মুসলিম কংগ্রেসওমেন ইলহান ওমরের বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্রে
যুক্তরাষ্ট্রে
২০০১ সালের ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে দেয়া এক বক্তব্যের জন্য
সমালোচিত হচ্ছেন ডেমোক্রেট দলের মুসলিম কংগ্রেসওমেন ইলহান ওমর। তার
সমালোচনা প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পর্যন্ত করছেন। তবে ইলহান ওমরের পক্ষ
নিয়েছেন ডেমোক্রেট এলিজাবেথ ওয়ারেন সহ অনেক শীর্ষ স্থানীয়রা। যুক্তরাষ্ট্রে
যে দু’জন মুসলিম নারী প্রথমবারের মতো প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন তার
অন্যতম ইলহান ওমর। তিনিই প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে মাথায় স্কার্ফ পরে
প্রতিনিধি পরিষদে যোগ দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
গত ২৩ মার্চ কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স (কেয়ার) নামের নাগরিক অধিকার বিষয়ক গ্রুপে বক্তব্য রেখেছেন ইলহান ওমর। ২০ মিনিটের ওই বক্তব্যে তিনি বিদেশীদের ইসলামভীতি ও নিউজিল্যান্ডে সাম্প্রতিক মসজিদে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হচ্ছে তা নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি।
তাকে বলতে শোনা যায়, এটাই সত্য। এতদিন যাবত আমরা এখানে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো অস্বস্তিত্বে বসবাস করছি। খোলামেলাভাবে বলতে, আমি এতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এ দেশের প্রতিজন মুসলিমেরই ক্লান্ত হওয়া উচিত। ৯/১১ হামলার পরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কেয়ার। কারণ, তারা মেনে নিয়েছেন কিছু মানুষ কিছু করেছে। এ জন্যই আমাদের সবাই নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া শুরু করেছি।
ইলহান ওমরের ‘কিছু মানুষ কিছু করেছে’ বক্তব্যে ক্ষেপেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকরা। তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে নিজের দল ডেমোক্রেট। তারা বলছে, ইলহান ওমরের বক্তব্য ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছেন। ইলহানের বক্তব্যের জবাবে ট্রাম্প টুইট করেছেন। তাতে বলেছেন, আমরা কখনোই ভুলবো না। এর সঙ্গে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে ১১ই সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার ভিডিও ফুটেজ। তার সঙ্গে দেখানো হচ্ছে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ইলহান ওমরকে। এতে তাকে বলতে শোনা যায়, সাম পিপল ডিড সামথিং।
গত নভেম্বরে মিনেসোটা থেকে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ইলহান ওমর। তার পরিবার সোমালিয়ার। ইসরাইল এবং ইসরাইলপন্থি লবিস্টের বিষয়ে মন্তব্য করে এরই মধ্যে অভিযুক্ত হয়েছেন ইলহান। এমন বক্তব্যে তার সমালোচনা করেছেন ডেমোক্রেটরা। তখন তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, এখনও শুনছি এবং শিখছি। তিনি তাকে কেন্দ্র করে মুসলিম বিরোধী উদ্বেগজনক কথাবার্তা নিয়ে কথা বলেছেন। এর জবাবে রিপাবলিকানরা তাকে নিয়ে পোস্টার বানিয়েছে। তাতে সন্ত্রাসী হামলায় ধ্বংস হওয়া টুইন টাওয়ারের পাশে তাকে দেখানো হয়েছে।
ইলহান ওমরের বক্তব্য সবার নজরে আসে ৯ই এপ্রিল। ওইদিন টেক্সাসের রিপাবলিকান দলের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ড্যান ক্রেনশ একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি এতে ইলহানের বর্ণনাকে অবিশ্বাস্য বলে আখ্যায়িত করেন। এরপর ফক্স নিউজ সহ রক্ষণশীল মিডিয়া তা লুফে নেয়। তারা ইনডেপথ নিউজ করতে থাকে। ইলহান ওমরকে আমেরিকান-বিরোধী বলে আখ্যায়িত করেন রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান রোনা ম্যাকডানিয়েল। এরপর শুক্রবার ইলহান ওমরের ভিডিওটি পোস্ট করেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে এই ভিডিওটি ট্রাম্পের টুইটারের শীর্ষে পিন করা আছে। আর তা শেয়ার করেছেন লাখ লাখ মানুষ।
জবাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অনেকে ইলহান ওমরের পক্ষে দাঁড়ান। তারা হ্যাসট্যাগ চালু করেন এই নামে ‘#আই স্ট্যান্ড উইথ ইলহান’। শুক্রবার বিশ্বজুড়ে তা ছড়িয়ে পড়ে। ওদিকে আলোচনার সময় সিএনএন ওই ভিডিও ক্লিপটি প্রদর্শন করে। পরে এর উপস্থাপক ক্রিস কুমো তা প্রচার করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এমএসএনবিসির উপস্থাপক জয় রেইড এই ভিডিও প্রদর্শন করতে অস্বীকৃতি জানান। ওদিকে ইলহান ওমরের পক্ষ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমালোচনায় নেমে পড়েছেন ডেমোক্রেট দলের শীর্ষ স্থানীয় অনেকে। এর মধ্যে রয়েছেন ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলটি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কয়েকজন। তার মধ্যে এলিজাবেথ ওয়ারেন অন্যতম।
