নুসরত আত্মবিশ্বাসী, মানুষ ভালবাসায় ভরিয়ে দেবেন by পরিতোষ পাল
অভিনয়
কেরিয়ারের মধ্য গগনে থাকা অবস্থাতেই নুসরত জাহান রাজনীতিতে পা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বসিরহাট কেন্দ্রে তাকে প্রার্থী করেছেন তৃণমূল
কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রার্থী হয়েই কাজে নেমে পড়েছেন।
জয়ের ব্যাপারে প্রবল আত্মবিশ্বাসী নুসরত মনে করেন, অভিনয়ের ক্ষেত্রে
যেভাবে মানুষ আমাকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়ে আজ এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন, ঠিক
সেভাবেই আমার এই পর্যায়েও মানুষ ভালবাসায় ভরিয়ে দেবেন।
প্রার্থী হবার পর বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগণার মধ্যম গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেছেন নুসরত। সেখানেই প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে বেশ সপ্রতিভভাবেই তার বক্তব্য রেখেছেন। নুসরত প্রথমেই বলেছেন, সারাজীবন বাড়িতে, কাজের জায়গায় অনেক দায়িত্ব সামলেছেন তিনি, তাই আশা করছেন মানুষকে সেবা করার এই দায়িত্বটাও তিনি সঠিক ভাবে সামলাতে পারবেন। মমতার এই পছন্দের নায়িকাকে কি বলেছেন দিদি? উত্তরে নুসরতকে দিদি বলেছেন, যাও জিতে এস।
টালিগঞ্জের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী ২০১০ সালে একটি সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পরে মডেল হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। পরে অবশ্য জিতের সঙ্গে ’শত্রু’ ছবির মাধ্যমে নুসরতের রূপালি পর্দায় আবির্ভাব ঘটেছিল। এর পর একের পর এক বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করে দুই বাংলাতেই জনপ্রিয় হয়েছেন নায়িকা হিসেবে। গত বছরে শাকিব খানের সঙ্গে নাকাব ছবিতেও অভিনয় করেছেন। ইদানিং অবশ্য নুসরতের হাতে ছবি নেই। বাণিজ্যিক ছবিতে নাকি অরুচি ধরেছে নুসরতের। ফলে গোটা শীতটাই চুটিয়ে স্টেজ শো করেছেন। কিছুদিন ধরেই নুসরতকে বলতে শোনা গেছে, অন্য ধরণের চরিত্র পেলেই অভিনয় করব। এই ভাবনার মাঝেই দিদির আহ্বানে রাজনীতিতে নেমে পড়তে হয়েছে। অবশ্য গত কয়েক বছর ধরে মমতার সব ধরণের অনুষ্ঠানে টালিগঞ্জের অভিনেতা অভিনেত্রীদের পাশে নুসরতকে হাজির থাকতে দেখা গেছে। এমনকি দলীয় কর্মসূচিতেও দেখা গেছে নুসরতকে। ফলে রাজনীতিতে নামার গুঞ্জন ছিলই। নুসরতের নাম ঘোষনার সঙ্গে সঙ্গে বসিরহাটজুড়ে উচ্ছ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। মুসলিম অধ্যুষিত বসিরহাটে এর আগে প্রার্থী হয়ে জিতেছিলেন ইদ্রিশ আলি। এবার অবশ্য ইদ্রিশকে প্রার্থী করা হয় নি।
বৃহষ্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, নির্বাচনে নতুন ইনিংস শুরু নিয়ে ভয় করছে কিনা। উত্তরে নুসরত বলেছেন, আমি যখন অভিনয় করতে এসেছিলাম, ইন্ডাস্ট্রিতে একেবারে নতুন ছিলাম। লড়াই করে সেখানে নিজের জায়গা করেছি। এখানেও আমি নতুন, কিন্তু জানি, মানুষের ভালবাসায় নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে পারব। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই তাঁকে ও মিমি চক্রবর্তীকে সামাজিক মাধ্যমে অশালীন আক্রমনের মুখে পড়তে হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে উঠে এসেছে একের পর এক মিম। তাই নিয়ে নুসরতের জবাব, যাঁরা এই ধরনের মিম বানাচ্ছে, তাঁদের জীবনে শিক্ষা ও সংস্কৃতির অভাব আছে। নিজেদের বাড়ির মহিলাদের যখন এভাবে কুৎসিত আক্রমণ তাঁরা করেন না, তখন এভাবে একজন মহিলা প্রার্থীকে আক্রমণের কী মানে? আসলে, এরা ভদ্রতা, সভ্যতার সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, আসানসোল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনকে নিয়ে বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় যেভাবে ঠাট্টা করেছেন তা নিয়েও সরব হয়েছেন নুসরত। তিনি বলেছেন, সুচিত্রা সেনের পরিবারের সন্তান মুনমুন, তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা করার আগে দু’বার ভাবা উচিত ছিল বাবুলের।
