ঈদে পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য
রমজান
ও ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঈদকেন্দ্রিক বাণিজ্য বেড়েছে। ঈদবাজার ঘিরে এবার
৪৫ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর মধ্যে পোশাকের বাণিজ্য হয়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকার। আর
ভোগ্যপণ্যের বাণিজ্য হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর আগের বছরের তুলনায় ঈদ কেনাকাটা বাড়ে ১০-১৫ শতাংশ। সেই হিসেবে প্রধান প্রধান পণ্যের কেনাকাটায় এবার প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। তাদের মতে, এই লেনদেন আরো বাড়তো যদি কৃষক ধানের দাম পেত। ফলে ঢাকার বাইরে পাইকারি পণ্য কম সরবরাহ হয়েছে।
ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে পরিচালিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
রমজানের মাসব্যাপী পোশাক বিক্রি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ঈদ ঘিরে কী পরিমাণ বিক্রি হয়েছে, তার সঠিক তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে গত বছর ২৫ হাজার কোটি টাকার মতো বিক্রি হয়েছিল। এবার আমরা আশা করছি ঈদকে ঘিরে পোশাক বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। সারা বছর বিক্রি হয় ২০ শতাংশের মতো, বাকি ৮০ শতাংশ বিক্রি বিভিন্ন উৎসব কেন্দ্র করে। আর উৎসব ঘিরে যে বিক্রি, তার বড় অংশই হয় রমজানের ঈদে। ঈদ অর্থনীতির একটি বড় চালিকাশক্তি হচ্ছে পোশাকের বাজার। এ সময় দোকানগুলোয় পোশাকের বেচাকেনা তিন থেকে চারগুণ বেড়ে যায়।
ঈদে আর্থিক ব্যয়ের কোন সঠিক চিত্র পাওয়া না গেলেও ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর অনুমানের ভিত্তিতে করা এক তথ্যে জানা গেছে, এবার ঈদ-বাণিজ্যে ৬০ শতাংশ পোশাক, ২০ শতাংশ খাদ্যদ্রব্য এবং বাকি ২০ শতাংশ অন্য পণ্য বিক্রি হয়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
এফবিসিসিআইয়ের এক সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে অর্থনীতিতে যুক্ত হয় অতিরিক্ত প্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু পোশাক কেনাকাটায় যাচ্ছে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা। ভোগ্যপণ্যের বাজারে বাড়তি যুক্ত হচ্ছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির হিসাবে, দেশে ২০ লাখ দোকান, শপিংমল, বিপণিবিতান রয়েছে। গড়ে একটি দোকানে ৩ জন করে হলেও ৬০ লাখ কর্মচারী ও কর্মকর্তা কাজ করছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির তথ্য মতে, নিম্নে একজন কর্মীকে ৫ হাজার টাকা ও উর্ধে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বোনাস দেয়া হয়। গড়ে বোনাস ৮ হাজার টাকা হিসাবে এ ক্ষেত্রে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বোনাস পাচ্ছেন এ খাতের শ্রমিকরা। যা পুরোটাই ঈদ উৎসব অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ পোশাকের বাজার: ঈদুল ফিতরে অর্থনীতির একটি বড় চালিকাশক্তি হচ্ছে পোশাকের বাজার। এ সময় দোকানগুলোয় পোশাকের বেচাকেনা তিন থেকে চারগুণ বেড়ে যায়। অভ্যন্তরীণ পোশাকের সবচেয়ে বড় জোগান আসছে পুরান ঢাকার পোশাক মার্কেট থেকে। ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটসহ দেশের বিভাগীয়, জেলাসহ মফস্বল মার্কেটগুলোয় দেশি পোশাক সরবরাহ হচ্ছে এখান থেকে। এখানে রয়েছে সাড়ে ৪০০ পোশাকের দোকান। রোজা ও ঈদ উপলক্ষে এসব দোকানে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছে। দেশের বুটিক ও ফ্যাশন হাউসগুলো বেশ ব্যস্ত। ঈদের বাজার ধরতে অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অতিরিক্ত পণ্য তৈরি করেছে।
গ্রামীণ কুটিরশিল্প: রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে গ্রামীণ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোয় বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ির চাহিদা রয়েছে দেশব্যাপী। সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের লুঙ্গি ও তাঁতের কাপড় সারা দেশে ব্যাপকভাবে চলছে। মুন্সীগঞ্জের রুহিতপুরী তাঁতের কাপড়ের চাহিদাও তুঙ্গে। গাজীপুরের কালীগঞ্জের টাওয়ালের চাহিদাও ব্যাপক। নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জে তাঁতের পাইকারি বাজারেও একই অবস্থা। রূপগঞ্জের রূপসীর জামদানি শাড়ি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও যাচ্ছে। তাঁতের এসব তৈরি কাপড়ের চাহিদা বাড়ায় ঢাকাকেন্দ্রিক ফ্যাশন হাউস ও বস্ত্র ব্যবসায়ীরা এখন তাঁতীদের কাছ থেকে কাপড় সংগ্রহ করেন। এসব মিলে গ্রামীণ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পগুলোতেও হাজার হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছে।