গত ২৩ মার্চ কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স (কেয়ার) নামের নাগরিক অধিকার বিষয়ক গ্রুপে বক্তব্য রেখেছেন ইলহান ওমর। ২০ মিনিটের ওই বক্তব্যে তিনি বিদেশীদের ইসলামভীতি ও নিউজিল্যান্ডে সাম্প্রতিক মসজিদে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হচ্ছে তা নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি।
তাকে বলতে শোনা যায়, এটাই সত্য। এতদিন যাবত আমরা এখানে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো অস্বস্তিত্বে বসবাস করছি। খোলামেলাভাবে বলতে, আমি এতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এ দেশের প্রতিজন মুসলিমেরই ক্লান্ত হওয়া উচিত। ৯/১১ হামলার পরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কেয়ার। কারণ, তারা মেনে নিয়েছেন কিছু মানুষ কিছু করেছে। এ জন্যই আমাদের সবাই নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া শুরু করেছি।
ইলহান ওমরের ‘কিছু মানুষ কিছু করেছে’ বক্তব্যে ক্ষেপেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকরা। তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে নিজের দল ডেমোক্রেট। তারা বলছে, ইলহান ওমরের বক্তব্য ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছেন। ইলহানের বক্তব্যের জবাবে ট্রাম্প টুইট করেছেন। তাতে বলেছেন, আমরা কখনোই ভুলবো না। এর সঙ্গে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে ১১ই সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার ভিডিও ফুটেজ। তার সঙ্গে দেখানো হচ্ছে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ইলহান ওমরকে। এতে তাকে বলতে শোনা যায়, সাম পিপল ডিড সামথিং।
গত নভেম্বরে মিনেসোটা থেকে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ইলহান ওমর। তার পরিবার সোমালিয়ার। ইসরাইল এবং ইসরাইলপন্থি লবিস্টের বিষয়ে মন্তব্য করে এরই মধ্যে অভিযুক্ত হয়েছেন ইলহান। এমন বক্তব্যে তার সমালোচনা করেছেন ডেমোক্রেটরা। তখন তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, এখনও শুনছি এবং শিখছি। তিনি তাকে কেন্দ্র করে মুসলিম বিরোধী উদ্বেগজনক কথাবার্তা নিয়ে কথা বলেছেন। এর জবাবে রিপাবলিকানরা তাকে নিয়ে পোস্টার বানিয়েছে। তাতে সন্ত্রাসী হামলায় ধ্বংস হওয়া টুইন টাওয়ারের পাশে তাকে দেখানো হয়েছে।
ইলহান ওমরের বক্তব্য সবার নজরে আসে ৯ই এপ্রিল। ওইদিন টেক্সাসের রিপাবলিকান দলের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ড্যান ক্রেনশ একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি এতে ইলহানের বর্ণনাকে অবিশ্বাস্য বলে আখ্যায়িত করেন। এরপর ফক্স নিউজ সহ রক্ষণশীল মিডিয়া তা লুফে নেয়। তারা ইনডেপথ নিউজ করতে থাকে। ইলহান ওমরকে আমেরিকান-বিরোধী বলে আখ্যায়িত করেন রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান রোনা ম্যাকডানিয়েল। এরপর শুক্রবার ইলহান ওমরের ভিডিওটি পোস্ট করেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে এই ভিডিওটি ট্রাম্পের টুইটারের শীর্ষে পিন করা আছে। আর তা শেয়ার করেছেন লাখ লাখ মানুষ।
জবাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অনেকে ইলহান ওমরের পক্ষে দাঁড়ান। তারা হ্যাসট্যাগ চালু করেন এই নামে ‘#আই স্ট্যান্ড উইথ ইলহান’। শুক্রবার বিশ্বজুড়ে তা ছড়িয়ে পড়ে। ওদিকে আলোচনার সময় সিএনএন ওই ভিডিও ক্লিপটি প্রদর্শন করে। পরে এর উপস্থাপক ক্রিস কুমো তা প্রচার করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এমএসএনবিসির উপস্থাপক জয় রেইড এই ভিডিও প্রদর্শন করতে অস্বীকৃতি জানান। ওদিকে ইলহান ওমরের পক্ষ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমালোচনায় নেমে পড়েছেন ডেমোক্রেট দলের শীর্ষ স্থানীয় অনেকে। এর মধ্যে রয়েছেন ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলটি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কয়েকজন। তার মধ্যে এলিজাবেথ ওয়ারেন অন্যতম।
No comments