প্রার্থী হবার পর বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগণার মধ্যম গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেছেন নুসরত। সেখানেই প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে বেশ সপ্রতিভভাবেই তার বক্তব্য রেখেছেন। নুসরত প্রথমেই বলেছেন, সারাজীবন বাড়িতে, কাজের জায়গায় অনেক দায়িত্ব সামলেছেন তিনি, তাই আশা করছেন মানুষকে সেবা করার এই দায়িত্বটাও তিনি সঠিক ভাবে সামলাতে পারবেন। মমতার এই পছন্দের নায়িকাকে কি বলেছেন দিদি? উত্তরে নুসরতকে দিদি বলেছেন, যাও জিতে এস।
টালিগঞ্জের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী ২০১০ সালে একটি সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পরে মডেল হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। পরে অবশ্য জিতের সঙ্গে ’শত্রু’ ছবির মাধ্যমে নুসরতের রূপালি পর্দায় আবির্ভাব ঘটেছিল। এর পর একের পর এক বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করে দুই বাংলাতেই জনপ্রিয় হয়েছেন নায়িকা হিসেবে। গত বছরে শাকিব খানের সঙ্গে নাকাব ছবিতেও অভিনয় করেছেন। ইদানিং অবশ্য নুসরতের হাতে ছবি নেই। বাণিজ্যিক ছবিতে নাকি অরুচি ধরেছে নুসরতের। ফলে গোটা শীতটাই চুটিয়ে স্টেজ শো করেছেন। কিছুদিন ধরেই নুসরতকে বলতে শোনা গেছে, অন্য ধরণের চরিত্র পেলেই অভিনয় করব। এই ভাবনার মাঝেই দিদির আহ্বানে রাজনীতিতে নেমে পড়তে হয়েছে। অবশ্য গত কয়েক বছর ধরে মমতার সব ধরণের অনুষ্ঠানে টালিগঞ্জের অভিনেতা অভিনেত্রীদের পাশে নুসরতকে হাজির থাকতে দেখা গেছে। এমনকি দলীয় কর্মসূচিতেও দেখা গেছে নুসরতকে। ফলে রাজনীতিতে নামার গুঞ্জন ছিলই। নুসরতের নাম ঘোষনার সঙ্গে সঙ্গে বসিরহাটজুড়ে উচ্ছ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। মুসলিম অধ্যুষিত বসিরহাটে এর আগে প্রার্থী হয়ে জিতেছিলেন ইদ্রিশ আলি। এবার অবশ্য ইদ্রিশকে প্রার্থী করা হয় নি।
বৃহষ্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, নির্বাচনে নতুন ইনিংস শুরু নিয়ে ভয় করছে কিনা। উত্তরে নুসরত বলেছেন, আমি যখন অভিনয় করতে এসেছিলাম, ইন্ডাস্ট্রিতে একেবারে নতুন ছিলাম। লড়াই করে সেখানে নিজের জায়গা করেছি। এখানেও আমি নতুন, কিন্তু জানি, মানুষের ভালবাসায় নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে পারব। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই তাঁকে ও মিমি চক্রবর্তীকে সামাজিক মাধ্যমে অশালীন আক্রমনের মুখে পড়তে হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে উঠে এসেছে একের পর এক মিম। তাই নিয়ে নুসরতের জবাব, যাঁরা এই ধরনের মিম বানাচ্ছে, তাঁদের জীবনে শিক্ষা ও সংস্কৃতির অভাব আছে। নিজেদের বাড়ির মহিলাদের যখন এভাবে কুৎসিত আক্রমণ তাঁরা করেন না, তখন এভাবে একজন মহিলা প্রার্থীকে আক্রমণের কী মানে? আসলে, এরা ভদ্রতা, সভ্যতার সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, আসানসোল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনকে নিয়ে বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় যেভাবে ঠাট্টা করেছেন তা নিয়েও সরব হয়েছেন নুসরত। তিনি বলেছেন, সুচিত্রা সেনের পরিবারের সন্তান মুনমুন, তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা করার আগে দু’বার ভাবা উচিত ছিল বাবুলের।
No comments