ইহুদিবিদ্বেষ রোধে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বার্লিন
ইহুদিবিদ্বেষ
রোধে রাজ্য পর্যায়ে এই প্রথম বিশেষ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে জার্মানি।
কিন্তু কেন গোটা দেশের বদলে শুধু একটি রাজ্যে এমন উদ্যোগ নেয়া হলো তা নিয়ে
প্রশ্ন উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বার্লিনে ইহুদি বিদ্বেষের বেশ কিছু ঘটনা
ঘটেছে। এ খবর দিয়েছে ডয়েচে ভেলে। এরমধ্যে একটি স্কুলে এক ইহুদি
শিক্ষার্থীকে নিগ্রহ থেকে ফিলিস্তিনিদের এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ইসরাইলের
প্রতীক পোড়ানোর মতো ঘটনা রয়েছে। এ ধরনের ঘটনা রোধে ৬৩ পাতার এক পরিকল্পনা
ঘোষণা করেছে বার্লিন রাজ্য।
তবে প্রশ্ন উঠেছে পুরো দেশের বদলে কেন একটি রাজ্য এমন উদ্যোগ নিচ্ছে। বার্লিনের বিচার এবং বৈষম্য রোধ বিষয়ক সিনেটর ডির্ক বেরেন্ডট বিষয়টির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানান জার্মানিতে শিক্ষা এবং আইনের প্রয়োগের বিষয়াদি রাজ্য সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ফলে ইহুদি বিদ্বেষের রোধে একটি রাজ্যে এগিয়ে আসার বিষয়টি অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে মত দেন তিনি।
বেরেন্ডট অবশ্য এটাও স্বীকার করেছেন যে, বার্লিনে ইহুদি বিদ্বেষের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এই বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বার্লিনে ইহুদিবিদ্বেষ এবং ঘৃণা বেড়েছে। কিছু ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।’’ ইহুদিবিদ্বেষ বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করা বার্লিনভিত্তিক এনজিও আরআইএএস-এর পরিসংখ্যান বলছে ২০১৮ সালের প্রথম ছয় মাসে বার্লিনে ৫২৭টি ইহুদি বিদ্বেষের ঘটনা ঘটেছে। আগের বছর একই সময় এই সংখ্যা ছিল ৫১৪। বার্লিন এ ধরনের ঘটনা রোধে মূলত তরুণ প্রজন্মকে এই বিষয়ে আরো শিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা প্রদানসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং গবেষণাতেও এই প্রকল্প থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হবে।
উল্লেখ্য, বার্লিনে ইহুদি বিদ্বেষের ঘটনাগুলোর মধ্যে যেগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে সেগুলোর কয়েকটির সঙ্গে মুসলমান তরুণদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ফলে এমন একটি ধারণা তৈরি হয়েছে যে, বার্লিনে এমন একটি প্রজন্ম গড়ে উঠছে যাদের ইহুদিদের বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা নেই। এমনকি স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে বার্লিনে প্রতি দশজন স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য চারজনই আউৎসভিৎস সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
তবে প্রশ্ন উঠেছে পুরো দেশের বদলে কেন একটি রাজ্য এমন উদ্যোগ নিচ্ছে। বার্লিনের বিচার এবং বৈষম্য রোধ বিষয়ক সিনেটর ডির্ক বেরেন্ডট বিষয়টির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানান জার্মানিতে শিক্ষা এবং আইনের প্রয়োগের বিষয়াদি রাজ্য সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ফলে ইহুদি বিদ্বেষের রোধে একটি রাজ্যে এগিয়ে আসার বিষয়টি অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে মত দেন তিনি।
বেরেন্ডট অবশ্য এটাও স্বীকার করেছেন যে, বার্লিনে ইহুদি বিদ্বেষের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এই বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বার্লিনে ইহুদিবিদ্বেষ এবং ঘৃণা বেড়েছে। কিছু ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।’’ ইহুদিবিদ্বেষ বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করা বার্লিনভিত্তিক এনজিও আরআইএএস-এর পরিসংখ্যান বলছে ২০১৮ সালের প্রথম ছয় মাসে বার্লিনে ৫২৭টি ইহুদি বিদ্বেষের ঘটনা ঘটেছে। আগের বছর একই সময় এই সংখ্যা ছিল ৫১৪। বার্লিন এ ধরনের ঘটনা রোধে মূলত তরুণ প্রজন্মকে এই বিষয়ে আরো শিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা প্রদানসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং গবেষণাতেও এই প্রকল্প থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হবে।
উল্লেখ্য, বার্লিনে ইহুদি বিদ্বেষের ঘটনাগুলোর মধ্যে যেগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে সেগুলোর কয়েকটির সঙ্গে মুসলমান তরুণদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ফলে এমন একটি ধারণা তৈরি হয়েছে যে, বার্লিনে এমন একটি প্রজন্ম গড়ে উঠছে যাদের ইহুদিদের বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা নেই। এমনকি স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে বার্লিনে প্রতি দশজন স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য চারজনই আউৎসভিৎস সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
No comments