ভোগ্যপণ্যের বাজার: ঈদে সব ধরনের নিত্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ভোজ্য তেল, মাংস, চিনি, ডাল, সেমাই এবং পিয়াজ। ফলে এসব পণ্যের আমদানিও বাড়ে। রোজা ও ঈদে ভোজ্য তেলের চাহিদা হচ্ছে প্রায় আড়াই লাখ টন, চিনি সোয়া ২ লাখ টন থেকে পৌনে তিন লাখ টন, ডাল ৬০ হাজার টন, ছোলা ৫০ হাজার টন, খেজুর ১৩ হাজার টন, পিয়াজ ৩ লাখ ২৫ হাজার থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টন, রসুনের চাহিদা প্রায় ৮০ হাজার টন। এসব পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের নিজস্ব টাকার পাশাপাশি ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের টাকার জোগান দেয়া হয়। এসব পণ্য কেনাকাটায় ভোক্তারা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এদিকে রোজা ও ঈদ অর্থনীতি নিয়ে ২০১৫ সালের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের এক সমীক্ষায় বলা হয়, ঈদকেন্দ্রিক ধনীদের জাকাত ও ফিতরা বাবদ আসে ৬০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, পরিবহন খাতে অতিরিক্ত খরচ হয় ৬০০ কোটি টাকা। ভ্রমণ ও বিনোদন বাবদ ব্যয় হয় ৪ হাজার কোটি টাকা। এসব খাতে নিয়মিত প্রবাহের বাইরে অতিরিক্ত যোগ হচ্ছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এর বাইরে আরও কয়েকটি খাতের কর্মকা- অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সাড়ে ২০ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্ভাব্য বোনাস বাবদ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা, দেশব্যাপী ৬০ লাখ দোকান কর্মচারীর বোনাস ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, পোশাক ও বস্ত্র খাতের ৭০ লাখ শ্রমিকের সম্ভাব্য বোনাস ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা ঈদ অর্থনীতিতে বাড়তি আসছে। এ ছাড়া রয়েছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। এসব মিলে ঈদ কেন্দ্রিক অর্থনীতির আকার প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ কোটি টাকা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ঈদে টাকার প্রবাহ বাড়ে। এর কারণ হলো, ঈদে মানুষ বিভিন্নভাবে টাকা খরচ করে থাকেন। নতুন পোশাক ছাড়াও অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের জন্য খরচ বাড়ায়। ঈদকে কেন্দ্র করে গ্রামের বাড়ি যাওয়া-আসায় খরচ বাড়ে। ঈদে আনন্দ এবং ভ্রমণেও অতিরিক্ত টাকা খরচ করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর আগের বছরের তুলনায় ঈদ কেনাকাটা বাড়ে ১০-১৫ শতাংশ। সেই হিসেবে প্রধান প্রধান পণ্যের কেনাকাটায় এবার প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। তাদের মতে, এই লেনদেন আরো বাড়তো যদি কৃষক ধানের দাম পেত। ফলে ঢাকার বাইরে পাইকারি পণ্য কম সরবরাহ হয়েছে।
ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে পরিচালিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
রমজানের মাসব্যাপী পোশাক বিক্রি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ঈদ ঘিরে কী পরিমাণ বিক্রি হয়েছে, তার সঠিক তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে গত বছর ২৫ হাজার কোটি টাকার মতো বিক্রি হয়েছিল। এবার আমরা আশা করছি ঈদকে ঘিরে পোশাক বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। সারা বছর বিক্রি হয় ২০ শতাংশের মতো, বাকি ৮০ শতাংশ বিক্রি বিভিন্ন উৎসব কেন্দ্র করে। আর উৎসব ঘিরে যে বিক্রি, তার বড় অংশই হয় রমজানের ঈদে। ঈদ অর্থনীতির একটি বড় চালিকাশক্তি হচ্ছে পোশাকের বাজার। এ সময় দোকানগুলোয় পোশাকের বেচাকেনা তিন থেকে চারগুণ বেড়ে যায়।
ঈদে আর্থিক ব্যয়ের কোন সঠিক চিত্র পাওয়া না গেলেও ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর অনুমানের ভিত্তিতে করা এক তথ্যে জানা গেছে, এবার ঈদ-বাণিজ্যে ৬০ শতাংশ পোশাক, ২০ শতাংশ খাদ্যদ্রব্য এবং বাকি ২০ শতাংশ অন্য পণ্য বিক্রি হয়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
