বাবা-চাচাদের ফাঁসির দাবিতে রাজপথে দুই শিশু by এ বি এম ফজলুর রহমান
বাবা ও চাচাদের ফাঁসির দাবিতে রোববার পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে মাহমুদা আক্তার মীমের দুই সন্তান আল মাহিম ও মুন্তাহাসহ এলাকাবাসী। ছবি : এনটিভি |
মা
মাহমুদা আক্তার মীমকে হত্যার অভিযোগে বাবা পিন্টু মিয়ার ফাঁসির দাবিতে
রাজপথে নেমেছে দুই সন্তান। রোববার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে ব্যানার
ও প্ল্যাকার্ড হাতে মীমের দুই সন্তান আল মাহিম (৮) ও মুন্তাহা (৩) অন্যদের
সঙ্গে তার মায়ের হত্যাকারী পিন্টু মিয়ার বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত
মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মাহিম ও মুন্তাহার অংশগ্রহণের বিষয়টি শহরের সবার দৃষ্টি কাড়ে। একপর্যায়ে তারা স্মারকলিপি পেশ করার জন্য পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছেও যায়। ওই মানববন্ধনে এলাকাবাসী, মানবাধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা ঘটনার ১৮ দিন পরেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খন্দকার মোহাম্মদ আতিয়ার হোসেন, পাবনা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি কামাল আহমেদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার জলি, সেলিম নাজির স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার রোজি, লতিফ গ্রুপের পরিচালক মাহবুব আলী খান বাবলু, আলহাজ আবদুল বাতেন খান, নিহত মীমের ছেলে মাহিম প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের দড়িসারদিয়ার গ্রামের আব্দুল মমিনের মেয়ে মাহমুদা আক্তার মীমের প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার রাজাইমন্ডল গ্রামের সগির প্রামানিকের ছেলে গ্রাম্য চিকিৎসক পিন্টু মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর আব্দুল্লাহ আল মাহিম (৮) ও মুন্তাহা (৩) নামে তাদের দুটি সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের সময় দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হলেও স্বামী পিন্টু মিয়া প্রায়ই যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। এরই একপর্যায়ে গত ২১ মে রাত ২টার দিকে পিন্টু মিয়া ও তাঁর চার ভাই এবং এক ভাগ্নে মিলে মীমকে বেদম মারপিট করে রক্তাক্ত করে। একপর্যায়ে তারা গামছা দিয়ে গলায় ফাঁসি দিয়ে মীমকে হত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে মীমের বাড়ির লোকজন অচেতন অবস্থায় প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে রাজশাহীর পপুলার হাসপাতালের আইসিইউতে এবং সর্বশেষ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করে।
দীর্ঘ ১৭ দিন অসহ্য যন্ত্রণার ভোগের পর শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান গৃহবধূ মাহমুদা আক্তার মীম।
এ ঘটনায় মীমের ভাই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে পিন্টু মিয়াকে প্রধান এবং তাঁর চার ভাই রেজাউল করিম, দোলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান ও মিলন হোসেন এবং ভাগ্নে শাকিল হোসেনকে আসামি করে আতাইকুলা থানায় মামলা করে। কিন্তু পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছে। আসামিরা কোনোমতেই পালিয়ে বাঁচতে পারবে না।
মাহিম ও মুন্তাহার অংশগ্রহণের বিষয়টি শহরের সবার দৃষ্টি কাড়ে। একপর্যায়ে তারা স্মারকলিপি পেশ করার জন্য পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছেও যায়। ওই মানববন্ধনে এলাকাবাসী, মানবাধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা ঘটনার ১৮ দিন পরেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খন্দকার মোহাম্মদ আতিয়ার হোসেন, পাবনা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি কামাল আহমেদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার জলি, সেলিম নাজির স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার রোজি, লতিফ গ্রুপের পরিচালক মাহবুব আলী খান বাবলু, আলহাজ আবদুল বাতেন খান, নিহত মীমের ছেলে মাহিম প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের দড়িসারদিয়ার গ্রামের আব্দুল মমিনের মেয়ে মাহমুদা আক্তার মীমের প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার রাজাইমন্ডল গ্রামের সগির প্রামানিকের ছেলে গ্রাম্য চিকিৎসক পিন্টু মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর আব্দুল্লাহ আল মাহিম (৮) ও মুন্তাহা (৩) নামে তাদের দুটি সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের সময় দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হলেও স্বামী পিন্টু মিয়া প্রায়ই যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। এরই একপর্যায়ে গত ২১ মে রাত ২টার দিকে পিন্টু মিয়া ও তাঁর চার ভাই এবং এক ভাগ্নে মিলে মীমকে বেদম মারপিট করে রক্তাক্ত করে। একপর্যায়ে তারা গামছা দিয়ে গলায় ফাঁসি দিয়ে মীমকে হত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে মীমের বাড়ির লোকজন অচেতন অবস্থায় প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে রাজশাহীর পপুলার হাসপাতালের আইসিইউতে এবং সর্বশেষ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করে।
দীর্ঘ ১৭ দিন অসহ্য যন্ত্রণার ভোগের পর শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান গৃহবধূ মাহমুদা আক্তার মীম।
এ ঘটনায় মীমের ভাই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে পিন্টু মিয়াকে প্রধান এবং তাঁর চার ভাই রেজাউল করিম, দোলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান ও মিলন হোসেন এবং ভাগ্নে শাকিল হোসেনকে আসামি করে আতাইকুলা থানায় মামলা করে। কিন্তু পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছে। আসামিরা কোনোমতেই পালিয়ে বাঁচতে পারবে না।
পাবনা সদর উপজেলার রাজাইমন্ডল গ্রামের পিন্টু মিয়া ও তাঁর স্ত্রী আতাইকুলা ইউনিয়নের দড়িসারদিয়ার গ্রামের মাহমুদা আক্তার মীম। ছবি : সংগৃহীত |
No comments