একমাসে তিন দফা বাড়লো ডলারের দাম
দেশের
বাজারে ডলারের সংকট কমছে না। আর এই সংকট কাটাতে মুদ্রা বাজারে ডলার বিক্রি
করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারপরও স্থিতিশীল হচ্ছে না বাজার। ফলে টাকার
বিপরীতে বেড়েই চলেছে ডলারের দাম। মাত্র ২৮ দিনের ব্যবধানে ডলারের দাম
বেড়েছে তিন দফা। এ সময়ের মধ্যে ৮৪ টাকা ১৬ পয়সা থেকে ডলারের দাম গিয়ে
পৌঁছেছে ৮৪ টাকা ৩৫ পয়সায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি-রপ্তানির মধ্যে ভারসাম্য না থাকা, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ, অর্থ পাচারসহ নানা কারণে ডলারের বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে রপ্তানি বাণিজ্য ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে কিছুটা উৎসাহিত হলেও, বেড়ে যাচ্ছে পণ্য আমদানির ব্যয়। ফলে খাদ্যশস্য, ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি তেল, শিল্পের কাঁচামালসহ সব আমদানি পণ্যের ব্যয় বাড়বে।
এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতিতে। অবশ্য মার্চ মাস শেষে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৫৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরে কয়েক দফা ডলারের দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি বছরের শুরু থেকেই আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দাম ছিল ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা। শুধু এই তিন মাসেই ৯ বার দাম বেড়েছে। ৩রা জানুয়ারি ডলারের দাম ৫ পয়সা, ১১ই ফেব্রুয়ারি ১০ পয়সা ও ১৪ই ফেব্রুয়ারি ৭ পয়সা বাড়িয়ে ৮৪ টাকা ১২ পয়সা নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চাহিদা বাড়ায় অর্থবছরের প্রথম মাস থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে মাসওয়ারি ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.৫৫ শতাংশ। এর আগের মাসে এই হার ছিল ৫.৪৭ শতাংশ। জানুয়ারি মাসের পর থেকেই টানা দুই মাস মূল্যস্ফীতি বাড়ল। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.৪২ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলেন, ডলারের দাম বাড়ার প্রভাব দেখা গিয়েছে মার্চ মাসের মূল্যস্ফীতিতে। আমাদের দেশের যেসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় সেগুলোর দাম বাড়াটাই সাভাবিক।
কারণ আমদানি নির্ভর পণ্য ডলারের দামের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। প্রচুর পরিমাণ এলসি বা ঋণপত্র খোলার কারণে ডলারের চাহিদা অনেকটা বেড়েছে। তবে এই চাপ মোকাবিলায় যথেষ্ট সাহায্য করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকগুলো যে দরে ডলার বা অন্য মুদ্রা কেনাবেচা করে, তাকে আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বিনিময় হার বলা হয়। ব্যাংকগুলো এর চেয়ে এক থেকে দেড় টাকা বেশি দামে ডলার গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে। গত এক বছরের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৫ শতাংশের বেশি। ছয় মাসের ব্যবধানে কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ডলারের দাম বাড়ার প্রধান কারণ বাণিজ্য ঘাটতি। যে হারে আমদানি হচ্ছে সেই হারে রপ্তানি আয় হয়নি। বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের চলতি হিসাবে ঋণাত্মক হয়ে গেছে। আর এটি পূরণ করতে গিয়ে বাড়তি চাপে ডলারের দাম বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই- জানুয়ারি) ইপিজেডসহ রপ্তানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ২ হাজার ৩৮০ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে ৩ হাজার ৩৪৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে জানুয়ারি শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় ৯৬৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (বিনিময় হার ৮৫ টাকা দরে) ৮১ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি-রপ্তানির মধ্যে ভারসাম্য না থাকা, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ, অর্থ পাচারসহ নানা কারণে ডলারের বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে রপ্তানি বাণিজ্য ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে কিছুটা উৎসাহিত হলেও, বেড়ে যাচ্ছে পণ্য আমদানির ব্যয়। ফলে খাদ্যশস্য, ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি তেল, শিল্পের কাঁচামালসহ সব আমদানি পণ্যের ব্যয় বাড়বে।
এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতিতে। অবশ্য মার্চ মাস শেষে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৫৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরে কয়েক দফা ডলারের দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি বছরের শুরু থেকেই আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দাম ছিল ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা। শুধু এই তিন মাসেই ৯ বার দাম বেড়েছে। ৩রা জানুয়ারি ডলারের দাম ৫ পয়সা, ১১ই ফেব্রুয়ারি ১০ পয়সা ও ১৪ই ফেব্রুয়ারি ৭ পয়সা বাড়িয়ে ৮৪ টাকা ১২ পয়সা নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চাহিদা বাড়ায় অর্থবছরের প্রথম মাস থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে মাসওয়ারি ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.৫৫ শতাংশ। এর আগের মাসে এই হার ছিল ৫.৪৭ শতাংশ। জানুয়ারি মাসের পর থেকেই টানা দুই মাস মূল্যস্ফীতি বাড়ল। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.৪২ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলেন, ডলারের দাম বাড়ার প্রভাব দেখা গিয়েছে মার্চ মাসের মূল্যস্ফীতিতে। আমাদের দেশের যেসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় সেগুলোর দাম বাড়াটাই সাভাবিক।
কারণ আমদানি নির্ভর পণ্য ডলারের দামের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। প্রচুর পরিমাণ এলসি বা ঋণপত্র খোলার কারণে ডলারের চাহিদা অনেকটা বেড়েছে। তবে এই চাপ মোকাবিলায় যথেষ্ট সাহায্য করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকগুলো যে দরে ডলার বা অন্য মুদ্রা কেনাবেচা করে, তাকে আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বিনিময় হার বলা হয়। ব্যাংকগুলো এর চেয়ে এক থেকে দেড় টাকা বেশি দামে ডলার গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে। গত এক বছরের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৫ শতাংশের বেশি। ছয় মাসের ব্যবধানে কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ডলারের দাম বাড়ার প্রধান কারণ বাণিজ্য ঘাটতি। যে হারে আমদানি হচ্ছে সেই হারে রপ্তানি আয় হয়নি। বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের চলতি হিসাবে ঋণাত্মক হয়ে গেছে। আর এটি পূরণ করতে গিয়ে বাড়তি চাপে ডলারের দাম বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই- জানুয়ারি) ইপিজেডসহ রপ্তানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ২ হাজার ৩৮০ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে ৩ হাজার ৩৪৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে জানুয়ারি শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় ৯৬৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (বিনিময় হার ৮৫ টাকা দরে) ৮১ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
No comments