রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে রিপোর্ট ফাঁস: বিস্মিত অ্যামনেস্টি ও পর্যবেক্ষকরা
দুই
বছরে মাত্র ৫ লাখ রোহিঙ্গা ফেরত নেয়া নিয়ে আসিয়ানের ফাঁস হওয়া রিপোর্টের
কড়া নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন অ্যামনেস্টি
ইন্টারন্যাশনাল সহ বিভিন্ন পর্যবেক্ষক। ওই রিপোর্টে সেনাবাহিনীর নৃশংসতায়
যেসব রোহিঙ্গা দেশছাড়া হয়েছেন, সেই নৃশংসতার বিষয় উল্লেখ করতে ব্যর্থতায়
বিস্ময় প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি। এ সংস্থার মিয়ানমার বিষয়ক গবেষক লরা হাই
বলেছেন, এমন প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও
মর্যাদার সঙ্গে ঘটবে এমনটা ভাবা হাস্যকর। বার্তা সংস্থা এএফপি’কে উদ্ধৃত
করে এ খবর দিয়েছে সিঙ্গাপুরের অনলাইন দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।
এতে বলা হয়, আসিয়ানের ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট টিম (আসিয়ান-ইআরএটি) প্রণীত ওই রিপোর্ট দেখতে পেয়েছে এএফপি। এতে দুই বছরের মধ্যে ৫ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের যে কথা বলা হয়েছে তাতে সেনাবাহিনীর নৃশংসতার বিষয়ে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। ওই রিপোর্টে রাখাইনে চলমান গৃহযুদ্ধের বিষয়ও অবজ্ঞা করা হয়েছে। এমন কি নির্যাতত মুসলিমদেরকে ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবেও উল্লেখ করা হয় নি।
এ নীতি অবলম্বন করে থাকে মিয়ানমার।
এএফপি লিখেছে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে নির্যাতিত হয়ে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা দেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু এই রিপোর্টে তাদেরকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে তাতে বাংলাদেশে অবস্থানকারী এসব রোহিঙ্গা শরণার্থী ভুলপথে পরিচালিত হবে। বিদ্রোহীদের মূলোৎপাটনের নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করেছে। সীমান্তের এপাড়ে পাঠিয়ে দিয়েছে দমনপীড়নের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে তারা বেশ কয়েক দফা নির্যাতনকে বেছে নিয়েছে। ব্যাপকহারে হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের সপক্ষে প্রমাণ রয়েছে। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা একে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করে মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেলদের বিরুদ্ধে বিচারের আহ্বান জানিয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ পর্যন্ত অগ্রগতি ওইটুকুই। কোনো রোহিঙ্গা নিরাপত্তা ও অধিকার ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কায় মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে রাজি নয়। এ অবস্থায় ‘প্রিলিমিনারি নিডস অ্যাসেসমেন্ট ফর রিপ্যাট্রিয়েশন ইন রাখাইন স্টেট, মিয়ানমার’ ৫ লাখ রোহিঙ্গার ফেরত যাওয়া নিয়ে কাজ করে। মিয়ানমার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংখ্যা এই ৫ লাখ হিসেবেই স্বীকার করে। কিন্তু বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দেয়া সংখ্যার চেয়ে এই সংখ্যা অনেক কম।
ওই রিপোর্টে রোহিঙ্গাদের মসৃণ ও নিয়মতান্ত্রিক প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করে মিয়ানমার।
এতে বলা হয়, আসিয়ানের ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট টিম (আসিয়ান-ইআরএটি) প্রণীত ওই রিপোর্ট দেখতে পেয়েছে এএফপি। এতে দুই বছরের মধ্যে ৫ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের যে কথা বলা হয়েছে তাতে সেনাবাহিনীর নৃশংসতার বিষয়ে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। ওই রিপোর্টে রাখাইনে চলমান গৃহযুদ্ধের বিষয়ও অবজ্ঞা করা হয়েছে। এমন কি নির্যাতত মুসলিমদেরকে ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবেও উল্লেখ করা হয় নি।
এ নীতি অবলম্বন করে থাকে মিয়ানমার।
এএফপি লিখেছে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে নির্যাতিত হয়ে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা দেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু এই রিপোর্টে তাদেরকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে তাতে বাংলাদেশে অবস্থানকারী এসব রোহিঙ্গা শরণার্থী ভুলপথে পরিচালিত হবে। বিদ্রোহীদের মূলোৎপাটনের নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করেছে। সীমান্তের এপাড়ে পাঠিয়ে দিয়েছে দমনপীড়নের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে তারা বেশ কয়েক দফা নির্যাতনকে বেছে নিয়েছে। ব্যাপকহারে হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের সপক্ষে প্রমাণ রয়েছে। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা একে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করে মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেলদের বিরুদ্ধে বিচারের আহ্বান জানিয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ পর্যন্ত অগ্রগতি ওইটুকুই। কোনো রোহিঙ্গা নিরাপত্তা ও অধিকার ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কায় মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে রাজি নয়। এ অবস্থায় ‘প্রিলিমিনারি নিডস অ্যাসেসমেন্ট ফর রিপ্যাট্রিয়েশন ইন রাখাইন স্টেট, মিয়ানমার’ ৫ লাখ রোহিঙ্গার ফেরত যাওয়া নিয়ে কাজ করে। মিয়ানমার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংখ্যা এই ৫ লাখ হিসেবেই স্বীকার করে। কিন্তু বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দেয়া সংখ্যার চেয়ে এই সংখ্যা অনেক কম।
ওই রিপোর্টে রোহিঙ্গাদের মসৃণ ও নিয়মতান্ত্রিক প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করে মিয়ানমার।
No comments