আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে বিত্তশালীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
দানবীর
রণদা প্রসাদ সাহার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার
জন্য দেশের বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, তাহলে আর দেশের জনগণের কষ্ট থাকবে না। টাঙ্গাইলের কুমুদিনী
ট্রাস্ট কমপ্লেক্সে বৃহস্পতিবার বিকেলে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক
স্বর্ণপদক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রণদা প্রসাদ সাহা আমাদের দেশের নারী শিক্ষার প্রসার ঘটানো থেকে শুরু করে মানবতার সেবার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, সেই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করার আমাদের দেশে অনেক বিত্তশালী আছেন, তাঁরাও করতে পারেন। তাহলে আমাদের দেশের মানুষের আর কোনো কষ্ট থাকবে না।’
কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গলের (বিডি) ৮৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে এ বছরের দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়। তাঁরা হচ্ছেন তদানীন্তন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (মরণোত্তর), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), ১৯৫২ সালের ভাষাসৈনিক ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। সোহরাওয়ার্দীর পক্ষে শেখ রেহানা এবং জাতীয় কবির পক্ষে কবির নাতনি খিল খিল কাজী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ব্যাপকভাবে মানুষের জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি বিধবাদের জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি শুধু মানুষের সেবা করার জন্য এবং মানুষকে মানুষের মতো বেঁচে থাকার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিরাট এক কর্মযজ্ঞ গড়ে তুলেছিলেন।
অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার পরও রণদা প্রসাদ ভোগ-বিলাসে ডুবে যাননি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বরং অর্জিত অর্থ মানবকল্যাণে ব্যয় করেছেন। নারী শিক্ষার প্রসারে রণদা প্রসাদের ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি একে একে ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী কলেজ ও দেবেন্দ্র কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া দেশের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তিনি আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরবর্তী প্রজন্ম প্রতিষ্ঠাতার মানবিক প্রয়াস-প্রান্তিক অসহায় জনপদে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও নারী শিক্ষা প্রসারে নিজেদের নিবেদিত রেখেছেন। ট্রাস্টের সেবা কর্মযজ্ঞে যুক্ত হয়েছে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও কলেজ এবং রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়। অনগ্রসর মানুষের কল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কুমুদিনী ট্রেড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।
আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ট্রাস্টের পরিচালক ও ভাষাসৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দি এবং পরিচালক শ্রীমতি সাহা। স্বাগত বক্তৃতা দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন। অনুষ্ঠানে রণদা প্রসাদ সাহার জীবন এবং কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। জাতীয় সংগীত এবং দেশাত্মবোধক গান দিয়ে শুরু এই অনুষ্ঠানে ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষার্থীরা বর্ণাঢ্য ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বিশিষ্ট নাগরিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে চড়ে টাঙ্গাইলে পৌঁছান। মির্জাপুর হেলিপ্যাডে জেলা পুলিশ প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে প্রধানমন্ত্রী কুমুদিনী কমপ্লেক্স থেকে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে জেলার ৩১টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
আরপি সাহা নামে পরিচিত রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন একজন প্রখ্যাত ব্যবসায়ী ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব। ১৯৭১ সালের ৭ মে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আরপি সাহা ও তাঁর একমাত্র ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। কুমুদিনী পরিবার ২০১৫ সালে রণদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদক প্রবর্তন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রণদা প্রসাদ সাহা আমাদের দেশের নারী শিক্ষার প্রসার ঘটানো থেকে শুরু করে মানবতার সেবার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, সেই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করার আমাদের দেশে অনেক বিত্তশালী আছেন, তাঁরাও করতে পারেন। তাহলে আমাদের দেশের মানুষের আর কোনো কষ্ট থাকবে না।’
কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গলের (বিডি) ৮৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে এ বছরের দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়। তাঁরা হচ্ছেন তদানীন্তন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (মরণোত্তর), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), ১৯৫২ সালের ভাষাসৈনিক ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। সোহরাওয়ার্দীর পক্ষে শেখ রেহানা এবং জাতীয় কবির পক্ষে কবির নাতনি খিল খিল কাজী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ব্যাপকভাবে মানুষের জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি বিধবাদের জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি শুধু মানুষের সেবা করার জন্য এবং মানুষকে মানুষের মতো বেঁচে থাকার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিরাট এক কর্মযজ্ঞ গড়ে তুলেছিলেন।
অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার পরও রণদা প্রসাদ ভোগ-বিলাসে ডুবে যাননি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বরং অর্জিত অর্থ মানবকল্যাণে ব্যয় করেছেন। নারী শিক্ষার প্রসারে রণদা প্রসাদের ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি একে একে ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী কলেজ ও দেবেন্দ্র কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া দেশের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তিনি আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরবর্তী প্রজন্ম প্রতিষ্ঠাতার মানবিক প্রয়াস-প্রান্তিক অসহায় জনপদে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও নারী শিক্ষা প্রসারে নিজেদের নিবেদিত রেখেছেন। ট্রাস্টের সেবা কর্মযজ্ঞে যুক্ত হয়েছে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও কলেজ এবং রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়। অনগ্রসর মানুষের কল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কুমুদিনী ট্রেড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।
আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ট্রাস্টের পরিচালক ও ভাষাসৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দি এবং পরিচালক শ্রীমতি সাহা। স্বাগত বক্তৃতা দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন। অনুষ্ঠানে রণদা প্রসাদ সাহার জীবন এবং কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। জাতীয় সংগীত এবং দেশাত্মবোধক গান দিয়ে শুরু এই অনুষ্ঠানে ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষার্থীরা বর্ণাঢ্য ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বিশিষ্ট নাগরিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে চড়ে টাঙ্গাইলে পৌঁছান। মির্জাপুর হেলিপ্যাডে জেলা পুলিশ প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে প্রধানমন্ত্রী কুমুদিনী কমপ্লেক্স থেকে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে জেলার ৩১টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
আরপি সাহা নামে পরিচিত রণদা প্রসাদ সাহা ছিলেন একজন প্রখ্যাত ব্যবসায়ী ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব। ১৯৭১ সালের ৭ মে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আরপি সাহা ও তাঁর একমাত্র ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। কুমুদিনী পরিবার ২০১৫ সালে রণদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদক প্রবর্তন করে।
No comments