বিক্রি হচ্ছে না তরমুজ by এম সাখাওয়াত হোসেন
মহাদেবপুরে
তরমুজের ব্যাপক আমদানি থাকার পরেও বিক্রি না হওয়াই ব্যবসায়ীরা চরম হতাশায়
ভুগছেন। গত বছরগুলোতে এই সময় তরমুজের দোকানে উপচে পড়া ভিড় থাকতো কিন্তু এ
বছর দোকানে তেমন ক্রেতাই নেই। গত দুই সপ্তাহ ধরে মহাদেবপুরে ৮ জন তরমুজ
ব্যবসায়ী লাভের উদ্দেশ্যে জয়পুরহাট থেকে পিকআপে করে প্রতিজন ৩০০ থেকে ৫০০
পিস তরমুজ কিনে নিয়ে আসে যা যশোর জেলা থেকে মূল পাইকারেরা ট্রাকে করে
জয়পুরহাটে নিয়ে আসে। সেখান থেকে মহাদেবপুরের ব্যবসায়ীরা ১২০০ থেকে ১৩০০
টাকা মণ দরে পাইকারি কিনে নিয়ে এসে ১৬০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত খুচরা
প্রতি মণ বিক্রি করেন। গত বছর এই সময়ে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ হাজার পিজ তরমুজ
কিনে আনতো এবং ২০০০ থেকে ৩০০০ পিস বিক্রি হতো। তুলনামূলক এ বছর গত সপ্তাহে
গড়ে ৩০০০ পিস তরমুজ কিনে এনে বিক্রি হয়েছে মাত্র ১০০০ পিস। এ বিষয়ে তরমুজ
ব্যবসায়ী শিবরামপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ আলী জানান,
গত দুই সপ্তাহে তরমুজ ব্যবসায় তার লোকসান হয়েছে ১০ হাজার টাকা। আগামীতে
লাভের আশায় লোকশান শর্তেও এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি চরম হতাশার সুরে আরো জানান, এ বছর তরমুজ কিনার তেমন ক্রেতাই নেই। মহাদেবপুরের তরমুজ ব্যবসায়ী সুলতানপুর গ্রামের সুজন কুমার ও আজিজুল ইসলাম, শিবপুর গ্রামের সাহাদত হোসেন ও রঞ্জন কুমার, ফাজিলপুর গ্রামের বাচ্চুর পুত্র আল আমিন, মহিষবাথান গ্রামের নিরঞ্জনের পুত্র রিপন ও শ্রীরামপুর গ্রামের সচিনের পুত্র প্রবিন হতাশার সুরে বলেন, গত বছরগুলোতে এ ব্যবসা করে আমাদের ৩ মাসের পুরো সিজিনে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে লাভ হয়েছিল যা দিয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়ার খরচসহ পরিবার সুন্দর ভাবে চলতো। কিন্ত এ বছর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ২ সপ্তাহে লাভের মুখ দেখিনি। এ বিষয়ে উপজেলার রোদইল গ্রামের তরমুজ ক্রেতা আব্দুল জলিল, জিল্লর রহমান, পাশে দারিয়ে থাকা কৃষক আব্দুর রহিমের সাথে কথা বলে যানা গেছে, তারা গত বছরগুলোতে পর্যাপ্ত তরমুজ কিনে খেয়েছেন কিন্তু এ বছর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আজকেই প্রথম ৪০ টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনলেন। কারণ হিসেবে তারা জানান এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হলেও দাম ভালো না থাকায় ইচ্ছা থাকলেও গতবছরগুলোর মতো পর্যাপ্ত তরমুজ কিনে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি চরম হতাশার সুরে আরো জানান, এ বছর তরমুজ কিনার তেমন ক্রেতাই নেই। মহাদেবপুরের তরমুজ ব্যবসায়ী সুলতানপুর গ্রামের সুজন কুমার ও আজিজুল ইসলাম, শিবপুর গ্রামের সাহাদত হোসেন ও রঞ্জন কুমার, ফাজিলপুর গ্রামের বাচ্চুর পুত্র আল আমিন, মহিষবাথান গ্রামের নিরঞ্জনের পুত্র রিপন ও শ্রীরামপুর গ্রামের সচিনের পুত্র প্রবিন হতাশার সুরে বলেন, গত বছরগুলোতে এ ব্যবসা করে আমাদের ৩ মাসের পুরো সিজিনে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে লাভ হয়েছিল যা দিয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়ার খরচসহ পরিবার সুন্দর ভাবে চলতো। কিন্ত এ বছর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ২ সপ্তাহে লাভের মুখ দেখিনি। এ বিষয়ে উপজেলার রোদইল গ্রামের তরমুজ ক্রেতা আব্দুল জলিল, জিল্লর রহমান, পাশে দারিয়ে থাকা কৃষক আব্দুর রহিমের সাথে কথা বলে যানা গেছে, তারা গত বছরগুলোতে পর্যাপ্ত তরমুজ কিনে খেয়েছেন কিন্তু এ বছর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আজকেই প্রথম ৪০ টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনলেন। কারণ হিসেবে তারা জানান এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হলেও দাম ভালো না থাকায় ইচ্ছা থাকলেও গতবছরগুলোর মতো পর্যাপ্ত তরমুজ কিনে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
No comments