আশার ভিপি হওয়ার গল্প by মরিয়ম চম্পা
পড়াশোনার
সঙ্গে উপস্থাপনা, টিউশনি, আবৃত্তি সবই করছেন সমানতালে। ডাকসু নির্বাচনে
হয়েছেন হলের ভিপি। রিকি হায়দার আশার এ সাফল্যের পেছনে রয়েছে সাহস আর
পরিশ্রমের নানা গল্প।নিজের কষ্টার্জিত অর্থে ব্যয় মিটিয়েছেন নির্বাচনের।
সাহস নিয়ে ছাত্রলীগের প্যানেলের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে শেখ
ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ভিপি নির্বাচিত হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
আশা পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্ট্যাডিজের শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও তিনি ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সেক্রেটারি। মানবজমিনের সঙ্গে একান্ত
সাক্ষাৎকারে আশা বলেন, হল সংসদ নির্বাচনে আমি ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়ী
হয়েছি।
আমাদের হলে মোট ভোট পড়ে ১১৬৬টি। এর মধ্যে আমি পেয়েছি ৮শ’ ১২ ভোট।
তিনি বলেন, হলে পুরো প্যানেল ছিল ছাত্রলীগের। আমরা স্বতন্ত্রভাবে তিনজন নির্বাচন করেছি। তিনজনই নির্বাচিত হয়েছি। অন্য দু’জন হলেন- সাহিত্য সম্পাদক পদে খাদিজা শারমিন, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে তাসনীম হালিম মীম। এ ছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন থেকে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। মোটা দাগে বলতে গেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থন পেয়ে স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচনের আগের পুরো রাত আমরা ঘুমাইনি। সারা রাত জেগে ব্যালট বাক্স পাহারা দিয়েছি।
স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নির্বাচনের নেপথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি কারো কাছে নিজের জন্য ভোট চাইনি। ভোট চেয়েছি যোগ্য প্রার্থীর জন্য। আমি ভোট চেয়েছি প্রত্যেকটি সাধারণ শিক্ষার্থীর সচেতনতার কাছে। সেদিক থেকে বিচার করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়তো মনে হয়েছে হল সংসদে অন্য যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার থেকে আমি যোগ্য। ফলে তারা আমাকে নির্বাচিত করেছে। নির্বাচনের খরচ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। বিটিভিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার কাজ করি। বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও টিউশনি ইত্যাদি থেকে উপার্জিত ও জমানো টাকা দিয়ে নির্বাচন করেছি।
আশা বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লিখিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সকল চাওয়া-পাওয়া ও দাবি-দাওয়ার কথা রয়েছে। সেগুলো পালন করাই এখন আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। যেহেতু স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলাম তাই অনেক চড়াই উৎরাই ও নানামুখী ধকলের মধ্যে দিয়ে ভিপি নির্বাচিত হয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থনে আমাদের হলে প্রথম থেকেই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। ভোটের দিন আমাদের হলে কোনো সমস্যা হয় নি। এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা খুব ভালো ভাবে ভোট দিতে পেরেছে। আমাদের ইশতেহারের মূল বিষয় ছিল আবাসন সমস্যা, খাবারের মান উন্নয়ন, ক্যাম্পাসে যাতায়াত উপযোগী প্রয়োজনীয় বাসের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া হলে ফার্মাসি ও টেইলার্স স্থাপন করা ইত্যাদি। এগুলোর পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে সঙ্গে নিয়ে তাদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া ও প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে চাই। নতুন নির্বাচিত এই ভিপি বলেন, আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা বরিশালে। বাবার নাম আলি হায়দার বাবু। মা ডালিয়া হায়দার। স্কুল ছিল বরিশাল সদর গার্লস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বরিশাল মহিলা কলেজের পর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্ট্যাডিজ বিভাগে। তিনি মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। ৪ ভাই ও বোনের মধ্যে আশা তৃতীয়।
তিনি বলেন, বাসায় জানলে হয়তো দুশ্চিন্তা করবে- এমনটি ভেবে প্রথমে নির্বাচন করার বিষয়টি বাবা-মাকে জানান নি। পরে অবশ্য তারা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরে সমর্থন ও সাহস যুগিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ডাকসু নির্বাচনে কুয়েত মৈত্রী হলসহ মেয়েদের চারটি হলেই জয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। কুয়েত মৈত্রীতে ভিপি পদে জিতেছেন সুস্মিতা দে। আর জিএস পদে জিতেছেন সাগুফতা বুশরা মিশান। শামসুন্নাহার হল ছাত্র সংসদে স্বতন্ত্রদের প্যানেলের আট প্রার্থীর সবাই জয়ী হয়েছেন। ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ভিপি হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রিকি হায়দার আশা। একই হলে জিএস পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রলীগের সারা বিনতে জামান। কবি সুফিয়া কামাল হলে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্যানেলের তানজিনা আক্তার সুমা এবং জিএস পদে একই প্যানেলের মনিরা শারমিন জয়ী হয়েছেন।
