময় সময়ে সিলেট চেম্বারের দায়িত্বে আসাদ by ওয়েছ খছরু
সিলেটে
চেম্বারের দায়িত্ব নিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ
উদ্দিন আহমদ। গতকালই তিনি দায়িত্ব সমঝে নিয়েছেন। এর আগে তিনি সিলেট
চেম্বারের নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিত আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন।
কিন্তু সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে তিনি সিলেট
চেম্বারের প্রশাসক হলেন। সংকটে অবতীর্ণ হওয়া সিলেট চেম্বারকে সঠিক পথে
ফিরিয়ে আনতে তাকে দেয়া হলো এই দায়িত্ব। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন- সিলেট
চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজে দীর্ঘ দিনের নানা সংকট পুঞ্জীভূত। এই
সংকটের প্রধান কারণ হচ্ছে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা। এই ভোটার তালিকা নিয়ে
আপত্তি ছিল ব্যবসায়ীদের।
তখন চেম্বারের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিজিত চৌধুরী। বিজিত চৌধুরীর মতে- তিনি সিলেট চেম্বারকে ব্যবসায়ীদের সংগঠনে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চেম্বার নেতারা নানাভাবে ভোটার বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন। এতে করে জালজালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়। এ বিষয়গুলো তার নজরে এলে তিনি এতে বাধা হয়ে দাঁড়ান। যার কারণে তদন্তে ৮০ জন সদস্যের কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হয়। একই ভাবে তিনটি ইউনিট নিজেরা মনগড়া ভাবে তৈরি করেন। এসব কারণে চেম্বার নির্বাচনে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাতে হস্তক্ষেপ করে। এদিকে- চেম্বার নির্বাচন নিয়ে জটিলতা উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের পর প্রশাসক ধারায় ফিরেছে সিলেট চেম্বার। অতীতে বেশ কয়েক বার একই ধারায় ফিরেছিল। সিলেট চেম্বার নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে আক্ষেপ রয়েছে। এ কারণে বার বার সিলেট চেম্বারের কর্তৃত্ব বিরোধী বলয়ের নেতারা ধরে রাখেন। আওয়ামী লীগ নেতারা কখনো তাতে হস্তক্ষেপ করেননি।
চেম্বার নিয়ে এক সময় বিরোধী বলয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত তিনি বিরোধ বাড়াননি। নিজেই স্বতন্ত্র অবস্থান গড়ে তোলেন। সিলেটের ব্যবসায়ীদের অন্য বলয়ের নেতাদের নিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স গড়ে তোলেন। প্রথম প্রথম সিলেট চেম্বারের সঙ্গে তাদের প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিল। কিন্তু এখন স্বতন্ত্র অবস্থানে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এরপর থেকে যারা সিলেট চেম্বার অব কমার্স পরিচালনা করেছিলেন তাদের সিংহভাগই ছিলেন একই ঘরানার সদস্য। সুতরাং চেম্বারের কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধ বাঁধবে সেটি কারো ধারণায়ই ছিল না।
কিন্তু এবারো চেম্বারের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে যখন ভুয়া ভোটার ও ইউনিট বাড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয় তখন সিলেট চেম্বার নজরে আসে সবার। ব্যবসায়ীদের একাংশও এই অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্তেও অনেক ত্রুটি ধরা পড়ে। তবে- গতকাল দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় বিদায়ী সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ জানিয়েছেন- ‘আমরা সিলেট চেম্বারের সুনাম ধরে রাখতে কাজ করেছি। ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। এগুলো সুধরে নিয়ে আমাদের আগামী দিনে চলতে হবে। সিলেট চেম্বারে খুব দ্রুত গণতান্ত্রিক ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।’ খন্দকার শিপার আহমদ বর্তমানে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সদস্য।
এক্ষেত্রে তিনিও সিলেট চেম্বারের বর্তমান প্রশাসককে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানান। এদিকে- দায়িত্ব গ্রহণকালে সিলেট চেম্বারের প্রশাসক আসাদ উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন- ‘সকলের সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ১২০ দিনের মধ্যে সিলেটের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন সিলেট চেম্বারের নির্বাচন আয়োজন করতে চান।’ তিনি বলেন- সিলেট চেম্বার একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। দেশ-বিদেশে রয়েছে সংগঠনটির সুনাম। কিন্তু বিগত দিনে চেম্বারের নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব আদালতে গড়ানোয় সংগঠনের সুনাম অনেকটাই ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই জটিল অবস্থায় চেম্বারের নির্বাচন করার জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।’ যারা চেম্বারের নির্বাচন নিয়ে আইনি চেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করে তিনি বলেন- ‘আসুন সকলে মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেই।
আপনাদের যা কিছু বলার আছে আমাকে বলুন, সকলের মতামত নিয়েই আমি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চাই।’ সিলেট চেম্বারের সদ্য বিদায়ী সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন আসাদ উদ্দিন আহমদ। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। তিনি বলেন- ‘গত কয়েক বছরে সিলেট চেম্বার ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন সেক্টরে সিলেটের উন্নয়নে কাজ করেছে এবং দেশব্যাপী সুনাম কুড়িয়েছে। আগামীতেও যারা নেতৃত্বে আসবেন তারাও এই ধারা অব্যাহত রাখবেন।’ চেম্বারের বিগত কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদ আহমদ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক মো. সাহিদুর রহমান, ওয়াহিদুজ্জামান ভুট্টো, মুশফিক জায়গীরদার, এহতেশামুল হক চৌধুরী, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, আব্দুর রহমান জামিল, মো. আতিক হোসেন ও মুজিবুর রহমান মিন্টু।
