রগরগে ছবি পাঠিয়ে বালিকা ধর্ষণ: সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশীর ২২ বছরের জেল
বারো
বছর বয়সী একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সিঙ্গাপুরে ২২ বছরের জেল দেয়া হয়েছে
এক বাংলাদেশী নির্মাণ শ্রমিক রতন চন্দ্র দাসকে (৪১)। একই সঙ্গে তাকে ১৮ ঘা
বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেয়া হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।
রতন ধর্ষণের তিন দফা অভিযোগ স্বীকার করে নেয়ার পর শুক্রবার ওই রায় দেয়
সিঙ্গাপুরের আদালত।
এসব অপরাধ সংঘটিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল সময়ের মধ্যে। ওই বালিকাটি একদিন রতনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিল। এ সময় তার মার সন্দেহ হয়। তিনি তার হাত থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে টেক্সট ম্যাসেজ চেক করেন।
ব্যস ধরা পড়ে যায় ঘটনা।
সিঙ্গাপুরের হাইকোর্টের শুনানিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি ওই বালিকা তার আত্মীয়দের সঙ্গে ট্রেনে ভ্রমণ করছিল। ওই একই ট্রেনে ছিল রতন। এ সময় বালিকাটির দিকে চোখ পড়ে রতনের। তাদেরকে অনুসরণ করতে থাকে সে। বালিকাটিকে তার দুটি ফোন নম্বর দিয়ে ফোন করতে বলে। একই দিনে ওই বালিকাটি তাকে ফোন করে। রতন তখন তাকে জানায় তার বয়স ২৫ বছর। বালিকাটি তাকে জানায় তার বয়স ১২ বছর। এরপর তাদের যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। রতন যৌন অসংলগ্ন কথাবার্তা পোস্ট করতে থাকে তাকে। চ্যাটিংয়ে উঠে আসে তা।
সাক্ষাতের দু’সপ্তাহ পরেই রতন ওই বালিকাকে নগ্ন ছবি পাঠাতে থাকে। এমন কি তার গোপনাঙ্গের ছবিও পাঠায়। অনুরোধ করে ওই বালিকাকে একই কাজ করতে। প্রথম প্রথম প্রেমে বেপরোয়া হয়ে পড়ে ওই বালিকা। ফলে সেও রতনকে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী সব ছবি পাঠাতে থাকে। সম্পর্কের এত ঘনিষ্ঠতায় রতন তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। এতে কমপক্ষে ৫ বার সম্মতি দেয় ওই বালিকা। ফলে তিন বার সে ওই বালিকাকে নিয়ে যায় লোয়ার পিয়ার্স রিজাভয়ের পার্কে। এ ছাড়া অং মো কিও টাউন গার্ডেন ইস্ট এবং এইচডিবির ডেকেও তারা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়।
২৩ শে এপ্রিল ওই বালিকার মার সন্দেহ হয়। তিনি মেয়ের মোবাইলে বিপুল পরিমাণ এসএমএস দেখে বিস্মিত হন। বিষয়টি তিনি স্বামী ও তারই এক সতীনকে জানান। পরের দিন তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। তা থেকে উদ্ধার করা হয় রগরগে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কথাবার্তা। তারা বালিকাকে সঙ্গে নিয়ে ২৫ এপ্রিল যান পুলিশে রিপোর্ট করতে। এর পরের দিন গ্রেপ্তার করা হয় রতনকে।
এ মামলায় ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর উইনস্্টন ম্যান আদালতে রতনের কমপক্ষে ২২ বছর জেল ও ১৮ ঘা বেত্রাঘাত দাবি করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত ওই রায় দিয়েছেন।
এসব অপরাধ সংঘটিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল সময়ের মধ্যে। ওই বালিকাটি একদিন রতনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিল। এ সময় তার মার সন্দেহ হয়। তিনি তার হাত থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে টেক্সট ম্যাসেজ চেক করেন।
ব্যস ধরা পড়ে যায় ঘটনা।
সিঙ্গাপুরের হাইকোর্টের শুনানিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি ওই বালিকা তার আত্মীয়দের সঙ্গে ট্রেনে ভ্রমণ করছিল। ওই একই ট্রেনে ছিল রতন। এ সময় বালিকাটির দিকে চোখ পড়ে রতনের। তাদেরকে অনুসরণ করতে থাকে সে। বালিকাটিকে তার দুটি ফোন নম্বর দিয়ে ফোন করতে বলে। একই দিনে ওই বালিকাটি তাকে ফোন করে। রতন তখন তাকে জানায় তার বয়স ২৫ বছর। বালিকাটি তাকে জানায় তার বয়স ১২ বছর। এরপর তাদের যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। রতন যৌন অসংলগ্ন কথাবার্তা পোস্ট করতে থাকে তাকে। চ্যাটিংয়ে উঠে আসে তা।
সাক্ষাতের দু’সপ্তাহ পরেই রতন ওই বালিকাকে নগ্ন ছবি পাঠাতে থাকে। এমন কি তার গোপনাঙ্গের ছবিও পাঠায়। অনুরোধ করে ওই বালিকাকে একই কাজ করতে। প্রথম প্রথম প্রেমে বেপরোয়া হয়ে পড়ে ওই বালিকা। ফলে সেও রতনকে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী সব ছবি পাঠাতে থাকে। সম্পর্কের এত ঘনিষ্ঠতায় রতন তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। এতে কমপক্ষে ৫ বার সম্মতি দেয় ওই বালিকা। ফলে তিন বার সে ওই বালিকাকে নিয়ে যায় লোয়ার পিয়ার্স রিজাভয়ের পার্কে। এ ছাড়া অং মো কিও টাউন গার্ডেন ইস্ট এবং এইচডিবির ডেকেও তারা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়।
২৩ শে এপ্রিল ওই বালিকার মার সন্দেহ হয়। তিনি মেয়ের মোবাইলে বিপুল পরিমাণ এসএমএস দেখে বিস্মিত হন। বিষয়টি তিনি স্বামী ও তারই এক সতীনকে জানান। পরের দিন তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। তা থেকে উদ্ধার করা হয় রগরগে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কথাবার্তা। তারা বালিকাকে সঙ্গে নিয়ে ২৫ এপ্রিল যান পুলিশে রিপোর্ট করতে। এর পরের দিন গ্রেপ্তার করা হয় রতনকে।
এ মামলায় ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর উইনস্্টন ম্যান আদালতে রতনের কমপক্ষে ২২ বছর জেল ও ১৮ ঘা বেত্রাঘাত দাবি করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত ওই রায় দিয়েছেন।
No comments