তৃণমূল-বিজেপির নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় চারজন খুন
ভারতে
লোকসভা ভোট শেষ হলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এখনো থামেনি ভোট-পরবর্তী সহিংসতা।
সবশেষ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের
সন্দেশখালি ব্লকের হাটগাছা পঞ্চায়েতের ভাঙ্গিপাড়ায় তৃণমূল ও বিজেপি
সংঘর্ষের সময় চারজন নিহত হয়েছেন।
ঘটনার জন্য দুই দলের পক্ষ থেকেই একে অপরকে দায়ী করা হয়েছে। দলের একাধিক কর্মী নিখোঁজ আছে বলেও দল দুটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ওই এলাকায়। রাতভর পুলিশ ও র্যাফের টহলদারি চলেছে গোটা এলাকাজুড়ে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বসিরহাটের ন্যাজাট থানার হাটগাছা পঞ্চায়েতের ভাঙ্গিপাড়ায় সভা ও পরবর্তীতে মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে সভা শেষে মিছিল শুরু হতেই বেপরোয়া গুলি চালানো শুরু হয়।
এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই কাইয়ুম মোল্লা (২৪) নামের এক যুবক নিহত হন। তৃণমূল এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছে। দলটি দাবি করেছে, কাইয়ুম তাদের দলের কর্মী। তাঁকে গুলি করে ও ভূজালি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতকারীরাই এলাকায় তাণ্ডব চালায়। এলাকায় তাদের কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি বিজেপির কর্মীদের ওপর গুলি ও বোমা হামলা হয়েছে বলেও দাবি করেছে দলটি। বিজেপির দাবি, এই ঘটনায় তাদের তিনজন কর্মী মারা গেছেন।
বসিরহাট কেন্দ্রে এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী সায়ন্তন বসু বলেন, ‘আমাদের বিজেপির কর্মী তপন মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল ও প্রদীপ মণ্ডল নিহত হয়েছেন। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।’
বিজেপির দাবি, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এদিন বিকেলে বিজেপির পতাকা খুলে নিচ্ছিল। তাতে বাধা দিতে গেলেই দুষ্কৃতকারীরা গুলি চালায়।
অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন, ‘আমাদের মিছিলে হামলা চালায় বিজেপির সাত-আটজন দুষ্কৃতকারী। দলীয় কর্মী কাইয়ুম মোল্লার মাথায় গুলি করে ও কোপায়। তৃণমূলের মোট ১৮ জন নেতাকর্মী এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। দুষ্কৃতকারীদের সবার মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বাঁধা ছিল।’
তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে বিজেপির বসিরহাটের সভাপতি গণেশ ঘোষ বলেন, ‘দলের তিনজনের মৃতদেহ স্থানীয় একটি পুকুরের কাঁদা থেকে তোলা হয়েছে। এখনো দুজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। আহত হয়েছেন বিজেপির প্রায় ১৫ জন।’
গোটা ঘটনায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন রাজ্য বিজেপির নেতা মুকুল রায়। বিজেপির দাবি, পশ্চিমবঙ্গে হিংসা ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘটনার জন্য দুই দলের পক্ষ থেকেই একে অপরকে দায়ী করা হয়েছে। দলের একাধিক কর্মী নিখোঁজ আছে বলেও দল দুটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ওই এলাকায়। রাতভর পুলিশ ও র্যাফের টহলদারি চলেছে গোটা এলাকাজুড়ে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বসিরহাটের ন্যাজাট থানার হাটগাছা পঞ্চায়েতের ভাঙ্গিপাড়ায় সভা ও পরবর্তীতে মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে সভা শেষে মিছিল শুরু হতেই বেপরোয়া গুলি চালানো শুরু হয়।
এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই কাইয়ুম মোল্লা (২৪) নামের এক যুবক নিহত হন। তৃণমূল এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছে। দলটি দাবি করেছে, কাইয়ুম তাদের দলের কর্মী। তাঁকে গুলি করে ও ভূজালি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতকারীরাই এলাকায় তাণ্ডব চালায়। এলাকায় তাদের কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি বিজেপির কর্মীদের ওপর গুলি ও বোমা হামলা হয়েছে বলেও দাবি করেছে দলটি। বিজেপির দাবি, এই ঘটনায় তাদের তিনজন কর্মী মারা গেছেন।
বসিরহাট কেন্দ্রে এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী সায়ন্তন বসু বলেন, ‘আমাদের বিজেপির কর্মী তপন মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল ও প্রদীপ মণ্ডল নিহত হয়েছেন। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।’
বিজেপির দাবি, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এদিন বিকেলে বিজেপির পতাকা খুলে নিচ্ছিল। তাতে বাধা দিতে গেলেই দুষ্কৃতকারীরা গুলি চালায়।
অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন, ‘আমাদের মিছিলে হামলা চালায় বিজেপির সাত-আটজন দুষ্কৃতকারী। দলীয় কর্মী কাইয়ুম মোল্লার মাথায় গুলি করে ও কোপায়। তৃণমূলের মোট ১৮ জন নেতাকর্মী এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। দুষ্কৃতকারীদের সবার মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বাঁধা ছিল।’
তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে বিজেপির বসিরহাটের সভাপতি গণেশ ঘোষ বলেন, ‘দলের তিনজনের মৃতদেহ স্থানীয় একটি পুকুরের কাঁদা থেকে তোলা হয়েছে। এখনো দুজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। আহত হয়েছেন বিজেপির প্রায় ১৫ জন।’
গোটা ঘটনায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন রাজ্য বিজেপির নেতা মুকুল রায়। বিজেপির দাবি, পশ্চিমবঙ্গে হিংসা ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
No comments