তখন চেম্বারের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিজিত চৌধুরী। বিজিত চৌধুরীর মতে- তিনি সিলেট চেম্বারকে ব্যবসায়ীদের সংগঠনে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চেম্বার নেতারা নানাভাবে ভোটার বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন। এতে করে জালজালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়। এ বিষয়গুলো তার নজরে এলে তিনি এতে বাধা হয়ে দাঁড়ান। যার কারণে তদন্তে ৮০ জন সদস্যের কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হয়। একই ভাবে তিনটি ইউনিট নিজেরা মনগড়া ভাবে তৈরি করেন। এসব কারণে চেম্বার নির্বাচনে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাতে হস্তক্ষেপ করে। এদিকে- চেম্বার নির্বাচন নিয়ে জটিলতা উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের পর প্রশাসক ধারায় ফিরেছে সিলেট চেম্বার। অতীতে বেশ কয়েক বার একই ধারায় ফিরেছিল। সিলেট চেম্বার নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে আক্ষেপ রয়েছে। এ কারণে বার বার সিলেট চেম্বারের কর্তৃত্ব বিরোধী বলয়ের নেতারা ধরে রাখেন। আওয়ামী লীগ নেতারা কখনো তাতে হস্তক্ষেপ করেননি।
চেম্বার নিয়ে এক সময় বিরোধী বলয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত তিনি বিরোধ বাড়াননি। নিজেই স্বতন্ত্র অবস্থান গড়ে তোলেন। সিলেটের ব্যবসায়ীদের অন্য বলয়ের নেতাদের নিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স গড়ে তোলেন। প্রথম প্রথম সিলেট চেম্বারের সঙ্গে তাদের প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিল। কিন্তু এখন স্বতন্ত্র অবস্থানে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এরপর থেকে যারা সিলেট চেম্বার অব কমার্স পরিচালনা করেছিলেন তাদের সিংহভাগই ছিলেন একই ঘরানার সদস্য। সুতরাং চেম্বারের কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধ বাঁধবে সেটি কারো ধারণায়ই ছিল না।
কিন্তু এবারো চেম্বারের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে যখন ভুয়া ভোটার ও ইউনিট বাড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয় তখন সিলেট চেম্বার নজরে আসে সবার। ব্যবসায়ীদের একাংশও এই অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্তেও অনেক ত্রুটি ধরা পড়ে। তবে- গতকাল দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় বিদায়ী সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ জানিয়েছেন- ‘আমরা সিলেট চেম্বারের সুনাম ধরে রাখতে কাজ করেছি। ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। এগুলো সুধরে নিয়ে আমাদের আগামী দিনে চলতে হবে। সিলেট চেম্বারে খুব দ্রুত গণতান্ত্রিক ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।’ খন্দকার শিপার আহমদ বর্তমানে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সদস্য।
এক্ষেত্রে তিনিও সিলেট চেম্বারের বর্তমান প্রশাসককে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানান। এদিকে- দায়িত্ব গ্রহণকালে সিলেট চেম্বারের প্রশাসক আসাদ উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন- ‘সকলের সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ১২০ দিনের মধ্যে সিলেটের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন সিলেট চেম্বারের নির্বাচন আয়োজন করতে চান।’ তিনি বলেন- সিলেট চেম্বার একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। দেশ-বিদেশে রয়েছে সংগঠনটির সুনাম। কিন্তু বিগত দিনে চেম্বারের নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব আদালতে গড়ানোয় সংগঠনের সুনাম অনেকটাই ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই জটিল অবস্থায় চেম্বারের নির্বাচন করার জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।’ যারা চেম্বারের নির্বাচন নিয়ে আইনি চেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করে তিনি বলেন- ‘আসুন সকলে মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেই।
আপনাদের যা কিছু বলার আছে আমাকে বলুন, সকলের মতামত নিয়েই আমি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চাই।’ সিলেট চেম্বারের সদ্য বিদায়ী সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন আসাদ উদ্দিন আহমদ। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। তিনি বলেন- ‘গত কয়েক বছরে সিলেট চেম্বার ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন সেক্টরে সিলেটের উন্নয়নে কাজ করেছে এবং দেশব্যাপী সুনাম কুড়িয়েছে। আগামীতেও যারা নেতৃত্বে আসবেন তারাও এই ধারা অব্যাহত রাখবেন।’ চেম্বারের বিগত কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদ আহমদ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক মো. সাহিদুর রহমান, ওয়াহিদুজ্জামান ভুট্টো, মুশফিক জায়গীরদার, এহতেশামুল হক চৌধুরী, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, আব্দুর রহমান জামিল, মো. আতিক হোসেন ও মুজিবুর রহমান মিন্টু।
No comments