যখনই বিমানে উঠি একটা ঘটনা ঘটে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা একটা লক্ষণীয় বিষয়, যখনই বিমানে উঠি একটা ঘটনা ঘটে
বা একটা নিউজ হয়। তিনি বলেন, কেন হয়, তা তিনি জানেন না।
ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে রবিবার (৯ জুন) বিকাল ৫টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন ক্যাপ্টেন পাসপোর্ট ছাড়া কাতারে গিয়ে আটকা পড়েন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হয়তো পাসপোর্ট ভুলে যেতে পারে, এটা কোনও ব্যাপার না। তবে এখানে ইমিগ্রেশনের নজর থাকতে হবে। আমি বলেছি ব্যবস্থা নিতে। ইমিগ্রেশনে কারা ছিল, কেন দেখেনি?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই সঙ্গে আমি আরেকটা কথা বলবো, আমি কিন্তু এখন ইমিগ্রেশনে কড়াকড়ি করতে বলেছি। আমাদের সবাই তো ভিআইপি! তারপর ভিভিআইপি, তারপর আরও ‘ভি’ লাগবে। যত ‘ভি’-ই থাকুক, কাউকে ছাড়া হবে না। প্রত্যেকের পাসপোর্টে সিল মারা আছে কিনা, চেকটা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, সব ব্যবস্থা করতে হবে। আত্মীয়-স্বজনকে সি-অফ করতে গেলেও বিমানবন্দরে টিকিট করে যেতে হবে। সেখানেও একটু কড়াকড়ি করতে হবে।’
তিনি বলেন, দিনরাত এত পরিশ্রম করে, প্লেন কিনে বিমানকে একটা অবস্থানে আনা হয়েছে। সত্যি কথা বলতে, আমি চেষ্টা করছি আরও কয়েকটা নতুন রুটে যাবো। মোটামুটি একটা ব্যবস্থাপনা করে ফেলেছি। তখনই এক একটা ঘটনা ঘটে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভালো করেই জানেন, আগের ক্ষমতাসীনরা এটাকে কীভাবে ব্যবহার করেছে। ছিলই তো না কিছু, ডিসি-১০ একটা কোনও রকম, জঘন্য অবস্থায় ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটু ভালোভাবে চেক করছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেকের পছন্দ হবে না, আমি জানি। আগে যেগুলো সহজে করতে পারতো। বিমানকে ঠাট্টা করে বলতো ‘স্বর্ণপ্রসবকারী বিমান’। খালি গোল্ড পাই, আমাদের রিজার্ভ বাড়ে, খুব ভালো কথা। সেগুলো বন্ধ করার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এই সিকিউরিটির ওপরে একবার ব্রিটিশরা, একবার অস্ট্রেলিয়া ব্যান দিলো। সেটাও আমরা মিট আপ করেছি।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিমানটা নিয়ে যারা খেলতো তাদের সমস্যা হচ্ছে। আপনারা জানেন এখানে কারা কীভাবে চাকরি পেয়েছে। আমি বলেছি সব খুঁজে ব্যবস্থা নিতে হবে। এত বিমান আমরা কিনে দিলাম, এত সুন্দরভাবে চলছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালিরা যে যেখানে আছে, নিজের দেশের ক্যারিয়ারে চড়ার জন্য পাগল। টিকিট নিয়ে ঝামেলা ছিল, বলে যে টিকিট নাই, অথচ সিট খালি। আমার মতো আমি ধরলাম, এখন আর সিট খালি থাকে না। যারা সিটের ব্যবসা করতো, তাদেরও একটা ক্ষোভ আছে। সেটা আপনাদের বোঝা উচিত। এজন্য যখনই আমি যাই, তখনই একটা ঘটনা ঘটে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার কাছে শত শত মেইল যাচ্ছে, আপনি বিমানে আসবেন না। বিমানে আসবো না মানে! যা হওয়ার হোক, মরলে নিজের প্লেনেই মরবো! নিজের প্লেনে মরলে তো নিজের মাটিতে মরলাম! আমি আমার বিমানেই যাবো। আমি অন্য কোনও এয়ারলাইনে যাবো না। আমি চলে আসলাম। প্রথম বলেছিলাম, দেখো, অন্য কোনও এয়ারলাইন যদি না আসতে পারে, পাইলট পৌঁছাতে না পারে, তখন অন্য পথ তো খুঁজতেই হবে। পাইলট যখন পৌঁছে গেলো, আমার আর সমস্যা হয় নাই, আমি চলে আসলাম।’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড সফর করেন। ১১ দিনের সফর শেষে শনিবার (৮ জুন) সকালে দেশে ফেরেন তিনি।
ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে রবিবার (৯ জুন) বিকাল ৫টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন ক্যাপ্টেন পাসপোর্ট ছাড়া কাতারে গিয়ে আটকা পড়েন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হয়তো পাসপোর্ট ভুলে যেতে পারে, এটা কোনও ব্যাপার না। তবে এখানে ইমিগ্রেশনের নজর থাকতে হবে। আমি বলেছি ব্যবস্থা নিতে। ইমিগ্রেশনে কারা ছিল, কেন দেখেনি?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই সঙ্গে আমি আরেকটা কথা বলবো, আমি কিন্তু এখন ইমিগ্রেশনে কড়াকড়ি করতে বলেছি। আমাদের সবাই তো ভিআইপি! তারপর ভিভিআইপি, তারপর আরও ‘ভি’ লাগবে। যত ‘ভি’-ই থাকুক, কাউকে ছাড়া হবে না। প্রত্যেকের পাসপোর্টে সিল মারা আছে কিনা, চেকটা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, সব ব্যবস্থা করতে হবে। আত্মীয়-স্বজনকে সি-অফ করতে গেলেও বিমানবন্দরে টিকিট করে যেতে হবে। সেখানেও একটু কড়াকড়ি করতে হবে।’
তিনি বলেন, দিনরাত এত পরিশ্রম করে, প্লেন কিনে বিমানকে একটা অবস্থানে আনা হয়েছে। সত্যি কথা বলতে, আমি চেষ্টা করছি আরও কয়েকটা নতুন রুটে যাবো। মোটামুটি একটা ব্যবস্থাপনা করে ফেলেছি। তখনই এক একটা ঘটনা ঘটে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভালো করেই জানেন, আগের ক্ষমতাসীনরা এটাকে কীভাবে ব্যবহার করেছে। ছিলই তো না কিছু, ডিসি-১০ একটা কোনও রকম, জঘন্য অবস্থায় ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটু ভালোভাবে চেক করছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেকের পছন্দ হবে না, আমি জানি। আগে যেগুলো সহজে করতে পারতো। বিমানকে ঠাট্টা করে বলতো ‘স্বর্ণপ্রসবকারী বিমান’। খালি গোল্ড পাই, আমাদের রিজার্ভ বাড়ে, খুব ভালো কথা। সেগুলো বন্ধ করার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এই সিকিউরিটির ওপরে একবার ব্রিটিশরা, একবার অস্ট্রেলিয়া ব্যান দিলো। সেটাও আমরা মিট আপ করেছি।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিমানটা নিয়ে যারা খেলতো তাদের সমস্যা হচ্ছে। আপনারা জানেন এখানে কারা কীভাবে চাকরি পেয়েছে। আমি বলেছি সব খুঁজে ব্যবস্থা নিতে হবে। এত বিমান আমরা কিনে দিলাম, এত সুন্দরভাবে চলছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালিরা যে যেখানে আছে, নিজের দেশের ক্যারিয়ারে চড়ার জন্য পাগল। টিকিট নিয়ে ঝামেলা ছিল, বলে যে টিকিট নাই, অথচ সিট খালি। আমার মতো আমি ধরলাম, এখন আর সিট খালি থাকে না। যারা সিটের ব্যবসা করতো, তাদেরও একটা ক্ষোভ আছে। সেটা আপনাদের বোঝা উচিত। এজন্য যখনই আমি যাই, তখনই একটা ঘটনা ঘটে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার কাছে শত শত মেইল যাচ্ছে, আপনি বিমানে আসবেন না। বিমানে আসবো না মানে! যা হওয়ার হোক, মরলে নিজের প্লেনেই মরবো! নিজের প্লেনে মরলে তো নিজের মাটিতে মরলাম! আমি আমার বিমানেই যাবো। আমি অন্য কোনও এয়ারলাইনে যাবো না। আমি চলে আসলাম। প্রথম বলেছিলাম, দেখো, অন্য কোনও এয়ারলাইন যদি না আসতে পারে, পাইলট পৌঁছাতে না পারে, তখন অন্য পথ তো খুঁজতেই হবে। পাইলট যখন পৌঁছে গেলো, আমার আর সমস্যা হয় নাই, আমি চলে আসলাম।’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড সফর করেন। ১১ দিনের সফর শেষে শনিবার (৮ জুন) সকালে দেশে ফেরেন তিনি।
No comments