আমাদের হলে মোট ভোট পড়ে ১১৬৬টি। এর মধ্যে আমি পেয়েছি ৮শ’ ১২ ভোট।
তিনি বলেন, হলে পুরো প্যানেল ছিল ছাত্রলীগের। আমরা স্বতন্ত্রভাবে তিনজন নির্বাচন করেছি। তিনজনই নির্বাচিত হয়েছি। অন্য দু’জন হলেন- সাহিত্য সম্পাদক পদে খাদিজা শারমিন, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে তাসনীম হালিম মীম। এ ছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন থেকে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। মোটা দাগে বলতে গেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থন পেয়ে স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচনের আগের পুরো রাত আমরা ঘুমাইনি। সারা রাত জেগে ব্যালট বাক্স পাহারা দিয়েছি।
স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে নির্বাচনের নেপথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি কারো কাছে নিজের জন্য ভোট চাইনি। ভোট চেয়েছি যোগ্য প্রার্থীর জন্য। আমি ভোট চেয়েছি প্রত্যেকটি সাধারণ শিক্ষার্থীর সচেতনতার কাছে। সেদিক থেকে বিচার করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়তো মনে হয়েছে হল সংসদে অন্য যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার থেকে আমি যোগ্য। ফলে তারা আমাকে নির্বাচিত করেছে। নির্বাচনের খরচ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। বিটিভিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার কাজ করি। বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও টিউশনি ইত্যাদি থেকে উপার্জিত ও জমানো টাকা দিয়ে নির্বাচন করেছি।
আশা বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লিখিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সকল চাওয়া-পাওয়া ও দাবি-দাওয়ার কথা রয়েছে। সেগুলো পালন করাই এখন আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। যেহেতু স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলাম তাই অনেক চড়াই উৎরাই ও নানামুখী ধকলের মধ্যে দিয়ে ভিপি নির্বাচিত হয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থনে আমাদের হলে প্রথম থেকেই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। ভোটের দিন আমাদের হলে কোনো সমস্যা হয় নি। এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা খুব ভালো ভাবে ভোট দিতে পেরেছে। আমাদের ইশতেহারের মূল বিষয় ছিল আবাসন সমস্যা, খাবারের মান উন্নয়ন, ক্যাম্পাসে যাতায়াত উপযোগী প্রয়োজনীয় বাসের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া হলে ফার্মাসি ও টেইলার্স স্থাপন করা ইত্যাদি। এগুলোর পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে সঙ্গে নিয়ে তাদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া ও প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে চাই। নতুন নির্বাচিত এই ভিপি বলেন, আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা বরিশালে। বাবার নাম আলি হায়দার বাবু। মা ডালিয়া হায়দার। স্কুল ছিল বরিশাল সদর গার্লস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বরিশাল মহিলা কলেজের পর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্ট্যাডিজ বিভাগে। তিনি মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। ৪ ভাই ও বোনের মধ্যে আশা তৃতীয়।
তিনি বলেন, বাসায় জানলে হয়তো দুশ্চিন্তা করবে- এমনটি ভেবে প্রথমে নির্বাচন করার বিষয়টি বাবা-মাকে জানান নি। পরে অবশ্য তারা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরে সমর্থন ও সাহস যুগিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ডাকসু নির্বাচনে কুয়েত মৈত্রী হলসহ মেয়েদের চারটি হলেই জয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। কুয়েত মৈত্রীতে ভিপি পদে জিতেছেন সুস্মিতা দে। আর জিএস পদে জিতেছেন সাগুফতা বুশরা মিশান। শামসুন্নাহার হল ছাত্র সংসদে স্বতন্ত্রদের প্যানেলের আট প্রার্থীর সবাই জয়ী হয়েছেন। ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ভিপি হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রিকি হায়দার আশা। একই হলে জিএস পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রলীগের সারা বিনতে জামান। কবি সুফিয়া কামাল হলে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্যানেলের তানজিনা আক্তার সুমা এবং জিএস পদে একই প্যানেলের মনিরা শারমিন জয়ী হয়েছেন।
No comments