এফবিসিসিআইয়ের এক সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে অর্থনীতিতে যুক্ত হয় অতিরিক্ত প্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু পোশাক কেনাকাটায় যাচ্ছে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা। ভোগ্যপণ্যের বাজারে বাড়তি যুক্ত হচ্ছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির হিসাবে, দেশে ২০ লাখ দোকান, শপিংমল, বিপণিবিতান রয়েছে। গড়ে একটি দোকানে ৩ জন করে হলেও ৬০ লাখ কর্মচারী ও কর্মকর্তা কাজ করছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির তথ্য মতে, নিম্নে একজন কর্মীকে ৫ হাজার টাকা ও উর্ধে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বোনাস দেয়া হয়। গড়ে বোনাস ৮ হাজার টাকা হিসাবে এ ক্ষেত্রে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বোনাস পাচ্ছেন এ খাতের শ্রমিকরা। যা পুরোটাই ঈদ উৎসব অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ পোশাকের বাজার: ঈদুল ফিতরে অর্থনীতির একটি বড় চালিকাশক্তি হচ্ছে পোশাকের বাজার। এ সময় দোকানগুলোয় পোশাকের বেচাকেনা তিন থেকে চারগুণ বেড়ে যায়। অভ্যন্তরীণ পোশাকের সবচেয়ে বড় জোগান আসছে পুরান ঢাকার পোশাক মার্কেট থেকে। ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটসহ দেশের বিভাগীয়, জেলাসহ মফস্বল মার্কেটগুলোয় দেশি পোশাক সরবরাহ হচ্ছে এখান থেকে। এখানে রয়েছে সাড়ে ৪০০ পোশাকের দোকান। রোজা ও ঈদ উপলক্ষে এসব দোকানে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছে। দেশের বুটিক ও ফ্যাশন হাউসগুলো বেশ ব্যস্ত। ঈদের বাজার ধরতে অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অতিরিক্ত পণ্য তৈরি করেছে।
গ্রামীণ কুটিরশিল্প: রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে গ্রামীণ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোয় বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ির চাহিদা রয়েছে দেশব্যাপী। সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের লুঙ্গি ও তাঁতের কাপড় সারা দেশে ব্যাপকভাবে চলছে। মুন্সীগঞ্জের রুহিতপুরী তাঁতের কাপড়ের চাহিদাও তুঙ্গে। গাজীপুরের কালীগঞ্জের টাওয়ালের চাহিদাও ব্যাপক। নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জে তাঁতের পাইকারি বাজারেও একই অবস্থা। রূপগঞ্জের রূপসীর জামদানি শাড়ি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও যাচ্ছে। তাঁতের এসব তৈরি কাপড়ের চাহিদা বাড়ায় ঢাকাকেন্দ্রিক ফ্যাশন হাউস ও বস্ত্র ব্যবসায়ীরা এখন তাঁতীদের কাছ থেকে কাপড় সংগ্রহ করেন। এসব মিলে গ্রামীণ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পগুলোতেও হাজার হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছে।
ভোগ্যপণ্যের বাজার: ঈদে সব ধরনের নিত্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ভোজ্য তেল, মাংস, চিনি, ডাল, সেমাই এবং পিয়াজ। ফলে এসব পণ্যের আমদানিও বাড়ে। রোজা ও ঈদে ভোজ্য তেলের চাহিদা হচ্ছে প্রায় আড়াই লাখ টন, চিনি সোয়া ২ লাখ টন থেকে পৌনে তিন লাখ টন, ডাল ৬০ হাজার টন, ছোলা ৫০ হাজার টন, খেজুর ১৩ হাজার টন, পিয়াজ ৩ লাখ ২৫ হাজার থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টন, রসুনের চাহিদা প্রায় ৮০ হাজার টন। এসব পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের নিজস্ব টাকার পাশাপাশি ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের টাকার জোগান দেয়া হয়। এসব পণ্য কেনাকাটায় ভোক্তারা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এদিকে রোজা ও ঈদ অর্থনীতি নিয়ে ২০১৫ সালের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের এক সমীক্ষায় বলা হয়, ঈদকেন্দ্রিক ধনীদের জাকাত ও ফিতরা বাবদ আসে ৬০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, পরিবহন খাতে অতিরিক্ত খরচ হয় ৬০০ কোটি টাকা। ভ্রমণ ও বিনোদন বাবদ ব্যয় হয় ৪ হাজার কোটি টাকা। এসব খাতে নিয়মিত প্রবাহের বাইরে অতিরিক্ত যোগ হচ্ছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এর বাইরে আরও কয়েকটি খাতের কর্মকা- অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সাড়ে ২০ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্ভাব্য বোনাস বাবদ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা, দেশব্যাপী ৬০ লাখ দোকান কর্মচারীর বোনাস ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, পোশাক ও বস্ত্র খাতের ৭০ লাখ শ্রমিকের সম্ভাব্য বোনাস ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা ঈদ অর্থনীতিতে বাড়তি আসছে। এ ছাড়া রয়েছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। এসব মিলে ঈদ কেন্দ্রিক অর্থনীতির আকার প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ কোটি টাকা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ঈদে টাকার প্রবাহ বাড়ে। এর কারণ হলো, ঈদে মানুষ বিভিন্নভাবে টাকা খরচ করে থাকেন। নতুন পোশাক ছাড়াও অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের জন্য খরচ বাড়ায়। ঈদকে কেন্দ্র করে গ্রামের বাড়ি যাওয়া-আসায় খরচ বাড়ে। ঈদে আনন্দ এবং ভ্রমণেও অতিরিক্ত টাকা খরচ করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
No comments