‘চাইলাম পানি, দিলো বিদ্যুৎ’ -প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন |
তিস্তা
নদীর পানিচুক্তি বাস্তবায়নে সরকার চেষ্টা চালাবে, তবে ডেল্টা পরিকল্পনার
আওতায় দেশের নদীগুলো খনন করে বর্ষার পানি ধরে রাখার ব্যাপারে সরকার
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৮ জুন রবিবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে
সম্পর্ক এবং তিস্তা পানিচুক্তির বিষয়ে সরকার কী উদ্যোগ নেবে সাংবাদিকদের
এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ভারত সরকারের
কাছে পানি চেয়ে বিদ্যুৎ পাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ‘চাইলাম পানি, দিলো
বিদ্যুৎ। তো বিদ্যুৎই নিচ্ছি। পানি তো পাওয়াই যায় বৃষ্টি হলে, বিদ্যুৎই
ভালো ।’
জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর তার সরকারি বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পর উপস্থিত সিনিয়র সাংবাদিকরা তার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন। এরমধ্যে ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ আরও কয়েকজনের প্রশ্ন ছিল ভারতে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত মোদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক কেমন হবে এবং নরেন্দ্র মোদির নতুন মেয়াদে তিস্তা পানিচুক্তি কার্যকর করা সম্ভব হবে কিনা সে প্রসঙ্গে।
এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতে দ্বিতীয় মেয়াদে মোদি সরকার নির্বাচিত হওয়ায় তাকে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন। এরইমধ্যে তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরে থাকার সময়েই নরেন্দ্র মোদি তাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনিও মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
তিস্তা পানিচুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নিশ্চয় আরও আলোচনা হবে। তবে মোদি সরকারের প্রথম মেয়াদে আরও অনেক সফলতা এসেছে। আমরা মেরিটাইম বাউন্ডারির মতো কঠিন সমস্যার সমাধান করেছি, আমরা ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুদ্ধই বেঁধে যাচ্ছে এই ছিটমহল নিয়ে আর আমরা একটা উৎসবমুখর পরিবেশে এই সমস্যার সমাধান করেছি।
পানি সমস্যার সমাধান প্রসঙ্গে তার সরকারের করা ডেল্টা পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডেল্টা প্ল্যান করেছি। নদীগুলো ড্রেজিং করে দিচ্ছি। আর কারও কাছে পানির জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। এটা হচ্ছে ডেল্টা (ব-দ্বীপ)। হিমালয় থেকে যে নদীগুলো এসেছে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সেগুলোকে (নদীর পানি) যেতেই হবে। পানি তাদের ( ভারতসহ ওপরে থাকা দেশগুলো) ছাড়তেই হবে। পানি এখন আমরা কতটা ধরে রাখতে পারবো সেই ব্যবস্থা করতে পারলে আমাদের আর কারও কাছে পানি চাইতে হবে না। আমরা নিজেরাই পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে পারবো। আমরা তা-ই করছি। বেশি পানি হলে তাদের ছাড়তেই হবে।’
মোদি সরকারের কাছে বিদ্যুৎ পাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চাইলাম পানি দিলো বিদ্যুৎ। তো বিদ্যুৎই নিচ্ছি। পানি তো পাওয়াই যায় বৃষ্টি হলে, বিদ্যুৎই ভালো। প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা ভারত থেকে আমদানি করছি। আরও কিছু বিদ্যুৎ আমদানির কথা চলছে। যদিও এখন আমাদের বিদ্যুতে এখন যথেষ্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ। বলতে গেলে আরও বেশি আছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে থেকে ৭ জুন জাপান, সৌদি আরব এবং ফিনল্যান্ড সফর করে শনিবার (৮ জুন) সকালে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফরের বিভিন্ন দিক গণমাধ্যমকে অবহিত করতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর তার সরকারি বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পর উপস্থিত সিনিয়র সাংবাদিকরা তার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন। এরমধ্যে ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ আরও কয়েকজনের প্রশ্ন ছিল ভারতে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত মোদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক কেমন হবে এবং নরেন্দ্র মোদির নতুন মেয়াদে তিস্তা পানিচুক্তি কার্যকর করা সম্ভব হবে কিনা সে প্রসঙ্গে।
এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতে দ্বিতীয় মেয়াদে মোদি সরকার নির্বাচিত হওয়ায় তাকে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন। এরইমধ্যে তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরে থাকার সময়েই নরেন্দ্র মোদি তাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনিও মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
তিস্তা পানিচুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নিশ্চয় আরও আলোচনা হবে। তবে মোদি সরকারের প্রথম মেয়াদে আরও অনেক সফলতা এসেছে। আমরা মেরিটাইম বাউন্ডারির মতো কঠিন সমস্যার সমাধান করেছি, আমরা ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুদ্ধই বেঁধে যাচ্ছে এই ছিটমহল নিয়ে আর আমরা একটা উৎসবমুখর পরিবেশে এই সমস্যার সমাধান করেছি।
পানি সমস্যার সমাধান প্রসঙ্গে তার সরকারের করা ডেল্টা পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডেল্টা প্ল্যান করেছি। নদীগুলো ড্রেজিং করে দিচ্ছি। আর কারও কাছে পানির জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। এটা হচ্ছে ডেল্টা (ব-দ্বীপ)। হিমালয় থেকে যে নদীগুলো এসেছে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সেগুলোকে (নদীর পানি) যেতেই হবে। পানি তাদের ( ভারতসহ ওপরে থাকা দেশগুলো) ছাড়তেই হবে। পানি এখন আমরা কতটা ধরে রাখতে পারবো সেই ব্যবস্থা করতে পারলে আমাদের আর কারও কাছে পানি চাইতে হবে না। আমরা নিজেরাই পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে পারবো। আমরা তা-ই করছি। বেশি পানি হলে তাদের ছাড়তেই হবে।’
মোদি সরকারের কাছে বিদ্যুৎ পাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চাইলাম পানি দিলো বিদ্যুৎ। তো বিদ্যুৎই নিচ্ছি। পানি তো পাওয়াই যায় বৃষ্টি হলে, বিদ্যুৎই ভালো। প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা ভারত থেকে আমদানি করছি। আরও কিছু বিদ্যুৎ আমদানির কথা চলছে। যদিও এখন আমাদের বিদ্যুতে এখন যথেষ্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ। বলতে গেলে আরও বেশি আছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে থেকে ৭ জুন জাপান, সৌদি আরব এবং ফিনল্যান্ড সফর করে শনিবার (৮ জুন) সকালে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফরের বিভিন্ন দিক গণমাধ্যমকে অবহিত করতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
No comments