প্রথম বিদেশ সফরে মালদ্বীপে মোদি
দ্বিতীয়
মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার মালদ্বীপ সফরে গেছেন। গত
নভেম্বরে তিনি সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহ’র শপথ অনুষ্ঠানে যোগ
দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা পূর্ণাঙ্গ দ্বিপক্ষীয় সফর ছিল না। এর আগে মোদি
প্রথম দফায় শপথ নিয়ে সফর করেছিলেন ভুটান। তার এসব সফরকে তার সরকারের
‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ পলিসি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অতীতে, বেশ কয়েক বছর ধরে মালদ্বীপে খুব বেশি বিনিয়োগ করেছে ভারত। সেখানে সামরিক সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’য়ে সহায়তা দিয়েছে। ১৯৮৮ সালে এই দেশটির রাজধানী মালে’তে একটি সামরিক অভ্যত্থান চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় ভারত। এক্ষেত্রে তারা অপারেশন ক্যাকটাসের সহায়তা নেয়।
এ সহায়তার অংশ হিসেবে ভারতীয় সেনারা উড়ে যান মালদ্বীপে এবং উদ্ধার করেন তখনকার প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুমকে। ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে মাত্র ১২০০ কিলোমিটার দূরের দ্বীপদেশ মালদ্বীপ। এখানে বসবাস করেন প্রায় ২২০০০ ভারতীয়। কৌশলগত দিক দিয়ে এ দেশটি ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে দেশটির সদ্য বিদায় নেয়া প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন চীনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছেন। তিনি ক্ষমতায় আসেন ২০১৩ সালে। তারপর থেকে অবকাঠামো খাতে চীনের কাছ থেকে ঋণ করেছেন কোটি কোটি ডলার। এর ফলে দেশকে তিনি ঋণের ফাঁদে ফেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। চীনের দিকে মালদ্বীপের ঝুঁকে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ভারত।
মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহ’র মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি গত বছর নির্বাচনের সময় চীনবিরোধী অবস্থান নেয়। নির্বাচনে তারা বিজয়ী হয়েছে। এতে ভারত কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। তারপর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। শপথ নেয়ার পর ইব্রাহিম সোলিহ তার প্রথম বিদেশ সফরে আসেন ভারতে। গত ডিসেম্বরে ভারত মালদ্বীপকে ১৪০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেয়। অন্যদিকে চীনের কাছে মালদ্বীপের রয়েছে ৩০০ কোটি ডলারের ঋণ।
এ অবস্থায় মোদির সফরের সময় শনিবার দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, সংযুক্তি বিষয়ক প্রকল্প সহ বিভিন্ন ইস্যুতে চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। এ ছাড়া ভারত আরো আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিতে পারে। ওদিকে মালদ্বীপ ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তাদের জাতীয় ক্রিকেট টিমের বিষয়ে সহায়তা করতে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ভারত কাজ শুরু করে দিয়েছে। আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে মালদ্বীপে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে বলেছেন, মালদ্বীপের দ্বীপগুলোর সঙ্গে আন্তঃসংযোগ স্থাপনের কথা ভাবছে ভারত। আমরা এরই মধ্যে এমন একটি প্রকল্পের বিষয়ে দেখাশোনা করছি। এই সফরের সময়ে মালদ্বীপের পার্লামেন্ট মজলিসে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে মোদির। এর মধ্য দিয়ে ভারত ও মালদ্বীপের সম্পর্কে ভারতের গুরুত্বকে বোঝানো হবে। পার্লামেন্টে বক্তব্য দেয়ার আগে স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে মোদির।
রোববার শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে মোদির। ইস্টার সানডে’ বোমা হামলার পর এটাই হবে শ্রীলঙ্কায় কোনো বিদেশি নেতার সফর।
অতীতে, বেশ কয়েক বছর ধরে মালদ্বীপে খুব বেশি বিনিয়োগ করেছে ভারত। সেখানে সামরিক সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’য়ে সহায়তা দিয়েছে। ১৯৮৮ সালে এই দেশটির রাজধানী মালে’তে একটি সামরিক অভ্যত্থান চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় ভারত। এক্ষেত্রে তারা অপারেশন ক্যাকটাসের সহায়তা নেয়।
এ সহায়তার অংশ হিসেবে ভারতীয় সেনারা উড়ে যান মালদ্বীপে এবং উদ্ধার করেন তখনকার প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুমকে। ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে মাত্র ১২০০ কিলোমিটার দূরের দ্বীপদেশ মালদ্বীপ। এখানে বসবাস করেন প্রায় ২২০০০ ভারতীয়। কৌশলগত দিক দিয়ে এ দেশটি ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে দেশটির সদ্য বিদায় নেয়া প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন চীনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছেন। তিনি ক্ষমতায় আসেন ২০১৩ সালে। তারপর থেকে অবকাঠামো খাতে চীনের কাছ থেকে ঋণ করেছেন কোটি কোটি ডলার। এর ফলে দেশকে তিনি ঋণের ফাঁদে ফেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। চীনের দিকে মালদ্বীপের ঝুঁকে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ভারত।
মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহ’র মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি গত বছর নির্বাচনের সময় চীনবিরোধী অবস্থান নেয়। নির্বাচনে তারা বিজয়ী হয়েছে। এতে ভারত কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। তারপর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। শপথ নেয়ার পর ইব্রাহিম সোলিহ তার প্রথম বিদেশ সফরে আসেন ভারতে। গত ডিসেম্বরে ভারত মালদ্বীপকে ১৪০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেয়। অন্যদিকে চীনের কাছে মালদ্বীপের রয়েছে ৩০০ কোটি ডলারের ঋণ।
এ অবস্থায় মোদির সফরের সময় শনিবার দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, সংযুক্তি বিষয়ক প্রকল্প সহ বিভিন্ন ইস্যুতে চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। এ ছাড়া ভারত আরো আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিতে পারে। ওদিকে মালদ্বীপ ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তাদের জাতীয় ক্রিকেট টিমের বিষয়ে সহায়তা করতে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ভারত কাজ শুরু করে দিয়েছে। আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে মালদ্বীপে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে বলেছেন, মালদ্বীপের দ্বীপগুলোর সঙ্গে আন্তঃসংযোগ স্থাপনের কথা ভাবছে ভারত। আমরা এরই মধ্যে এমন একটি প্রকল্পের বিষয়ে দেখাশোনা করছি। এই সফরের সময়ে মালদ্বীপের পার্লামেন্ট মজলিসে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে মোদির। এর মধ্য দিয়ে ভারত ও মালদ্বীপের সম্পর্কে ভারতের গুরুত্বকে বোঝানো হবে। পার্লামেন্টে বক্তব্য দেয়ার আগে স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে মোদির।
রোববার শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে মোদির। ইস্টার সানডে’ বোমা হামলার পর এটাই হবে শ্রীলঙ্কায় কোনো বিদেশি নেতার সফর।
No comments